শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সামীম আফজালের ৮শ’ কোটি টাকার দুর্নীতি

কী করছে দুদক?

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

ঘটনাটি গেলোবছর অক্টোবর-নভেম্বরের। সরকারি বিশেষ নিরীক্ষায় ধরা পড়ায় দু’দফায় ৭৩ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর তৎকালিন মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল। আলোচিত এ দুর্নীতি উদঘাটিত হওয়ার পর চার মাস অতিবাহিত হলেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি । অথচ তার দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট খতিয়ান তুলে ধরে কমিশনে অভিযোগ জমা দেয়া হয় গতবছর ২৮ নভেম্বর।

দুদকের আইনজীবী হাইকোর্টকে জানিয়েছেন-সামীম মোহাম্মদ আফজালের দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সামীম মোহাম্মদ আফজালের নিয়োগ-দুর্নীতির পুরনো একটি ফাইল রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে এটি নিয়ে নাড়াচাড়া হয়। কিন্তু প্রায় ৮শ’ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে কাজ করার কোনো নির্দেশনা পাননি অনুসন্ধান কর্মকর্তারা।

দুদক সূত্র জানায়, সামীম মোহাম্মদ আফজাল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক থাকাকালেই শেষ দিকে ৭শ’ ৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ই.ফা’র সাবেক অর্থ ও হিসাব পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী চৌধুরী বিষয়টি উল্লেখ করে তদন্ত সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন। সংবাদ মাধ্যমেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দুদক বিষয়টিকে অভিযোগ আকারে গ্রহণ করে। কিন্তু কয়েক মাসেও অন্যান্য দুর্নীতির মতো এটির কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি চোখে পড়েনি। হতাশ অভিযোগকারী পরে সামীম মোহাম্মদ আফজালের দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করেন। বাদীর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট জহিরুল আলম বাবর। তিনি জানান, গত ২৮ নভেম্বর দুদক চেয়ারম্যান বরাবর সামীম মোহাম্মদ আফজালের দুর্নীতির অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এখনো দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া আবশ্যক। জবাবে দুদকের আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশের আলী মোল্লা জানান, সামীম মোহাম্মদ আফজালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট আদেশ দিতে পারে না।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৮ সপ্তাহের জন্য রিটের শুনানি মুলতবি করেন। হাইকোর্টের সময়-সীমার ৪ সপ্তাহ ইতোমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। তবে সামীম মোহাম্মদ আফজালের বিষয়ে দুদকের তৎপরতা এখনো দৃশ্যমান নয়। এ যাবত তাকে কোনো নোটিস করা হয়নি। তবে পুরনো একটি অনুসন্ধান এখন স্থবির অবস্থায় রয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে একবার সামীম মোহাম্মদ আফজালের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তৎকালিন উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলী দুর্নীতির প্রমাণস্বরূপ রেকর্ডপত্রও হস্তগত করেন। পরে আর অনুসন্ধানটি এগোয়নি। প্রায় ৮শ’ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগটিও সেই পরিণতি বরণ করে কি না-এ প্রশ্ন রেখেছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, অনুসন্ধান সম্পন্ন করার একটি সময়সীমা রয়েছে। সামীম আফজালের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে বহু আগে। এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি কমিশনে। কবে পড়বে-বলতে পারছেন না অনুসন্ধান কর্মকতারা। দুদকের সহকারি পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন আফজালের নিয়োগ দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন।

বিতর্কিত কর্মকান্ড ও দুর্নীতির অনুসন্ধান : ২০০৯ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে বার বার আলোচনায় আসে ইসলামীক ফাউন্ডেশনের (ইফা) তৎকালিন মহা-পরিচালক (ডিজি) সামীম মোহাম্মাদ আফজালের নাম। বিশেষ করে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা প্রকল্পের ৩৮ কর্মকর্তাকে মৌখিক নির্দেশে সরকারি চাকরিতে দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, ফিল্ড অফিসার পদে অতিরিক্ত নিয়োগ, প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাৎ ও ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

তার এ অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে প্রকল্প পরিচালক এ এম এম সিরাজুল ইসলামের যোগসাজশ থাকারও অভিযোগ রয়েছে। সামীম মোহাম্মদ আফজাল ইফা’র মহা-পরিচালক নিযুক্ত হওয়ার আগে জেলা জজ ছিলেন। নিয়োগ লাভের পর ব্যক্তিগত কর্মকান্ড ও আচার-আচরণ দ্বারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো র্ধীময় এ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করে তোলেন।

ইফা. সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম, ইমাম প্রশিক্ষণ ও তাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ইসলামের মর্মবাণী শিক্ষা দেয়া, বাংলা ভাষায় পুস্তক রচনা ও প্রকাশ, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানা মহতী উদ্দেশ্য ছিল ইসলামি ফাউন্ডেশনের সূচনালগ্ন থেকেই। এ ধারাবাহিকতায় ইফার মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের শিক্ষার্থী, ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং অভিভাবকদের নিয়ে ২০১০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইফার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফাউন্ডেশন ভবনে অনুষ্ঠান করা হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া। এ সময় কাঙ্গালিনী সুফিয়ার সঙ্গে করমর্দনও করেন সামীম মোহাম্মদ আফজাল। কাঙ্গালিনী সুফিয়ার একতারা এবং নাচ-গানে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন উপস্থিত ইমামরা।

এছাড়া একই বছর ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল ইফার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে জাতীয় শিশু-কিশোরদেও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে হামদ ও নাতের বিচারক হিসেবে আঁখি আলমগীরসহ এমন শিল্পীদের আনা হয় যাদের অনেকেই ইসলামী সঙ্গীত করেন না। এ নিয়ে অনেকেই তখন প্রশ্ন তোলেন। একই বছর ২৭ নভেম্বর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের সম্মানে আয়োজন করা হয় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

একপর্যায়ে ডিজির অনুরোধে ইমামদের সামনে মার্কিন তরুণ-তরুণীরা পরিবেশন করে অশ্লীল ব্যালে নৃত্য পরিবেশন করে। যদিও পরে সামীম আফজালের নিয়ন্ত্রণাধীন তৎকালিন ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, ব্যালে ড্যান্স নয় ৩৫ সেকেন্ডের ‘সুয়িং ড্যান্স’ ছিলো ওটা। অনুষ্ঠানে আগত মার্কিন তরুণীদের সঙ্গে হ্যান্ডশেকও করেন সামীম মোহাম্মদ আফজাল। তার এসব কর্মকান্ডের জন্য ২০১১ সালের ৭ আগস্ট ইফার মসজিদ মিশনের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. শাহাদাত হোসেন

শুধু বিতর্কিত কর্মকান্ড করেই ক্ষান্ত হননি সামীম মোহাম্মদ আফজাল। নিমজ্জিত হয়ে পড়েন আকণ্ঠ দুর্নীতিতে। গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতা হিসেবে প্রকল্পে রাখা সোয়া কোটি টাকা শিক্ষকদের না দিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ‘দাওয়াতি মাহফিল’ নামক অনুষ্ঠানের নামে এ টাকা খরচ দেখানো হয়। এ মাহফিলে শিক্ষকদের নিজ খরচে উপস্থিত থাকা শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক করা হয়।

এছাড়া প্রকল্পে ভুয়া কেন্দ্র দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ঢাকা শহরে ২ হাজার ও চট্টগ্রাম শহরে দেড় হাজার কেন্দ্র দেখানো হয় কাগজে-কলমে। ঢাকার ২ হাজার কেন্দ্র’র মধ্যে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ৪০টি, দক্ষিণ গেটে ২০টি ও কমলাপুর রেলস্টেশনে ১০টি কেন্দ্র’র তথ্য উল্লেখ করা হয়। এভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাসে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন সামীম মোহাম্মদ আফজাল।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিয়ন্ত্রিত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসিজদে পেশ ইমাম নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি এবং জালিয়াতিও করেন তিনি। ওই পেশ ইমাম পদে নিয়োগে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা, প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ৮ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। দ্বিতীয় শ্রেণীর পদেও বেতন স্কেল ধরা হয় ১৮,৫০০-২৯,৭০০ টাকা। এছাড়া প্রার্থীর বয়স সীমা নির্ধারণ করা হয় ৪০ বছরের জায়গায় অনূর্ধ্ব-৩০ বছর।

দুইজন পেশ ইমামের নিয়োগপত্রে প্রথম শ্রেণী এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদ মর্যাদা স্কেল দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার সময় বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে বায়তুল মোকাররমের তৎকালিন খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড.আবদুল্লাহ আল মারূফ এবং মূল সদস্য ইফার সচিব রেজাউল করিমসহ সংস্থার ১নং সিলেকশন কমিটির ১৪ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়ায় পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তৎকালিন মহা-পরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল ৮ বছরের চাকরির ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদপত্র দাখিল করে ওই দুই ইমামের মধ্যে তার এক ভাগ্নেকে নিয়োগ দেন।

এভাবে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সামীম মোহাম্মদ আফজালের বিরুদ্ধে। সংবাদ মাধ্যমে ওইসময় বিষয়টি ফলাও প্রচার হলে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় সংস্থাটির তৎকালিন উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলী রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দেন। চিঠিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা প্রকল্পের প্রজেক্ট কনসেপ্ট পেপার, অনুমোদিত ডিপিপি, আইএমইডি কর্তৃক প্রজেক্ট মূল্যায়ন প্রতিবেদন, প্রকল্পে নিয়োজিত ১২ জন ফিল্ড অফিসার, ২৩ জন ফিল্ড সুপারভাইজর ও তিন জন মাস্টার ট্রেইনার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও নোটশিট চান।

ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির বিলের কপি, প্রশিক্ষণ ও ভ্রমণভাতা খাতে ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত বরাদ্দকৃত বাজেট ও বিল ভাউচার, বর্ধিত খাতসমূহের খরচের হিসাব বিবরণীর সত্যায়িত ছায়ালিপি সরবরাহ করতে বলা হয় চিঠিতে। কিন্তু পরে অদৃশ্য ইশারায় থেমে যায় দুদকের অনুসন্ধান। অনুসন্ধানটি উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, তৌফিকুল ইসলাম, ঋত্বিক সাহার হাত হয়ে বর্তমানে মো. ইসমাইল হোসেনের হাতে রয়েছে বলে জানা যায়। তবে এ বিষয়ে দুদকের কোনো কর্মকর্তা কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব ভট্টাচার্য্য বলেন, কি অবস্থায় আছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।

এদিকে দুর্নীতির এই অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকা অবস্থায় সামীম মোহাম্মদ আফজালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের ৭শ’ ৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি অডিটেও ধরা পড়ে। সামাল দিতে পারবেন না জেনে পরে তিনি দুই দফায় ৭৩ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন। এর মধ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেই দুদকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী চৌধুরী।

কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা দৃশ্যমান না হওয়ায় সামীম মোহাম্মদ আফজালের দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে রিট করেন। তবে নাম প্রকাশ না করে দুদকের একজন পরিচালক বলেন, আত্মসাতকৃত অর্থ ফেরত দিয়ে সামীম মোহাম্মদ আফজাল এটিই প্রমাণ করেছেন যে, তিনি দুর্নীতিবাজ। চোরাই মাল ফেরত দিলে চুরি- অভিযোগের সত্যতাই প্রমাণ করে।

উল্লেখ্য, শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৯২ সাল থেকে সারাদেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। ৬৪৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পে সারাদেশের ৪৩ হাজার মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। প্রায় ১২ লাখ শিশু লেখাপড়া করছে এ প্রকল্পের অধীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (20)
Md Babu Md Babu ৮ মার্চ, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
দুদক এত পাগল হয়নি যে এত অল্প কয়টার জন্য দুদক অযথা সময় নস্ট করবে
Total Reply(0)
Harun Rashid ৮ মার্চ, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
সামান্য কিছু না,এটা বিএনপিও জমায়েতের পরিকল্পনা সরকারের বদনাম করাছাড়া কিছুইনা,
Total Reply(0)
Shamsul Hoque ৮ মার্চ, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
দাঁড়ি রাখলেই ভাল মানুষ হওয়া যায় না।এ হল বিড়াল তপস্যী/বক ধার্মীক।
Total Reply(0)
Mutaher Ali ৮ মার্চ, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
কিছুই হবে না। ভাগ বাটোয়ারা দেয়া আছে।
Total Reply(0)
M Aziz Uddin ৮ মার্চ, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
দুদক এই সব দেখে না।তারা দেখে শুধু তিন কোটি টাকা!!!!
Total Reply(0)
Torikul Islam ৮ মার্চ, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
এর কিছু হবে না ,কারণ এত আওয়ামী লীগের লোক।
Total Reply(0)
Md Sujon Khan ৮ মার্চ, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
দুদক সেইটা আবার কি? দুদক নামের জিনিসটাই এখন বিরক্তকর। উনারা ললপপ খাচ্ছে বসে বসে।
Total Reply(0)
Md Masud Hawlader ৮ মার্চ, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
দুদক খালেদা জিয়ার জামিন ঠেকাতে ব্যাসতো সময় পার করছে
Total Reply(0)
Ahmed Jahangir Hussain ৮ মার্চ, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
এই সরকার দুর্নীতি বাজদে আশ্রয় দেয় না, সংবিধান তৈরি করে, লঙ্ঘন করে না,এটা এমন সরকার কয়লাকে সুনা বানিয়ে,সুনার বাংলা গরতে চায়
Total Reply(0)
Mohammed Ismail ৮ মার্চ, ২০২০, ৩:৫৯ এএম says : 0
Very little amount,unnecessary time loss, picture like emmam sahib, this man cannot do corruption, but news is true, as much possible start the case
Total Reply(0)
Mohammad Hoque ৮ মার্চ, ২০২০, ৫:২৪ এএম says : 0
afzaler niyug ekta durniti. madrasha na pore ki bhave a chakri pelo ?
Total Reply(0)
salman ৮ মার্চ, ২০২০, ৫:৩৫ এএম says : 0
Awami Ponthi BOJJAT, KADIYANI VONDO ...............
Total Reply(0)
Md. hafijur rahman ৮ মার্চ, ২০২০, ৬:২৫ এএম says : 0
টকশোতে কথা বার্তা শুনে মনে হয়েছে যে,এর চাইতে সুফি আর কেউ নাই। কিন্তু উপরের বেশ- ভূষায় মানুষ প্রকৃত অবস্হা জানা যায় না।
Total Reply(0)
Nannu chowhan ৮ মার্চ, ২০২০, ৭:০৮ এএম says : 0
Islamke bitorkito korar jonnoi Shamim osmaner moto kulanggar lotera monafiqder niog dea hoy.eai gorottopurnno islamic foundation e.shoto shoto koti loot pat kore kivabe eairokom eakta dhomobirodhi lipto eai corrupt lokta ki kore 10, 11 botsor dhore eai pode bohal thake,dodok ki eaigoli janena ?jodi nai jane dodoker pod nia boshia boshiajonogoner takar sraddo korse keno?
Total Reply(0)
Alimur Reza ৮ মার্চ, ২০২০, ৭:৫৩ এএম says : 0
This is the real fact of our country if the Chairman of Islamic foundation did that corruption please take the necessary action against him.
Total Reply(0)
Monowar ৮ মার্চ, ২০২০, ৯:০৬ এএম says : 0
Strange,The training instructor of computer are not getting their salary last 4 months,How it possible!Need more investigation about it.
Total Reply(0)
সাহেদ ৮ মার্চ, ২০২০, ১০:৫২ এএম says : 0
এতো ভন্ড, বকধার্মিক,চোর দুর্নিতিবাজ লোক কিভাবে এমন একটা পবিত্র পতিষ্ঠানে ডিজি হয়? তর একটা টকশো দেখেছি টিবিতে তার কথার মধ্যে অনেক বেজাল ছিলো,আমার একটা বন্ধু ইসলামিক ফাউণ্ডেশনেে চাকরি করতো দূর্নীতির মহা উতসব চলে সেখা, তাইসে নিজেইচাকরি ত্যাগ করে এখন মাদ্রাসায় চাকরি করেন।
Total Reply(0)
Mahfuz ৮ মার্চ, ২০২০, ২:৪২ পিএম says : 0
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সরকারের আস্থাভাজন এক চরম অধার্মিককে, যে ফাউন্ডেশনের ভালো কিছু করা ত দূরের কথা, সম্পুর্ণ সংস্থার ইমেজকে কলুষিত করেছে। যে বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য তাঁর নিজের সবকিছু শেষ করলেন, তাঁর একটি স্বপ্নও কি আমরা পূর্ণ করতে পারবো না? তাঁর প্রতি এ অবিচার কি কখনোই শেষ হবে না? সত্যি কী অভাগা জাতি আমরা!!
Total Reply(0)
জামসেদ ৯ মার্চ, ২০২০, ৪:১৭ পিএম says : 0
কিছুই হবে না। কারণ আওয়ামী লীগের লোক। সকলকে ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া দুদক এত পাগল হয়নি যে এত অল্প কয়টা টাকার জন্য সময় নস্ট করবে, তার চেয়ে দুদক খালেদা জিয়ার জামিন ঠেকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঐটাই ভাল।
Total Reply(0)
Mohammad Anwar Hossain ১০ মার্চ, ২০২০, ১১:৩০ এএম says : 0
I don't want to pass any comment. All will judge in the next world.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন