নিয়মিত কবিতা পাঠকরা, কবিতা আবৃত্তি করা, কবিতা ভাললাগা কবিতার সাথে প্রেম । কথার মাঝে কবিতার শ্লোক বলা। গুণ গুণিয়ে গান গাওয়া। পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন করা। কয়েকটি মাসিক, ত্রিমাসিক ও জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখি করা। । নাটকে অভিনয় করা, কণ্ঠ সংশোধন কেন্দ্রে ক্লাস নেয়া। বিভিন্ন অনুষ্ঠান অথবা জাতীয় কোন দিবসে ( ২৬ শে মার্চ, ২১ মে ফেব্রুয়ারী, ১৬ ডিসেম্বও, নজরুল রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী) নিমন্ত্রন আসে কুমিল্লা অঞ্চলে রেডিও গুলোতে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র আবৃত্তি সংগঠন ‘অনুপ্রাস কণ্ঠচর্চা কেন্দে’্রর প্রধান ভোকালও তিনি।
কলেজে পড়ার সময় জাতীয় পর্যায়ে কবিতা আবৃত্তিতে প্রতিযোগীতা করেছেন কয়েকবার। জেলা পর্যায়েও কবিতা আবৃত্তিতে প্রথম স্থান আর্জন করেছেন। এই বহূমুখী প্রতিভার অধিকারী ফাতেমা আক্তার ইমু। ক্যাম্পাসে সবাই তাকে ইমু বলেই চিনে। আবার অনেকে কবিতার ইমু বলে ডাকে। কেউ কেউ আবার আবৃত্তি শিল্পী ইমু নামে চিনে। যখন সিনিয়র তখন সিনিয়র আবার যখন আড্ডায় হাস্যেউজ্জল বন্ধুর মতো জুনিয়রদের সাথে আড্ডা দেয়া। এত চমৎকার কথা বলেন যে জুনিয়ররা মুগ্ধ হয়ে শুনে তার কথা। সবার প্রিয় এই ইমু পড়ছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ¯œাত্তকোত্তর শ্রেণীতে। পড়াশুনার পাশাপাশা এসব করা মেয়েটি পড়াশুনায়ও পিছিয়ে নেই। ¯œাতকে তার রেজাল্ট ৩.৪০।
সদাহাস্যউজ্জ্বল ইমুর সাথে কথা বলেতেই মুচকি হাসি দিয়ে কথা বলা শুরু করেন। প্রাঞ্জল ভাষায় ছোট ছোট বাক্যে চমৎকার ভাবে কথা বলেন তিনি। তার কথার মধ্যে নেই কোন জড়তা ।
প্রশ্ন করেছিলাম একজন মেয়ে হয়ে এত কিছু সম্ভব হয় কিভাবে? তিনি বলেন, ‘সবকিছুই ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভর করে । তবে এগুলো করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঁধা আসে। বিশেষ করে পরিবার থেকে । যা আমি তেমন একটা পাই নি। পরিবার আমাকে অনেক সহযোগীতা করে। তাই এত সব করতে পারছি।’
তিনি আরও বরেন, ‘কবিতা, গান, নাচ, বির্তক, উপস্থাপনা আমার খুব পছন্দ। পরীক্ষার আগের দিনেও কোন প্রোগ্রাম মিস করিনি কোন দিন। একটু কষ্ট হয় তবে পরীক্ষা খুব ভাল করে দেয়ার চেষ্টা করি।’
এতকিছুতে পারদর্শী এই মেয়েটি ভবিষৎতে কী করতে চান জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ নিউজ প্রেজেন্টার হত্তয়ার প্রতি তার একটা ঝোক আছে।’
এস এম জোবায়ের
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন