শাবনূর যে চলচ্চিত্রকে অলিখিতভাবে বিদায় জানিয়েছেন তা এখন অনেকটাই নিশ্চিত। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে আর দেশে ফিরবেন না। সেখানেই স্থায়ী হওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শাবনূর নিজেও জানিয়েছেন, তিনি দেশে ফিরবেন না। অবশ্য অনেকটা অভিমান থেকেই কথাটি বলেছেন। তবে মাঝে মাঝে দেশে ফিরলেও চলচ্চিত্রে তাকে আর দেখা যাবে না, এটা নিশ্চিত। ডির্ভোসের পর অভিমানের সুরেই বললেন, দেশে ফেরার কোনও ইচ্ছা আমার আর নেই। একদিকে সুখে-শান্তিতে সংসার করতে পারলাম না। অন্যদিকে সালমানের অপমৃত্যুর সঙ্গে অনাকাক্সিক্ষত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে। তাই দেশে ফিরে কী করব! তিনি বলেন, আমার ছেলে আইজানকে এখানকার (সিডনী) স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। তাছাড়া এদেশে বেশকিছু ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত আছি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর দেশে ফিরবো না। এখন বাচ্চাটাকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে আমার প্রধান লক্ষ্য। ও হলো আমার একাকী জীবনের একমাত্র অবলম্বন। তিনি বলেন, দেশে ফেরার মতো মানসিক অবস্থা আমার আর নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেশে আর ফিরব না। এখানে সন্তানকে নিয়ে একটু শান্তিতে থাকতে চাই। সবাই আমার ও আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন। উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। তালাক কার্যকর হতে সময় লাগবে ৯০ দিন। এরমধ্যে সুযোগ আছে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিমাংসা করার। কিন্তু অনিকের সঙ্গে সমঝোতায় আসবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শাবনূর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন