গত নভেম্বরে বিক্ষোভ দমনের সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। আজ বুধবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ তথ্য জানিয়েছে।– আল-জাজিরাহ, ইয়ন
পেট্রোলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর দেশটির রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষুব্ধরা। নারী-শিশুরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। তাদের উপর দমনপীড়ন চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। তাদের সরাসরি গুলিতে নিহত হয় ওই শিশুরা।
অ্যামনেস্টির গবেষক ও মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকার পরামর্শ পরিচালক ফিলিপ লুথার বলেন, নিরস্ত্র মানুষের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেআইনী হামলা ছিল সেটা। ওই হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
নিহত শিশুদের ২২ জন ছেলে। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছর। নিহত অপর শিশু মেয়ে। তার বয়স ৮ থেকে ১২ বছর। ১৬ নভেম্বর ছয়টি প্রদেশের ১৩টি শহরে ১২ শিশু নিহত হয়েছে। পরদিন মারা গেছে ৮ শিশু। বাকি তিনজন মারা গেছে ১৮ নভেম্বর।
লুথার বলেন, বেশিরভাগ শিশু নিহত হয়েছে মাত্র দুইদিনে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যে কোন মূল্যে বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা করছিল। সে সময়ই তারা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
শিশু হত্যার বিষয়টি ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল রেজা রহমানী ফজলীকে লিখিতভাবে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল; কিন্তু তিনি কোন জবাব দেননি। নিহত শিশুদের স্বজনরা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের নামেও নানাভাবে হয়রানি করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন