উত্তর : ইসলামের মৌলিক কনসেপশন হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিকে নকল না করা। যে জন্য কোনো কোনো ফকীহর মতে যে কোনো চিত্রাঙ্কন নিষিদ্ধ। তবে, নিষ্প্রাণ বিষয় বা প্রকৃতির চিত্র জায়েজ বলেন অধিকাংশ ফকীহগণ। প্রসিদ্ধ মত এই যে, ইসলামে প্রাণীর ছবি হারাম। দলীল স্বরূপ বলা যায়, নবী করিম সা. বলেন, কিয়ামতের দিন সর্বাধিক আজাব দেওয়া হবে চিত্রকরদের। বলা হবে, প্রাণী এঁকেছিলে এখন এদের প্রাণ দাও। প্রাণ দেওয়া যেহেতু আল্লাহ ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়, অতএব চিত্রকরদের আজাব দেওয়া হবে। হাদীস শরীফে আরও এসেছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না, যেখানে কুকুর এবং জীবের ছবি থাকে। এখানে শিকারের জন্য প্রশিক্ষিত কুকুর এ নিয়মের বাইরে। কেবল রোগ ছড়ানো ক্ষতিকর কুকুরই উদ্দেশ্য। এতে বোঝা যায়, সাধারণভাবেই ছবি হারাম। শরীয়তে ছবি বলতে কী বোঝায়, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ রয়েছে। শরীয়ত সমর্থিত ‘প্রয়োজন’ অনেক নিষিদ্ধ বিষয়কেও জায়েজ পর্যায়ে নিয়ে আসে। এসব খুবই গবেষণামূলক বিষয়। খুব বেশি জানাশোনা আলেম ও মুফতি ছাড়া সহজে এত গভীরে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। অতএব, স্পষ্ট বিধানের ওপর আমল করাই আমাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ ও তার রাসূল সা. এর হুকুম যতবেশি কড়াকড়িভাবে অনুসরণ করা যায়, ততই তাকওয়ার জন্য অধিক সহায়ক। আপনি মোবাইলে ছবি (অবৈধ ও অশ্লিল কিংবা যাকে দেখা নাজায়েজ তেমন মানুষের ছবি ছাড়া) তুলে রাখলে, কাগজে প্রিন্ট না দিলে, আপলোডও না করলে আপনার সাধারণ ছবি তোলার সমান গুনাহ নাও হতে পারে। তবে, এটাও যদি বর্জন করা যায় তাহলে খুবই ভালো।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com
মন্তব্য করুন