তুরস্ক সীমান্ত দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢুকতে চেষ্টা করা অভিবাসীদের ওপর গ্রিসের নিরাপিত্তা বাহিনী নাৎসিদের মতো বলপ্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তুর্কিশ পার্লামেন্টে গ্রিক সীমান্তের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে এরদোগান বলেন, সেখানে যা দেখা যাচ্ছে- নাৎসিরাও ঠিক এমনটিই করত। জার্মানির নাৎসিদের সঙ্গে এর কোনো ফারাক নেই।
হাজার হাজার অভিবাসী তুর্কি সীমান্ত দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য গ্রিসে ঢোকার চেষ্টা করছেন। শরণার্থীদের নিজ ভূখণ্ডে আটকে রাখার বিনিময়ে ইউরোপীয় অর্থ সহায়তা পাবে বলে ২০১৬ সালে একটি চুক্তি হয়েছিল।
কিন্তু গত মাসে তুরস্ক ঘোষণা দেয়, এই কয়েক লাখ শরণার্থীকে নিজ ভূখণ্ডে আটকে রাখা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না।
শরণার্থীদের গ্রিসে ঢোকা ঠেকাতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করতে দেখা গেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। এক মাসের জন্য আশ্রয়ের আবেদনগুলো স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে গ্রিস।
দেশটি জানায়, গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৪২ হাজার লোককে অবৈধভাবে নিজ ভূখণ্ডে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে।
‘নিরপরাধ লোকজনের ওপর গুলি করা হচ্ছে, সব ধরনের অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে। বিশ্ববিবেকের সামনেই তারা এই বর্বরতা চালাচ্ছে।’
কাজেই পশ্চিম ইউরোপীয় ধনিক দেশগুলোতে অভিবাসীদের পথ সহজ করে দিতে তাদের গ্রিসে ঢুকতে অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, কেন গ্রিস তাদের এভাবে আটকে রাখছে? কেনইবা নাৎসিদের মতো তাদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে?
এর আগে গ্রিসের বিরুদ্ধে গুলি করে চার অভিবাসীকে হত্যার অভিযোগ করেছিলেন এরদোগান। যদিও সেটিকে ভুয়া খবর বলে অস্বীকার করেছ এথেন্স। গ্রিস জানায়, ইউরোপীয় সীমান্তের সুরক্ষা দেয়া তাদের দায়িত্ব।
সূত্র: আল জাজিরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন