শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পোশাক খাতে সম্ভাবনা

ভিয়েতনাম-কম্বোডিয়ায় করোনার প্রভাব

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৯ এএম, ৪ মার্চ, ২০২০

বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের নাম নভেল করোনাভাইরাস। চীনের সীমান্ত ছাড়িয়ে ইতোমধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। চীন ও চীনের বাইরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে মানুষের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হবার হারই যে শুধু বাড়ছে তাই নয়, এর অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রাও বাড়ছে। করোনার প্রভাবে তৈরী পোশাক রফতানির বিশ্ববাজারে অপ্রতিদ্ব›দ্বী চীন রফতানিবাজারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে এক দফা বাজার হারায় তৈরী পোশাক রফতানির বিশ্ববাজারে অপ্রতিদ্ব›দ্বী চীন। স্বাভাবিক কারণেই চীনের হারানো বাজার হাতছানি দিচ্ছে অপরাপর প্রতিযোগীদের। বর্তমানে দেশের পোশাক খাতও অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং মুহুর্ত পার করছে। চীনের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি উভয় খাতে আর্থিক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। তারপরও আশার খবর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের মূল প্রতিদ্ব›দ্বী ভিয়েতনাম এবং ঘাড়ে নিঃশ্বাস নেওয়া কম্বোডিয়ায় করোনাভাইরাসের প্রভাব। গত কয়েকবছরে এ খাতে দেশ দুটির উত্থান চোখে পড়ার মতো। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীনের উপর নির্ভরশীল ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া বড় ধরণের ঝুঁকিতে আছে। আর তাই চীন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার হারানো বাজার দখলে বাংলাদেশের সুযোগ থাকছে। এদিকে দেশে এখনো কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তবে এ রোগ মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়াও পোশাকখাকের জন্য একটি সু-খবর জানিয়েছেন বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহল্টজ। তিনি বলেছেন, ইউরোপে বাংলাদেশের বিশেষায়িত বাজার সুবিধা ‘জিএসপি প্লাস’ পাওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত ফারেনহল্টজ বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মেরুদন্ড হচ্ছে পোশাক রপ্তানি খাত। বর্তমানে বাংলাদেশ যে টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) বাস্তবায়ন করছে তা অর্জনেও খাতটির ওপরেই নির্ভর করতে হবে।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিভিন্ন খাতে আমদানি-রপ্তানি ক্ষতি শঙ্কার মধ্যেও থাকলেও অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, এই পরিস্থিতির পুরোটাই বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক নয়। পাশাপাশি গার্মেন্টসখাতে বাংলাদেশের মূল প্রতিদ্ব›দ্বী ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই গার্মেন্টসখাতে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার বাজার দখল করার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের জন্য। কারণ গার্মেন্টসের ব্যকওয়ার্ড লিংকেজের অধিকাংশই এখন বাংলাদেশ উৎপাদন করে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৫শ’র অধিক গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৩০-এর অধিক রকমের এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন হয়। যা অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে চীন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। এছাড়া চীন থেকে পোশাক খাতের জন্য অন্য যে সব কাঁচামাল আমদানি হয় এ নিয়ে কিছুটা বিপাকে থাকলেও যে কাঁচামাল রয়েছে তা আরও ৩ থেকে ৬ মাসের মজুদ রয়েছে বলে গার্মেন্টস মালিকদের সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া তাদের অধিকাংশ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজই চীন থেকে আমদানি করে। এক অর্থে চীনের উপর নির্ভরশীল।
এদিকে কম্বোডিয়ার তৈরি পোশাক পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এতে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়বে বলে মনে করছেন কম্বোডিয়ার রপ্তানিকারকরা। বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরাও মনে করছেন যে, এ ঘটনায় ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ মনে করেন, আমদানির জন্য এখন ব্যবসায়ীদের বিকল্প চিন্তা করার সুযোগ তৈরি হবে। একটা ক্ষতি যে যেসব পণ্যের কাঁচামাল না আসায় সেগুলোর উৎপাদন আটকে যাবে, সেগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে। কিন্তু দেশের ব্যবসায়ীরা যদি এখন আমদানি এবং রপ্তানির বিকল্প বাজার ও গন্তব্য খোঁজেন তাহলে অর্থনীতির উপকার হবে। যেমন ধরুন-অনেক দেশই হয়তো আগামি কিছুদিন চীন থেকে পণ্য আমদানি করতে চাইবে না, সেই সব বাজার যদি বাংলাদেশ ধরতে পারে, তাহলে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। নাজনীন আহমেদ বলেন, এক্ষেত্রে সরকারকে অর্থনৈতিক সহায়তার বদলে অনেক বেশি নীতি সহায়তার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে হবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম এ বিষয়ে বলেন, কম্বোডিয়ার জিএসপি সুবিধায় স্থগিতাদেশে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। তিনি বলেন, কম্বোডিয়ার জিএসপি সুবিধা স্থগিত হতে পারে- কয়েক মাস ধরেই আশঙ্কা করছিলেন ইইউর ক্রেতারা। এ কারণে তারা প্রস্তুতি হিসেবে আগে থেকেই পোশাক ক্রয়ে বাংলাদেশের প্রতি ঝুঁকেছেন। এতে বেশ কিছু অর্ডার এরই মধ্যে পেয়েছেন বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা।
সূত্র মতে, মধ্য চীনের উহান থেকে উদ্ভূত করোনভাইরাস থেকে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। চীনে বেশিরভাগ লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে চীনে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বিশ্বব্যাপি বাড়ছে। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন গত সোমবার এ নিয়ে বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিকে নাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাস। কম্বোডিয়ার ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক শিল্প মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ পোশাক খাতের ৬০ শতাংশ কাঁচামালের জন্য চীনের উপর নির্ভর করতে হয়। একই সঙ্গে করোনার প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূল শিল্পগুলিকে বিকল করে দিয়েছে এবং সীমান্ত বাণিজ্যকে জটিলতায় ফেলেছে। গত সপ্তাহে কম্বোডিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ১০ টি কারখানা তাদের উৎপাদন কমিয়েছে। ৩ হাজার শ্রমিককে কাজ থেকে বাদ দিয়েছে।
চলতি মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চীন থেকে কাঁচামাল না আসায় প্রায় ২০০ কারখানা বন্ধের আশঙ্কা করেছে। এর মাধ্যমে ১ লাখ ৬০ হাজার কর্মী ছাটাই হতে পারে। যা কম্বোডিয়ার পোশাককাতে কর্মরত ৭ লাখ শ্রমিকের ২০ শতাংশেরও বেশি। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেছেন, চীনকে জরুরি ভিত্তিতে গার্মেন্টস সামগ্রী পাঠাতে বলা হয়েছে, যাতে শ্রমিকদের ছাটাই করা না লাগে।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্চ মাসের শেষে দেশটি কিছু কাঁচামাল পাবে বলে আশা করছে। যদিও এটি তার পুরো চাহিদা পূরণ করবে না। তিনি বলেছেন, কারখানাগুলিতে কাঁচামাল আসছেনা। তাই শ্রমিকরা তাদের কাজের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। গার্মেন্টস কর্পোরেশন ভিএনটেক্সের মহাপরিচালক লে তিয়েন ট্রুং রাষ্ট্রীয় বলেছেন, প্রতিবেশী ভিয়েতনামও যদি আরও দু’সপ্তাহের জন্য চীন থেকে আমাদনীকৃত কাঁচামাল সামগ্রী না পায় তবে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার লোকসান হবে। কম্বোডিয়ার মতো ভিয়েতনাম টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশনের (ভিআইটিএএস) মতে, তাদের পোশাক উৎপাদনের ৬০ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করতে হয়। এখন পর্যন্ত, ভিয়েতনামের পোশাক রফতানি চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
২০১৯ সারে চীনের পরই একক দেশ হিসেবে পোশাক রফতানিতে শীর্ষ স্থানে আছে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম। বাংলাদেশ তিন হাজার ২৯২ কোটি এবং ভিয়েতনাম তিন হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্যানুযায়ী, চীনের পোশাক রফতানি কমলেও যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা ব্যবসা কমায়নি। গত বছর তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৮ হাজার ৩৮২ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা ২০১৮ সালের চেয়ে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। গত বছর চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দুই হাজার ৪৮৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করে, যা ২০১৮ সালের চেয়ে ২৪৯ কোটি ডলার বা ৯ দশমিক ১০ শতাংশ কম।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চীনের ব্যবসা হারানোতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ভিয়েতনাম। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ পাঁচ পোশাক রফতানিকারক দেশের মধ্যে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ। ভিয়েতনাম গত বছর এক হাজার ৩৫৬ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে। তারপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের। রফতানির পরিমাণ ৫৯৩ কোটি ১৯ লাখ ডলার। গত চার বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পোশাক রফতানিতে ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছিল বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ তৈরী পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রয়াদেশ চীন থেকে অন্যদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে আমাদের কারখানাগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে গেছে। সে জন্য আমরা বাণিজ্যযুদ্ধের সুফল কাঙ্খিত মাত্রায় নিতে পারিনি। নতুন করে আসা চীনের করোনাভাইরাসজনিত সমস্যায় আমাদের বাজার ধরার একটা সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দেখতে হবে সে সুযোগ গ্রহণে আমরা কতোটা সক্ষম। তিনি বলেন, আমরা বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করছি। আশা করছি, আগামী বছর আমাদের পোশাক রফতানি বাড়বে।
তিন সুবিধা চেয়েছে বিজিএমইএ : এ দিকে চীনের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আপদকালীন তহবিল, ঋণের নিশ্চয়তা স্কিম এবং ব্যাক ব্যাক ঋণপত্রের নীতিমালা সংশোধনসহ তিন সুবিধা চেয়েছে বিজিএমইএ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে স¤প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক। চিঠির অনুলিপি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বরাবরও চিঠি দিয়েছে বিজিএমইএ।
বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে এক হাজার ৩৬৩ কোটি ডলারের পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি হয়েছে। তার মধ্যে সুতা, কাপড় ও অন্যান্য কাঁচামাল রয়েছে ৫০২ কোটি ডলারের। পোশাক খাতের প্রায় ৪৬ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আসে।
করোনাভাইরাস যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে পোশাক খাতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। চট্টগ্রাম বন্দরে চীনা জাহাজ আসা শূন্যের কোঠায় চলে আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, ইতোমধ্যে আমদানি কমেছে ৩৭ শতাংশের মতো।
এ অবস্থায় নিজেদের দাবির বিষয়ে বিজিএমইএ বলেছে, করোনাভাইরাসের কারণে সময়মতো কাঁচামাল না পেলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। উদ্যোক্তাদের নিজ খরচে উড়োজাহাজে পণ্য পাঠানো কিংবা বিকল্প উৎস থেকে কাঁচামাল সংগ্রহের প্রয়োজন হতে পারে। তখন কারখানাগুলোর বাড়তি ব্যয় সংস্থানের জন্য আপদকালীন তহবিলের দরকার হবে। আবার কাঁচামাল আমদানিতে দেরি হলে নানাবিধ জটিলতা রোধে ব্যাক টু ব্যাংক এলসির নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে।
এ ছাড়া বিকল্প উৎস থেকে কাঁচামাল আমদানির প্রয়োজন হলে বাণিজ্যিক ব্যাংক যাতে উদ্যোক্তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ঋণ নিশ্চয়তা স্কিম দরকার বলে জানিয়েছে।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Rasel Arafat ৪ মার্চ, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
এই সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।
Total Reply(0)
নাসির ৪ মার্চ, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগীতার প্রয়োজন
Total Reply(0)
আরাফাত ৪ মার্চ, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
আশা করি সরকারের নীতি নির্ধারনী মহল এই বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বের সাথে দেখবেন।
Total Reply(0)
ইলিয়াস হোসাইন ৪ মার্চ, ২০২০, ১:২৮ এএম says : 0
সময় উপযোগী এই নিউজটি করার জন্য দৈনিক ইনকিলাব ও রিপোর্টার হাসান সোহেল সাহেবকে ধন্যাবাদ জ্ঞাপণ করছি
Total Reply(0)
উজ্জল ৪ মার্চ, ২০২০, ১:২৮ এএম says : 0
আশা করছি, আগামী বছর আমাদের পোশাক রফতানি বাড়বে।
Total Reply(0)
ওমর ৪ মার্চ, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
এক্ষেত্রে সরকারকে অর্থনৈতিক সহায়তার বদলে অনেক বেশি নীতি সহায়তার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে হবে।
Total Reply(0)
জামিল ৪ মার্চ, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
দেশের ব্যবসায়ীরা যদি এখন আমদানি এবং রপ্তানির বিকল্প বাজার ও গন্তব্য খোঁজেন তাহলে অর্থনীতির উপকার হবে।
Total Reply(0)
রাসেল ৪ মার্চ, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
সবাই সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে এই পোশাক খাতের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্সের পরিমাণ কয়েকগুন বেড়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন