বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিদেশিরা অপারগতা প্রকাশ করায় করোনার ঘোষণা

প্রেসক্লাবে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

সরকার করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করেছিল অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদেশী অতিথিরা যখন বাংলাদেশে আসতে অপারগতা প্রকাশ করলেন তখনই সরকার করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশ করলো। তিনি বলেন, সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে এতদিন কিছু বলেনি। তারা খুঁজে পায়নি। কী কারণে পায়নি তা জানি না। তবে হঠাৎ করে গতকাল খুঁজে পেয়েছেন। যখন বিদেশি অতিথিরা দেশে আসতে অপারগতা প্রকাশ করলেন তখনই এই তিনজনের নাম এলো।

গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ‘প্রগতি ও সত্যের সন্ধ্যানে’ ও ‘মূল্যবোধ অবক্ষয়ের খন্ডচিত্র’ নামে দুটি গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমার ধারণা তারা বিষয়টাকে পুরোপুরি গোপন করার চেষ্টা করেছেন। এ ব্যাধিটি দেশে অনেক আগেই এসেছে বলে অনেকের ধারণা। এ ধারণা সত্যিকার অর্থে এখন প্রকাশিত হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা মনে করি এ বিষয়ে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অবিলম্বে সব বন্দরে যথেষ্টসংখ্যক থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। মানুষের মধ্যেও সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালও নির্ধারিত করা দরকার।

খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে তিনি বলেন, যে মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে এ ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা জামিনে রয়েছেন, জামিন পেয়েছেন। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, একই মামলায় বিচার বিভাগ অন্যদের মুক্তি দেন তখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন না কেন?

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, কী ধরনের অশালীন কথাবার্তা। স্বয়ং একজন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪০০ টাকার মেজর তার একদিনের একটা বাঁশির ফুয়ে স্বাধীনতা আসেনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, একজন মেজরের বাঁশির সুরে সমগ্র জাতি স্বাধীনতার জন্য এগিয়ে আসে। আপনার তখন কেউ পলায়ন করেছিলেন, কেউ আত্মসমর্পণ করেছেন।

তিনি বলেন, অন্য কে অপমান করার মধ্য দিয়ে মহত্ত¡ গড়ে উঠে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের অবদান আছে তাদেরকে স্বীকার করে নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি দুর্ভাগ্যক্রমে তারা অন্য কাউকে স্বীকার করতে চায় না। না স্বীকার করতে চান, তাজউদ্দিন আহমেদকে, জেনারেল ওসমানীকে, না শহীদ জিয়াউর রহমানকে। অন্যদের কথা বাদই দিলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. মুসতাহিদুর রহমান, ডেইলি ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ড-এর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন