বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

অবশেষে পেঁয়াজে স্বস্তি

রাজধানীর কাঁচাবাজার অপরিবর্তিত সবজির দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

অবশেষে পেঁয়াজে মিলল স্বস্তি। কমেছে পেঁয়াজের দাম। ভারত রফতানি বন্ধের আদেশ তুলে নেয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করে। মাসেরও কম সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে তিন ভাগের এক ভাগে চলে এসেছে। রাজধানীর বেশিরভাগ খুচরা বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে দেশি পেঁয়াজ।
গতকাল রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার, ফকিরাপুল, রামপুরা, শান্তিনগর, মালিবাগ হাজীপাড়া, সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব থেকে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা। আর মোটামুটি ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকার মধ্যে। এক সপ্তাহ আগে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০-৮০ টাকা। আর মার্চের শুরুতে ছিল ১০০-১২০ টাকা কেজি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত রফতানি বন্ধ করলে দেশের বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। এরপর সরকারের নানামুখী তৎপরতায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও তা আর একশ টাকার নিচে নামেনি। এখন খুচরার পাশাপাশি পাইকারিতেও পেঁয়াজের দাম কমেছে। রাজধানীতে পেঁয়াজের অন্যতম পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে বাছাই করা ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আর অবাছাই করা দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৫ টাকা কেজি।
শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত রফতানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর থেকেই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে যে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০-৯০ টাকা বিক্রি করেছি, এখন তা ৩২-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করছে। ভারতের পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম হয় তো আরও কমতে পারে।
শ্যামবাজারের মতো কারওয়ান বাজারেও মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকার ওপরে। বাজারটিতে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৮ টাকা, যা কিছুদিন আগে ছিল ৯০ টাকার ওপরে। এদিকে খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রামপুরা, খিলগাঁও ও মালিবাগ অঞ্চলে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা। তবে শান্তিনগর বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কমেছে। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক দেশি পেঁয়াজের থেকে বেশি। ভালো মানের আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। আর বড় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা।
পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুনের দামও কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-৯০ টাকা।
এদিকে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ, করলা, টমেটো, শশা, শিম, শালগম, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। করলা আগের মতো ১২০-১৩০ কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পিস। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।
এছাড়া শসা ২০-৩০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি পিস ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ২০-৩০ টাকা, শালগম ২৫-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে পটল, মুলা ও বেগুনের দাম কিছুটা কমেছে। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম কমে ৩০ টাকায় নেমেছে। পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০-৮০ টাকা কেজি। আর কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) আগের মতোই ১৫-২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-৫০০ টাকা। নলা (ছোট রুই) মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০-১৭০ টাকা, পাঙাশ ১৪০-১৮০ টাকা কেজি, শিং ৩০০-৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৪৫০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। গরুর গোশত ৫৫০-৫৭০ টাকা এবং খাসির গোশত ৭০০-৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাছ ও গোশতের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন