দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতা এখনও বড় দুর্যোগ উল্লেখ করে বক্তারা বলেছেন, প্রতিবছর শুধু চাক্তাই, খাতুনগঞ্জে কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এ দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগের কোন বিকল্প নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি ও পরিকল্পনা কমিশনের যৌথ উদ্যোগে ‘ইকনোমিক ইমপেক্ট অব ওয়াটারলগিং ইন লোকাল ট্রেড ঃ এ স্ট্যাডি ইন খাতুনগঞ্জ, চট্টগ্রাম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্্িরয়াল সেক্টর রিস্ক প্রোফাইল ফর চট্টগ্রাম’ শীর্ষক কর্মশালায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথি পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন বলেন, ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে প্রকল্প গ্রহণ করা হলে তা বাস্তবায়নযোগ্য হয় এবং সুফল পাওয়া যায়। জলবায়ু পরিবর্তন জনিতকারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাহাড়ধস এবং পানিবদ্ধতা এখনো দূর্যোগ হিসেবে রয়ে গেছে। তাই এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মাস্টারপ্ল্যান যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসাথে কাজ করতে হবে।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতি বর্ষায় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পানিবদ্ধতায় কোটি কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকার রাজস্ব হারায়। চাক্তাই খাল, রাজাখালী খালসহ সংশ্লিষ্ট খালগুলোর মুখ ভরাট হওয়ার কারণে জোয়ার ও বৃষ্টির পানি আটকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রাখার গুদামগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সিডিএর অধীনে ৫ হাজার ৬শ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তবে এখনো উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হয়নি। ইউএনডিপির প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট আরিফ আবদুল্লাহ খান বলেন, ভূমিকম্প, পানিবদ্ধতা, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি জলবায়ুজনিত দূর্যোগ ও পরিবর্তন শিল্প খাতকে কিভাবে প্রভাবিত করবে তা ভবিষ্যৎবাণী করা সম্ভব হয় না। তাই ঝুঁকি মূল্যায়ন করে বিনিয়োগ করা ও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি কি হবে তা উদ্ভাবন করা এ সমীক্ষার অন্যতম লক্ষ্য। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, জেলা প্রশাসনের ডিডিএলজি (উপ-সচিব) ইয়াসিন পারভিন তিবরিজী, আর্কিটেক্ট ও আরবান প্ল্যানার জেরিনা হুসেন, সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. শহীদুল ইসলাম খান ও প্রধান প্রকৌশলী হাবীব মহিউদ্দিন, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন