নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়ন মাঠে এবারও রোপা আমন চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা বোধ করছে এলাকার কৃষকরা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের অভাবে প্রতি বছর বিলাশবাড়ী মাঠে শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান বিনিষ্ট হয়ে পড়ে।
গত বছর রোপা আমন মৌসুমে জমিতে বৃষ্টির পানি জমে প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমির ধান বিনিষ্ট হয়ে পড়ে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়। এলাকাবাসী জানায়, বিলাশবাড়ী ইউনিয়ন মাঠে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হচ্ছে সোনাপাতিলা খাল। এই খাল সংস্কারের জন্য বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ থেকে চলতি অর্থ বছরে ২৯ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়। মাঠে বোরো চাষাবাদ শুরুর মুখে ঐ খাল সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। আর খাল সংস্কারের সময় বোরো জমির পানি নেমে খালে পানি জমে। আর ঐ পানির মধ্যে যেনতেন ভাবে ওই খাল সংস্কার করা হয়। খালের দুই পার্শ্বে প্রশস্ত হলেও খালের গভীরতার পরিমাপ ঠিক নেই। এছাড়া খালের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালের মাঝখানে ১ফিট পরিমাণও খাল সংস্কার করা হয়নি। যা এতে করে মাঠের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের বাঁধা সৃষ্টি করবে।
দুধকুড়ি গ্রামের আব্দুল লতিব, হলুদবিহার গ্রামের এনামুল হক, আশরাফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বিলাশবাড়ী ও কোলা ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই সোনাপাতিলা খাল। সে ক্ষেত্রে এ খাল গুরুত্বের সংগে সংস্কার করার প্রয়োজন ছিল। আর যে ভাবে এই খালটি সংস্কার করা হয়েছে তাতে বর্ষা মৌসুমে যথা সময়ে মাঠের পানি নিস্কাশন হবেনা কারণ হিসাবে তারা জানান বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ দিকে ত্রিমোহনা ঘাটে তুলশী গঙ্গা নদী ছোট যুমুনা নদীর সাথে মিলিত করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে দুটি নদীর জোয়ারের পানি এক নদীতে প্রবাহিত হওয়ায় দ্রæত নদীর পানি বেড়ে উঠে। আর এ জন্যই বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের মাঠের পানি যথা সময়ে নিষ্কাশন হতে পারেনা।
ফলে প্রতি বছর বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের বিশাল দুটি মাঠে শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে এলাকার কৃষকেরা। সোনাপাতিলা খালটি যথা নিয়মে সংস্কার না হওয়ায় এ বছরও রোপা আমন চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন