বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঘটনার তিনদিন পর কাজীকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা

সখিপুর(টাঙ্গাইল) | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২০, ৬:১৭ পিএম

বাল্যবিবাহ ঘটনার তিনদিন পর শনিবার বিকালে যাদবপুর ইউপি কাজী হেলাল উদ্দিনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।নিজ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমাউল হুসনা লিজা এ দন্ড প্রদান করেন। এর পূর্বে একই ঘটনায় বাল্যবিবাহের অপরাধে কাজী‌র সহযোগীকে এক বছর, বর, ব‌রের বাবা ও চাচা‌কে ছয় মাস ক‌রে কারাদ‌ণ্ডের আ‌দেশ দি‌য়ে‌ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।ঐ সময় কনের মা, দাদা, বড়ভাই ও কনের খালাতো ভাইকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার রাত ১০ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদাল‌তের নির্বাহী ম্যাজি‌স্ট্রেট ও সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা এ আ‌দেশ দেন।জানা যায়, গত বুধবার উপজেলার বোয়ালী গ্রামের সিরাজ মিয়ার প্রবাসী ছে‌লে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বি‌য়ে রে‌জি‌স্ট্রি হয়। ওই বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের কাজী হেলাল উদ্দিনের সহকারী ও বোয়ালী ডিগ্রি কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক নাসির উদ্দিন। খবর পে‌য়ে বুধবার বিকেলে ইউএনও এ বাল্য‌বি‌য়ের স‌ঙ্গে সং‌শ্লিষ্ট‌দের ধ‌রে এনে নিজ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান। প‌রে কাজীর সহকারী (সাব কাজী) নাসির উদ্দিনকে এক বছর, বর রফিকুল ইসলাম, বরের বাবা সিরাজ মিয়া এবং চাচা আলম মিয়াকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন। অন্য‌দি‌কে কনের মা, কনের দাদা, কনের বড়ভাই ও কনের খালাতো ভাইকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এ ঘটনায় যাদবপুর ইউনিয়নের কাজী হেলাল উদ্দিনকেও আই‌নের আওতায় আনার চেষ্টা চল‌ছে।এ সময় কাজী হেলাল উদ্দিন পালিয়ে গিয়েছিল।ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, সখিপুরে আশঙ্কাজনক হা‌রে বাল্য‌বি‌য়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পে‌য়ে‌ছে। আজ‌কের এ সাজা সক‌লের জন্যই সতর্কবাণী হ‌বে ব‌লে আশা কর‌ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
shagor ১৪ মার্চ, ২০২০, ৭:২২ পিএম says : 0
ছেলেদের ২১ বছর ও মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে করা যাবে না। চাই ছেলে ১৫-১৬ বছরে বালেগ হওয়ার পর যতই জৈবিক চাহিদা জাগুক অথবা যতই অসহ্য হয়ে ক্লাস মেটের সাথে কুকর্ম করুক। আর চাই মেয়ে ১৪-১৫ বছর বয়সে যতই ছেলেদের আকৃষ্ট করুক এবং ফ্রেন্ডদের সাথে শারিরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ুক। এটা উভয়ে সেচ্ছায় হলে অবৈধ কিছুও নয় বটে। শুধু বিবাহের মাধ্যমে হলে অবৈধ। বাল্যবিবাহের মধ্যে এমন এমন মারাত্মক ক্ষতি, যেটা রাষ্ট্রীয়ভাবে দমন করা অত্যন্ত জরুরী ছিল। এত তাড়াতাড়ি একটি মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে আকাম-কুকামের বাজারে মন্দা পড়বে। এত তাড়াতাড়ি ছেলেটি বিয়ে করে ফেললে সমাজ চলবে কিভাবে??? সমাজে মেয়েদের পিছনে ঘুরে জীবন নষ্ট করার গৌরবোজ্জল ঐতিহ্য রক্ষা পাবে কিভাবে???? চাহিদার সময় বিবাহ না করলে স্বাস্থগত কোন ক্ষতিই নেই। বহুদিন জৈবিক চাহিদা দমন করে রাখতে না পারার কারণে বিভিন্ন অনৈতিক পন্থায় যে বীর্যপাত ঘটে সেটাও স্বাস্থের জন্য কোন ক্ষতি না। আসলে ভদ্র মানুষের সেক্স কম। ভালো মানুষের তো সেক্সই থাকে না। শুধু মাত্র খারাপ পরিবারের দুয়েকজন ছেলে মেয়ে বিয়ের আগে অনৈতিকভাবে বীর্যপাত ঘটায়। বাকি সবাই তো ভালা ই। তাই দুয়েকজনের জন্য আর কী করা যায়??
Total Reply(0)
shagor ১৪ মার্চ, ২০২০, ৭:২৮ পিএম says : 0
এই নবম শ্রেণীর ছোট্ট শিশু ছাত্রীটিকে বিয়ে দিয়ে তার উজ্জল ভবিষ্যতটা নষ্ট করে দিতে চেয়েছে। এত ছোট্ট ছাত্রীটি স্বামীর সংসারের কী বুঝে?? সে কিভাবে কী করবে?? সে কিভাবে বচ্চা গর্ভে ধারণ করবে??? আল্লাহ না হয় কি বুঝে তার গর্ভে বাচ্চা দিয়েই দেন, কিন্তু আমরা কিভাবে এত অমানবিক হতে পারি??? তাই যারা এহেন কর্ম করতে চেয়েছে তাদের জরিমানা হওয়া ও শাস্তি হওয়া যথোচিতই ছিল বটে। কোন ধর্মই এমন জঘন্য কাজকে সমর্থন করবে কি না, আল্লাহ ই জানেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন