চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের রাতভর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর হয়েছে একটি হলের ২৫টি কক্ষ। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষ ইট পাটকেল ও দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে ক্যাম্পাস। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্তত ৫০ জনকে আটক করে। পরে তাদের মধ্যে আট জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশ ও ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারের জেরে ছাত্রলীগের বিবাদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তুচ্ছ ঘটনায় গত মঙ্গলবার মারামারিতে জড়ায় ছাত্রলীগের তিন উপগ্রুপ ‘সিক্সটি নাইন’, ‘কনকর্ড’ ও ‘বিজয়’। এর জের ধরে বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এ ঘটনায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। সন্ধ্যার পর বিবাদমান পক্ষগুলো নিজ নিজ হলে অবস্থান নিয়ে শক্তি বাড়াতে থাকে। ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা শুরু হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে মধ্যরাতে ফের সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। একপর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী ও এফ রহমান হলে হামলা চালায় একটি গ্রুপ। অপর পক্ষ হামলা প্রতিহত করতে এলে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার নেয়। এ সময় ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর হয় অনেকক কক্ষ। এছাড়া এফ রহমান হলের সামনে থাকা চারটি মোটরসাইকেল ও হলের লাইট ভাঙচুর করা হয়। এতে পুরো হল অন্ধকার হয়ে যায়।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ সময় অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ জনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু নেতাদের হুমকিতে আট জনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে হাটহাজারী থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার জানান, আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে কোন পক্ষই মামলা করেনি বলে জানায় পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন