ইনকিলাব ডেস্ক : নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান নারী বিচারপতি হিসেবে সুশীলা কারকির নিয়োগ পার্লামেন্টের একটি প্যানেল সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করেছে। এতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার দেশের বিচার বিভাগের নেতৃত্ব দেয়ার পথ হলো। কারকির নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার মানে, নেপালে প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্টের স্পিকার ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নারীরা আসবেন। ৬৪ বছর বয়সী কারকি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। দুর্নীতি দমনে কোনো ছাড় না দেয়ার জন্য তিনি সুপরিচিত। পার্লামেন্টারি হিয়ারিং স্পেশাল কমিটিতে (পিএইচএসসি) বক্তব্য দেওয়ার সময় কারকি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারক স্বল্পতা রয়েছে। তিনি দ্রুত বিচারক নিয়োগ দিতে কমিটির প্রতি আহ্বান জানান। এ বছরের ১০ এপ্রিল বিচারিক কাউন্সিলে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কারকির নাম সুপারিশ করা হয়। তবে পিএইচএসসির কৌশলগত জটিলতার কারণে নিয়োগ পেতে দেরি হয় সুশীলার। নেপালের সমাজব্যবস্থা অতিমাত্রায় পিতৃতান্ত্রিক। ২০০৬ সালে ১০ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে নানামুখী পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় নারীর অন্তর্ভুক্তি বাড়ছে। সাংবিধানিক গণপরিষদ গত সেপ্টেম্বরে নেপালের রাজতন্ত্র যুগের পরবর্তী প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করে। এতে সরকারের সব শাখায় নারীদের আনুপাতিক অন্তর্ভুক্তির অধিকার এবং সম্পত্তির ওপর সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট স্পিকারের পদেও বসেছেন নারীরা। এতে সেখানকার সমাজে পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন