বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে কাজিপুরের কৃষক

প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
উত্তরাঞ্চলে কাক্সিক্ষত মাত্রার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের অভাবে এখানো অনেকে আমন ধান মাঠে রোপণ করতে পারেননি। তবে কেউ কেউ সেচ দিয়ে মাঠে ধান লাগানোর কাজ করছেন। এ অবস্থায় সেচসহ বিভিন্ন কারণে আমন মৌসুমের শুরুতেই কৃষককে গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। জানা গেছে, মাঠে কৃষিকাজ পরিচালনা করতে সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ৮৫০ থেকে ৯০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বৃষ্টিপাত হয়েছে অর্ধেকের কম। তাই বৃষ্টির পানিনির্ভর আমন আবাদ নিয়ে অনেকটা হতাশার মধ্যে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মসলিমপাড়া গ্রামের আর্দশ কৃষক আজগর আলী জানান, প্রতি বছর তিন থেকে চার বিঘা জমিতে আমন আবাদ করেন তিনি। তবে এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে তাকে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কৃষক আব্দুল মতিন জানান, মাঠে ১৩ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করার চিন্তা মাথায় নিয়ে বীজতলা তৈরী করা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিপাত বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে সব পরিকল্পনা মার খেতে বসেছে। সেচ দিয়ে অনেক কষ্টে ১৭ বিঘা জমিতে ধান লাগানো সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট জমিগুলো এখনো ফাঁকা পড়ে আছে বলে জানান তিনি। কৃষি অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় এবার আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ লাখ হেক্টর জমিতে। এ পরিমাণ জমিতে আমন রোপণের জন্য এপ্রিল-মে মাসের মধ্যেই বীজতলা তৈরীর পর মধ্যে জুন থেকে জুলাই মাসে জমিতে চারা রোপণের কথা কৃষকদের। কিন্তু পানির অভাবে বীজতলার আমন চারা জমিতে রোপণ করতে পারছেন না তারা। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে যেখানে ৯০ ভাগ জমিতে আমন লাগানোর কথা সেখানে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৬০ ভাগ পূরণ হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্র জানায়, সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ দিন বয়সের আমন চারা সেচ দিয়ে রোপণ করতে হয়। এর বেশি বয়েসী চারা রোপণ করে ও সেচ দিতে না পারলে ফলন কম হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের একটি সূত্র জানায়, হাতে এখনো বেশ সময় আছে। তাই সেচ দিয়ে হলেও কৃষকেরা তাদের লক্ষ্যমাত্র পূরণ করবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন