ইদলিবে লড়াই যখন প্রচন্ড রূপ নিয়েছে, তখন সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাস্তবিক সমর্থন দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। ইতিমধ্যে তুর্কি-গ্রিস সীমান্তে শরণার্থী সংকট কঠিন আকার নিয়েছে। হাজার হাজার শরণার্থী গ্রিসে ঢুকতে চাইলে নতুন করে বেড়ে ওঠা উত্তেজনা নিয়ে ইউরোপীয় ও ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ব্রাসেল গেছেন এরদোগান।- খবর আল-জাজিরার। এর আগে গতমাসে নিজেদের ভ‚খন্ডে শরণার্থীদের আটকে রাখতে পারছে না বলে জানিয়ে দেয় আংকারা। ন্যাটো সেক্রেটারি জেনস স্টোলেনবার্গের সঙ্গে আলোচনার পর এরদোগান বলেন, সিরিয়া থেকে আসা কয়েক লাখ শরণার্থীকে সামাল দিতে পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থন চেয়েছি। তিনি বলেন, এই সংকট সিরিয়া থেকে উদ্ভ‚ত। নিরাপত্তা ও মানবিকতার দিক থেকে যা আমাদের অঞ্চলের জন্য হুমকি। ইউরোপও এতে নিরাপদ না। কোনো ইউরোপীয় দেশের বিলাসিতার সুযোগ নেই, যে এ সংকট নিয়ে তারা উদাসীন থাকবে। শরণার্থীরা গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের সীমান্তে গিয়ে জড়ো হয়েছেন। এর আগে এরদোগান সরকার জানায় যে এসব শরণার্থীকে ধরে রাখা তাদের পক্ষে আর সম্ভব না। ইদলিবের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে তীব্র লড়াইয়ে কয়েক ডজন সেনা নিহত হওয়ার পর এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরদোগান বলেন, এই লড়াইয়ে আমাদের সব পশ্চিমা মিত্রের কাছ থেকে বাস্তবিক সমর্থন প্রত্যাশা করছি। তুর্কি এতদিন একাই লড়াই চালিয়ে আসছে। এই সংকটকালীন অবস্থায় ন্যাটোর সমর্থন অপরিহার্য। জাতিসংঘের তথ্য মতে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষ ইদলিব ছেড়ে পালিয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। বর্তমানে তুরস্কে আশ্রিত অবস্থায় আছে আরও ৩৫ লাখের অধিক সিরিয়ান শরণার্থী। যদিও উত্তেজনার কারণে নতুন করে শরণার্থীদের ঢলের আশঙ্কায় রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটি। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কের স্থলসীমান্ত দিয়ে প্রায় ১০ হাজারের অধিক শরণার্থী গ্রিস সীমান্তে জড়ো হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত সংখ্যাটি ৭৫ হাজারে পৌঁছেছে। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন