শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

৯ দশমিক ৮ শতাংশ নবজাতক জন্মগত ত্রুটিতে আক্রান্ত

বিএসএমএমইউ’র গবেষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ৪:৪০ পিএম

বিশ্ব জন্মগত ত্রুটি দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগ পরিচালিত বাংলাদেশের ২০টি হাসপাতাল নিয়ে জন্মগত ত্রুটির সার্ভিলেন্স ও গবেষণা প্রকল্প ‘নিউবর্ণ বার্থ ডিফেক্ট (এনবিবিডি) সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে এবং বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম ও বাংলাদেশ পেরিন্যাটাল সোসাইটির সহযোগিতায় নবজাতকের জন্মগত ত্রুটির উপর এক গুরুত্বপূর্ণ সিএমই প্রোগ্রামের আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘মেনি বার্থ ডিফেক্ট, ওয়ান ভয়েস’। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যারয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সিএমই প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি ডা. সাহানা আখতার রহমান, স্বাস্থ্য অধিপ্তরেরর লাইন ডিরেক্টর ডা. সামসুল হক খান। সভাপতিত্ব করেন বিএমডিসির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি নবজাতক বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান নিউবর্ণ বার্থ ডিফেক্ট (এনবিবিডি) সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশ-এর প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

সিএমই প্রোগ্রামে জানানো হয়, পৃথিবীব্যাপী নবজাতকদের মাঝে জন্মগত ত্রুটির হার প্রতি ১০০ জনে ৩ থেকে ৬ জন (৩-৬ শতাংশ)। বিএসএমএমইউতে পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হাসপাতালে আসা নবজাতকদের মাঝে এই হার ২০১৯ সালে ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। বিশ্বে প্রতি ৩৩ জন শিশুর মধ্যে ১ জন জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহন করে। সারা বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জন্মগত ত্রুটির প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বিশ্বে প্রতি বছর শুধুমাত্র জন্মগত ত্রুটির জন্য জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ শিশু মারা যায়। শিশু মৃত্যুর এই প্রভাব সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেকাংশে বিরুপ প্রভাব ফেলে।

অনুষ্ঠানে জন্মগত ত্রুটির হার নির্ণয়, কারণ, প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনার উপর আলোচনা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জন্মগত ত্রুটির হার উপর আরও বক্তব্য প্রদান রাখেন নবজাতক বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল মান্নান, অবস এন্ড গাইনী বিভাগের প্রফেসর ডা. বেগম নাসরিন। অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার ডা. মাহবুবা খান, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের প্রফেসর ডা. সঞ্জয় কুমার দে, ডা. সাদেকা চৌধুরী মনি, ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান সবুজ, ডা. ইসমাত জাহান, ডা. রুম্পা মনি প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন