শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘হ্যাঁ’-‘না’ ভোট চাইলেন আসলাম!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের বহুল আলোচিত নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাফুফের বর্তমান কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি বাদল রায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা দেন, ‘অন্য কোন প্রার্থী না থাকলে বাফুফের সভাপতি পদে আমিই নির্বাচন করবো’। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাদল রায় শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি সভাপতি পদের জন্য কতটা প্রস্তুত তা সময়ই বলে দিবে। তবে বাফুফের নির্বাচনে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে গতকাল এক সভায় একট্টা হয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলাররা সহ বেশ ক’জন সংগঠক। জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু। বাফুফের নির্বাচনে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বাদল রায়কে সমর্থন জানাতে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শংকর হাজরা, গোলাম সারোয়ার টিপু, খুরশিদ আলম বাবুল, ওয়াহিদুজ্জামান খান পিন্টু, আবদুল গাফফার, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, কায়সার হামিদ, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, স্বপন কুমার দাস, আরমান মিয়া, আলফাজ আহমেদ ও আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স। 

নিজ বক্তব্যে আসলাম বলেন, ‘ফুটবলের নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারা দেশে বাফুফের কাউন্সিলদের মধ্যে ‘হ্যাঁ ও ‘না’ ভোট হওয়া উচিত। যদি কাউন্সিলররা না চান, তাহলে সালাউদ্দিনের সরে যাওয়া উচিত। অন্যদিকে সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায় অসুস্থ। যদি তিনি শেষ পর্যন্ত দাঁড়াতে না পারেন, তাহলে বাফুফের সভাপতি পদে আমিই নির্বাচন করবো।’
হাসানুজ্জামান খান বাবলু সাবেক ফুটবলারদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এই বক্তব্যে তিনি তুলে ধরেন সালাউদ্দিন বাফুফের সভাপতি থাকাকালীন গত ১২ বছর মাঠ ও মাঠের বাইরের সব ব্যর্থতা।
বাদল রায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও কোচ গোলাম সারওয়ার টিপু বলেন, ‘বাদল রায়ের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সে ফুটবলে দীর্ঘদিন রয়েছে। আমার মনে হয়, সে ফুটবলে ভালো কিছু করতে পারবে।’ সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইমতিয়াজ সুলতান জনি বলেন, ‘বাদল দা নিজের জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। এর মধ্যেও উনি ফুটবলের স্বার্থে নিজের জীবন বাজি রেখে দাড়িয়েছেন। আমরা সবাই বাদল দা’র সঙ্গে রয়েছি।’
বাদল রায় বলেন,‘সালাউদ্দিনের এমন ব্যর্থতায় দায় সহ-সভাপতি হিসেবে আমি নিজেও এড়াতে পারি না। আমি কাজ করতে চেয়েছি। কিন্তু আমাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। বিভিন্ন কমিটি থেকে আমাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আমার পরিবারের কাছে ফোন করে আমাকে ফেডারেশনে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মায়ের আসনে বসিয়েছেন বাদল রায়। তার দ্বিতীয় জীবনদানে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানান বাদল রায়। তিনি জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানান এই সাবেক তারকা ফুটবলার। প্রধানমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন বলেই বিশ্বাস বাদল রায়ের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন