মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মুকুলে ভরে গেছে আমের বাগান

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

সৈয়দপুর উপজেলার প্রতিটি আম গাছেই ভরে গেছে মুকুল। গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ মুকুল হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন প্রতিটি গাছসহ আমের বাগান মালিকরা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের পাড়া মহল্লাসহ শহর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন আম চাষিরা।
বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লালদিঘি এলাকার আম চাষি মনোয়ার হোসেন সেভেন্টি জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি আমের মুকুল হয়েছে এবং এ বছর আমের বাম্পার ফলন হওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, তার আমের বাগানে গাছ রয়েছে প্রায় দেড় হাজারের মতো। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও সুস্বাদু আম রয়েছে যেমন, হাড়িভাঙা, ল্যাংড়া, মিস্রি ভোগ, গোপাল ভোগ, খিরসাপাত, দুধ আম, গোলাপজাম, সূর্যপুরি, ফজলি আমসহ আরো একাধিক আম। আর এ কারণেই আমগাছের মুকুল ধরার আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ীরা আসেন তার বাগানে এবং এখান থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীরা উপজেলার আম চাষি ও বাগান মালিকদের অগ্রিম টাকা প্রদান করা হয় ।
কামারপুকুর ইউনিয়নের আম চাষি আমিরুজ্জামান জানান, বাণিজ্যিক শহর হিসেবে খ্যাত সৈয়দপুর। রংপুর বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগের সকল ব্যবস্থা আছে এখানে। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীদের অবস্থানসহ দৃষ্টি এখন সৈয়দপুরের দিকে। কৃষকরা অতিকষ্টে ঘাম ঝড়িয়ে ফল বা ফসল উৎপাদন করার পর পরই সেগুলো নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন অঞ্চলের বড় ব্যবসায়ীরা। তিনি আরও বলেন, এ মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি আম গাছেই মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে এবং চাষিরা শত কষ্ট হলেও তা পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। মুকুল ধরা থেকে আম ফল ফলন পর্যন্ত যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে শুধুমাত্র সৈয়দপুর উপজেলাতেই প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার আম বিক্রি হতে পারে বলে জানান তিনি।
আম বাগান মালিক, সেভেন্টি ও আমিরুজ্জামান বলেন, রংপুর বিভাগের সবচেয়ে সুস্বাদু আম হলো হাড়িভাঙা, মিস্রিভোগ, খিরসাপাত, ফজলি আম ও সূর্যপুরি আম। এসব আম রংপুর বিভাগের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করার জন্য নীলফামারীর সৈয়দপুরে আম সংরক্ষণের জন্য একটি সরকারি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহিনা বেগম জানান, গাছে গাছে যেভাবে আমের মুকুল দেখা গেছে তাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন না ঘটলে এবারে এ উপজেলায় ৩/৪ কোটি টাকারও বেশি আম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন