শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অ্যাপসের মাধ্যমে বোরো ধান সংগ্রহ হবে : খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

বোরো মৌসুম দেশের ৬৪ উপজেলা থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ বছর সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সোয়া ছয় লাখ টন আমন ধান ক্রয় করেছে। আমন ধান কেনার ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানান তিনি।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমন ধান সংগ্রহ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ও কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, চাকরির মেয়াদ অল্প থাকা কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএসএফএ) চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়াকে সংস্থাটির কার্যকর হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা। আমন মৌসুমে অ্যাপসের মাধ্যমে ১৬ উপজেলা থেকে ধান কেনায় সফলতা আসায় আগামী বোরো মৌসুম থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এবার ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৯১ মেট্রিকটন আমন ধান, ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৮ টন সিদ্ধ চাল এবং ৪৩ হাজার ৯০০ টন আতপ আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারই প্রথম সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৬ লাখ ২৭ হাজার টন আমন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৮ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল ও ৪৩ হাজার ৪০১ মেট্রিকটন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। কৃষকদের নায্যমূল্য দেওয়ার জন্য। এ কার্যক্রম যথাযথ প্রক্রিয়ায় করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২৫ টিম মাঠে কাজ করছে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অনেক সময় কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় না। ফলে তারা তাদের প্রয়োজনগুলো কীভাবে মেটাবে সেই প্রশ্ন থেকে যায়। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সরাসরি প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবো। আশা করছি, এবছরের মতো আগামীতেও সুষ্ঠুভাবে ধান কিনতে পারবো। তবে বোরো ধান কেনার সময় একটি সমস্যা হয়েছে থাকে। কারণ তখন বর্ষা মৌসুম চলে। সেসময় ধানে আদ্রর্তা কমে যায়। কৃষকরা কর্মকর্তাদের ফোন করলে তারা বাড়ি গিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ধানের আদ্রর্তা মেপে আসবে।এতে করে কৃষকের হয়রানি কমবে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও, এটি এখনও কার্যকর হতে পারেনি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল ছিল না। ইতোমধ্যে তারা জনবল নিয়োগ দিয়েছে। প্রত্যেক জেলায় অফিস করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে মূল সমস্যাটা হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে যিনিই আসেন, তারই দেড়মাস-দুই মাস চাকরি থাকে। একজন যাওয়ার পর আরেকজন আসলেন, তিনি দুইমাস-আড়াইমাস পর চলে গেলেন। এরপর চেয়ারম্যান দিতে দিতে, আজ দেব, কাল দেব, দিতে দিতে জনপ্রশাসন...ওইখানে একজন শক্ত লোক ছাড়া কিন্তু হবেও না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন