শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মাশরাফি

সুযোগ পেলে খেলবেন ওয়ানডে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২০, ৫:১০ পিএম | আপডেট : ৫:১৭ পিএম, ৫ মার্চ, ২০২০

 

অনেকটা অনুমিতই ছিল। অপেক্ষা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষনার। সেটিও এলো দ্রুতই। বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেই হতে যাচ্ছে দলনেতা হিসেবে তার শেষ ম্যাচ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডের আগে আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মাশরাফি। তবে পরবর্তীতে খেলোয়াড় হিসেবে দলে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তিনি।

টেস্ট ছেড়েছেন ইনজুরি প্রবণতার কাছে হার মেনে। টি-টোয়েন্টি ছাড়তে হয়েছে চাপে পড়ে। খেলছিলেন কেবল এক ফরম্যাট, সেই ওয়ানডে থেকেও তার বিদায়ের ক্ষণ গুণছিলেন অনেকেই। তারই কি প্রথম ধাপ হিসেবে মাশরাফির এই অধিনায়কত্ব ছাড়া?

২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু হাঁটুর চোটের কারণে নেতৃত্ব সেভাবে উপভোগ করা হয়নি তার।

এরপর ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে নেতৃত্ব ফিরে পান তিনি। দ্বিতীয় দফায় তিনি দারুণ সফল। তার অধীনে ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলেছে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে মাশরাফি বাংলাদেশকে ৮৭ ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জিতেছেন ৪৯টিতে।

সংবাদ সম্মেলনে এসেই বাংলাদেশের সফলতম এই অধিনায়ক জানান, তার একটি ঘোষণা আছে। এরপরই বলতে শুরু করেন মাশরাফি, ‘আমি একটা ঘোষণা দিতে চাই। কাল (শুক্রবার) অধিনায়ক হিসেবে আমার শেষ ম্যাচ। আমার প্রতি এত দীর্ঘ সময় আস্থাা রাখার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশ দলের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, আমার নেতৃত্বে যখনই যারা খেলেছে। আমি নিশ্চিত এই প্রক্রিয়াটা এত সহজ ছিল না। গত পাঁচ-ছয় বছরের যে ভ্রমণটা ছিল, যাদের অধীনে আমি খেলেছি, আবার যাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছি। তারা ঘনিষ্ঠভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছে।’

‘হাথুরুসিংহে দিয়ে শুরু হয়েছিল। তার আগে বিচ্ছিন্নভাবে অধিনায়কত্ব পেয়েছি, কিন্তু ইনজুরির কারণে করতে পারিনি। ফাইনালি শুরু হয় হাথুরুসিংহেকে দিয়ে। এরপর খালেদ মাহমুদ সুজন, স্টিভ রোডস এবং (রাসেল) ডমিঙ্গো দিয়ে শেষ হচ্ছে। নির্বাচক এবং বোর্ডের কর্মকর্তা যারা আছেন এবং প্রত্যেকটা স্টাফ থেকে শুরু করে যারাই ক্রিকেট বোর্ডে আছেন, প্রত্যেককে ধন্যবাদ।’

‘আমি ধন্যবাদ জানাই আপনাদের। আপনারা যারা গণমাধ্যম, আপনারা অত্যন্ত সহযোগিতা করেছেন। সবশেষে অবশ্যই সমর্থক... আপনারা বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণ। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এটা অবশ্যই সম্ভব হতো না। সবাইকে ধন্যবাদ।’

এরপর ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি লিখিতভাবে পড়ে শোনান তার বিদায়ের বার্তা, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের (ওয়ানডে) অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাচ্ছি, অবসরে যাচ্ছি। আগামীকাল জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তৃতীয় ম্যাচ হবে আমার অধিনায়কত্বের শেষ ম্যাচ। খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই আমি চেষ্টা করব সেরাটা দেওয়ার, যদি সুযোগ আসে আমার এবং আমার শুভকামনা থাকবে পরবর্তী অধিনায়কের জন্য। আমার বিশ্বাস, সে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পরের ধাপে নিয়ে যাবে। আমি চেষ্টা করব তাকে সর্বোচ্চ দিয়ে সহযোগিতা করার। ধন্যবাদ সবাইকে।’

নেতৃত্বের শেষ ম্যাচে ৩৬ বছর বয়সী মাশরাফির সামনে দারুণ একটি মাইলফলকের হাতছানি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচে জিতলে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ৫০টি ওয়ানডে জয়ের স্বাদ নেবেন ডানহাতি পেসার। আগামীকাল শুক্রবার ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন