শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুই সিটির গাফলতিতে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে

বিচারিক অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের গাফলতিতে ডেঙ্গুর মতো মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গু রোধে ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আংশিক গাফলতি রয়েছে। তবে সংস্থা দুটিকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। এ কথা বলা হয়েছে ‘বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি’র প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবার এটর্নিজেনারেলের দফতরে প্রতিবেদন জমা পড়ে। ঢাকা জেরা জজের নেতৃত্বে দুই সদস্যের এ কমিটি প্রতিবেদন পেশ করে। আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি তারিক উল হাকিম এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইতিপূর্বে ডেঙ্গু ও চিকুনগুণিয়া নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখতে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১২ নভেম্বর ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের কমিটিকে এ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ও সিডিসি’র তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু জ্বরের অফিসিয়াল প্রাদুর্ভাব ছিল ২০০০ সালে। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করে ২০১৯ সালে। সরকারি হিসাবে ওই বছর ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। ‘মতামত’ অংশে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং অনান্য প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু মহামারি প্রকোপের ক্ষেত্রে ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আংশিক গাফিলতি থাকলেও এককভাবে সিটি করপোরেশন দুটিকে দায়ী করা যায় না। তাছাড়া কোনও ব্যক্তির একক গাফিলতিও অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ১৪ জুলাই আদালত তার আদেশে ডেঙ্গু ও চিকনগুণিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানাতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে নাগরিকদের ডেঙ্গু, চিকুনগুণিয়াসহ এ ধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে এবং এডিস মশা নির্মূলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন