শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা

নতুন করে কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ৩০ রাষ্ট্রদূতের, দু’দিনের মধ্যে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস মিলারের : যত্রতত্র কফ থুথু পানের পিক ফেলা,

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

পৃথিবীজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) পাদুর্ভাব ঘটেছে বাংলাদেশ। গত রোববার ৩ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমন সনাক্ত হয়েছে। এই খবর জানাজানি হওয়ার পর দেশজুড়ে জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। সবার মধ্যে ভর করেছে এক ধরনের ভীতি। তবে বিশেষজ্ঞরা আতঙ্কিত না হয়ে অধিক সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে করোনাভাইরাস ছোঁয়াছে রোগ হওয়ায় যেখানে এ রোগী নেই সেখানকার মানুষের আতঙ্কের কিছুই নেই। কিন্তু রোগটি থেকে দূরে থাকার জন্য বাড়তি সতর্কতা আবশ্যক। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ বাংলাদেশি রোগী বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মোট চারজন। তিনজনের দেহে করোনা পাওয়া গেলেও অন্যজন এ ভাইরাস আক্রান্ত কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একই সঙ্গে ওই ৩ জনের পর নতুন করে কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ টিসহ এখন পর্যন্ত মোট ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কেউ আক্রান্ত নয়। করোনা সংক্রান্ত হট লাইন চালুর পর গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৬৮টি কল এসেছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। বর্তমান অবস্থায় দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এবিএম আবদুল্লাহসহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা করোনা প্রতিরোধে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের বানিজ্যিক ও পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় একযোগে কাজ করতে করণীয় নিয়ে ৩০ দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জরুরী বৈঠক করেছেন। এ সময় সবাই সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বাংলাদেশ সরকারকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আগামী দুই দিনের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানেরও আশ্বাস দেন। সচেতনায় গুরুত্বারোপ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইনকিলাবকে জানান, জনগণকে বলব, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা যদি সকলে মিলে কাজ করি, সতর্কতাগুলো মেনে চলি, পাবলিক গ্যাদারিং পরিহার করি- যেগুলো আমরা বলে আসছি, আশা করি করোনাভাইরাস আমরা প্রতিরোধ করতে পারব। তিনি বলেন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম আমরা আগে থেকেই নেয়া হয়েছে। এখন নতুন করে পোস্টার ও ব্যানার তেরি করা হচ্ছে। শিগগিরই তা সারাদেশে পৌঁছে দেয়া হবে।

এদিকে রাজধানীসহ সাারদেশের নিত্যদিনকার চিত্র কফ, থুথু, পানের পিক ফেলা এবং যত্রতত্র হাঁচি-কাশি দেওয়া। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসসহ সার্চ, মার্স, যক্ষা, শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি বা অ্যাজমা, কাশি, মাথাব্যথার মতো বহু রোগের বিস্তার ঘটে। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে যত্রতত্র কফ, থুথু, পানের পিক ফেলা যাবে না ও বিশেষ করে হাঁচি-কাশির পর সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে যত্রতত্র যাতে কফ, থুথু, পানের পিক না ফেলা হয় এ জন্য সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনে এর জন্য সরকারকে কঠোর আইন করারও ইঙ্গিত দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া অনেকের মতে, প্রতিদিন রাজধানীসহ সারাদেশের সঙ্গে বাস-ট্রেন-লঞ্চের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন-আসছেন। কিন্তু এসব যানবাহন প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না। তাই এ থেকেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করে যানবাহনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে সেখানে কফ থুথু ফেলা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনে। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় জনসমক্ষে থুথু ফেলাকে। যেখানে সেখানে যখন তখন কফ থুথু ফেলা শুধু বদ অভ্যাসই নয় এর কারণে আর্থিক ও সামাজিকভাবে একটা দেশ অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তাদের মতে, যেহেতু থুথু বা কফ ভেজা অবস্থায় থাকে সেক্ষেত্রে ভাইরাসটি জীবিতও থাকে অনেক বেশি সময়। এর ফলে সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে এসে থুথু ও কফ থেকে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। যত্রতত্র থুথু ফেলা নিষিদ্ধ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এমনকি ভারতেও কিছু এলাকায় আইন হয়েছে এবং জরিমানারও বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে এধরনের আইন নেই এবং সচেতনতা তৈরিরও কোনও উদ্যোগ নেই। বাংলাদেশের অনেক সমস্যার মাঝে যেখানে সেখানে থুথু ফেলাটা হয়তো সামান্য মনে হতে পারে কিন্তু এই সমস্যাটির সমাধান বিনামূল্যেই করা সম্ভব। এজন্য শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা।

এদিকে নতুন করে কোন প্রবাসী বাংলাদেশী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন নি। আইইডিসিআর’র মতে, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, ইটালি ছাড়া অন্যান্য কোন দেশে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রবাসী বাংলাদেশী আক্রান্ত হন নি। সিঙ্গাপুরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশী রোগীর অবস্থার উন্নতি হয় নি, আরেকজন প্রবাসী বাংলাদেশী-ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দিল্লীতে উহান থেকে আগত ২৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক দিল্লী শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে একটি কোয়ারেন্টিনে আছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

আইইডিসিআর সূত্র মতে, গত ২৪ ঘন্টায় মোট স্ক্রিনিংকৃত যাত্রীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬১ জন। আর গত ২১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৪০ হাজার ৭১৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ৩টি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিদেশ থেকে আগত স্ক্রিনিংকৃত যাত্রীর সংখ্যা গত ২৪ ঘন্টায় ৬ হাজার ২৭৯ জন। আর ২১ জানুয়ারি থেকে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪ জন। দু’টি সমুদ্র বন্দরে (চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও মংলা সমুদ্র বন্দর) স্ক্রিনিংকৃত যাত্রীর সংখ্যা গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৭, আর ২১ জানুয়ারির পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৮০ জন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে গত ২৪ ঘন্টায় স্ক্রিনিংকৃত যাত্রীর সংখ্যা ২৪৬ জন, আর ২১ জানুয়ারির পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৫ জন। এছাড়া অন্যান্য চালু স্থলবন্দরগুলোতে গত ২৪ ঘন্টায় স্ক্রিনিংকৃত যাত্রীর সংখ্যা ৫ হাজার ৩৫৯ জন, আর ২১ জানুয়ারির পর থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫১০ জন।

আইইডিসিআর’র ব্রিফিং : আক্রান্ত তিন জনের পর বাংলাদেশে আর কারো শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সাতজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে বিদেশফেরত যাত্রী রয়েছেন। তবে কারোও শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। আক্রান্ত তিন জনসহ মোট ৮ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিত কোয়ারেন্টিনে আছে আরও ৪ জন।

নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার পর গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তিন জনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও এক নারী রয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ জানিয়ে প্রফেসর ফ্লোরা বলেন, এদের দুজনের মধ্যে মৃদু উপসর্গ ছিল। কিন্তু এ অবস্থায় তাদের বাড়িতে ফিরতে দেয়া যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী পরপর দুইবার নমুনা পরীক্ষায় যদি আক্রান্তের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি নেগেটিভ হয়, তাহলেই হাসপাতাল থেকে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

প্রফেসর ফ্লোরা বলেন, নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমিত দেশ থেকে যারা দেশে ফিরছেন, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন বাসায় থাকতে (সেলফ কোয়ারেন্টিন) বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় না হলে তারা বাসার বাইরে যাবেন না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সিনিয়র সিটিজেনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ৬৫ বছরেরও বেশি বয়স যাদের, তাদের জন্য বিশেষ অনুরোধ অত্যাবশ্যকীয় না হলে বাসার বাইরে যাবেন না। সভা-সমাবেশ বা ভিড়ের মধ্যে না যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ টিসহ এখন পর্যন্ত মোট ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কেউ আক্রান্ত নয়। এদিকে করোনা সংক্রান্ত হট লাইন চালুর পর গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৬৮টি কল এসেছে বলেও জানান তিন।

৩০ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠক
করোনাভাইরাস নিয়ে ৩০ দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জরুরী বৈঠক করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীস্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বাংলাদেশে অবস্থিত বিশ্বের ৩০টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে করোনাভাইরাস নিয়ে এক জরুরি বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিন কোরিয়া, জাপান, ইটালি, ইরান, ভারতের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ৩০ জন রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনাভাইরাসের ফলে বর্তমান সময়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং করোনাভাইরাসের ফলে বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের বানিজ্যিক ও পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে এই ভাইরাস মোকাবেলায় একযোগে কাজ করার কথা তুলে ধরেন। এ সময় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিজ নিজ দেশের করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এ সময় করোনা ভাইরাসে তাঁর দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এসময় বাংলাদেশ সরকারকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আগামী দুই দিনের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানেরও আশ্বাস দেন।

চীন, ইরান, দক্ষিন কোরিয়া, ইটালিসহ আক্রান্ত অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের ভিসা আদান প্রদানে পরবর্তী করনীয় বিষয়ে রাষ্ট্রদূতরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে উপস্থিত সকলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে বলে জানান। বিদেশি কূটনীতিক ও আগুন্তুকদের সাথে করোনাভাইরাস নিয়ে কোথায় কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে সে বিষয়েও স্বস্থ্যমন্ত্রী সভায় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় উপস্থিত সকল রাষ্ট্রদূত এসময় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ও একে অপরের সাথে সহযোগীতাপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।

ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আক্রান্ত হলেই যে মৃত্যু হবে এমন নয়। আক্রান্তদের অধিকাংশই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন, এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। তাই আমাদের সচেনতা বাড়াতে হবে। সবার প্রতি অনুরোধ আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন। তিনি জানান, আক্রান্ত তিনজন সুস্থ আছেন। ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, এই রোগের সবচেয়ে বড় প্রতিকার হচ্ছে সতর্ক থাকা। সতর্কতা বিষয়ে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো সাধ্যমত মেনে চলার চেষ্টা করুন। করমর্দন থেকে বিরত থাকুন। নিয়মিত ভালোভাবে হাত ধোয়া। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়া। একই সঙ্গে সম্ভব হলে গণপরিবহন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, যতোটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা’র) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান কিছু সুপারিশ তুলে ধরে ইনকিলাবকে বলেন, যত্রতত্র থুথু ফেলা নিষিদ্ধ করে আইন এবং জরিমানা করার বিধান রাখতে হবে। জনগণকে যেখানে সেখানে প্রকাশ্যে কফ থুথু ফেলা বন্ধ করার বিষয়ে সচেতনতামূলক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে কফ থুথু যেখানে সেখানে না ফেলে রাস্তার পাশে ডাস্টবিনে ফেলতে উৎসাহিত করতে হবে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা এবং সরকার থেকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষের ভেতর তৈরি হওয়া আতঙ্ক কমিয়ে এই ভাইরাস প্রতিরোধে সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
মনির হোসেন মনির ১১ মার্চ, ২০২০, ২:৫১ এএম says : 0
আশা করি শিঘ্রই এই করনার প্রকোপ কমে আসবে,
Total Reply(0)
Sajjad Ahmmad ১১ মার্চ, ২০২০, ২:৫৪ এএম says : 0
Thanks for this type of positive news. Mainstream media can help us.
Total Reply(0)
সাদ্দাম ১১ মার্চ, ২০২০, ২:৫৭ এএম says : 0
করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আক্রান্ত হলেই যে মৃত্যু হবে এমন নয়।
Total Reply(0)
কাওসার আহমেদ ১১ মার্চ, ২০২০, ২:৫৭ এএম says : 0
আমাদের সচেনতা বাড়াতে হবে। সবার প্রতি অনুরোধ আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন।
Total Reply(0)
খুরশিদ শাহ ১১ মার্চ, ২০২০, ২:৫৮ এএম says : 0
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক।
Total Reply(0)
জামিল ১১ মার্চ, ২০২০, ২:৫৯ এএম says : 0
যারা বিশ্বের এই ক্রান্তি লগ্নে এসে সামান্য মুনাফার কথা চিন্তা করে তারা কখনও মানুষ হতে পারে না । এরা পশুর চেয়েও অধম
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন