মাছ নিধনসহ নানা অভিযোগে একের পর এক মামলা দায়েরে কয়েকটি পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে। হয়রানির শিকার পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
গতকাল মনোহরপুরে একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা কৃষ্ণনগর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন তার বড় ভাই আবদুল জলিল ও স্থানীয় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল জলিল জানান, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তার ছেলে জসিম উদ্দিন আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নোয়াপাড়া এলাকায় গেলে তার ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় এবং তাকে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় আলমগীরসহ আরো ৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আলমগীর ও সঙ্গীয়রা তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আলমগীর ঘোড়ামারা কৃষ্ণনগর গ্রামের রহম আলীকে দিয়ে তাদেরকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়া দূর্গাপুর গ্রামের ডাহিনকে বাদী করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং ওই মামলায় বাদী ডাহিন কিছুই জানে না বলে আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।
এরপর স্থানীয় নাজমা বেগম নামের এক মহিলাকে দিয়ে জসিম উদ্দিনসহ তাদের আসামি করে আরো একটি মামলা দায়ের করে। এভাবে আলমগীর হোসেন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার বড় ভাই আবদুল জলিল ও ভাতিজা জসিম উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন