নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার পর দেশটির মানুষের মধ্যে মৌলিকভাবে পরিবর্তন এসেছে। আর এমন মন্তব্য করেছেন কিউই প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মুসলমানদের সঙ্গে কিউই জনগণ আরও বেশি সম্পৃক্ত হয়েছেন।’ গত বছরের ১৫ মার্চ নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ক্রাইস্টচার্চে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি ওই কথা বলেন।
গতকাল শুক্রবার জাসিন্ডা ওই দুই মসজিদের সদস্যদের সঙ্গে একটি বিশেষ যৌথ প্রার্থনায় অংশ নেন। আগামীকাল রোববার একটি জাতীয় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। তিনি হত্যাকান্ডের দিনটিকে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে অন্ধকার দিন হিসেবে অভিহিত করেন।
জাসিন্ডা বলেন, ‘কিউই জনগণ তাকে জানিয়েছে যে তারা ওই হামলার পর প্রথমবারের মতো মসজিদে যায় এবং তারা বিশ্বাসের পার্থক্যের বিষয়ে আরও প্রকাশ্য আলোচনা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক বছর পরে, আমি বিশ্বাস করি, নিউজিল্যান্ড এবং এর জনগণ মৌলিকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটি নিশ্চিত করতে হবে দৈনন্দিন কাজকর্মে। আমরা বর্বরতা, হয়রানি, বর্ণবাদ, বৈষম্যমুক্ত একটি জাতি গড়ে তুলব।’
নামাজের সময় হামলায় আল নুর মসজিদ থেকে ওইদিন বেঁচে যাওয়া ফরিদ আহমেদও কিউই প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছিলেন। ওই হামলায় তার স্ত্রী নিহত হন। তিনি বলেন, ‘যদি কারো মত ও বিশ্বাসের পার্থক্য থাকে, তবে সে ব্যাপারে আমাদের আলোচনা করা উচিত। একে অপরকে প্রশ্ন করা উচিত। তবে একে অপরকে ভয় পাওয়া উচিত নয়।’ সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন