বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করোনার প্রতিষেধক তৈরি

অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের দাবি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইসরায়েল, কানাডা ও বিট্রেনের পর এবার করোনভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলার ঘোষণা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এটি বাজারে আসতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে জানিয়েছেন তারা।
ব্রিসবেনের কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিজ্ঞানী এই সাফল্যের দাবি করেছেন। তাদের আবিষ্কৃত প্রতিষেধক করোনাভাইরাসকে (কোভিড-১৯) কার্যকরভাবে নিষ্ক্রিয় করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে গবেষণা দলের প্রধান ভাইরাল প্রোটিনের স্থিতিশীলতার বিষয়ে পোস্ট-ডক্টরাল স্টাডি সম্পন্ন করা ডক্টর কিথ চ্যাপেল বলেন, ‘আমাদের মনে হয় আমরা একটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলতে সক্ষম হয়েছি।’ গবেষণায় তাকে সহায়তা করেন তার দুই সহকর্মী পল ইয়ং এবং ট্রেন্ট মুনরো।

তারা ২৫০টি বিভিন্ন ধরণের প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণার পরে অবশেষে সফল হয়েছেন। তারা এই প্রতিষেধকের নাম দিয়েছেন ‘এস-স্পাইক’। এই প্রতিষেধক বর্তমানে পরীক্ষাগারে ইঁদুরের উপরে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং আগামী জুন মাস থেকে এটি মানব দেহে প্রয়োগ করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে এই প্রতিষেধকটি বাজারে পাওয়া যেতে পারে।

এ বিষয়ে চ্যাপেল জানান, যে কোন প্রতিষেধকটি মানবদেহে প্রয়োগের আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করতে হয়। তিনি বলেন, ‘সাতশ’ কোটি মানুষের জন্য একটি প্রতিষেধক তৈরির অর্থ, আমাদেরকে এর যে কোন প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞানীদের যে কোনও বাণিজ্যিক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং ভ্যাকসিনের সুরক্ষা বা দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।’

বিজ্ঞানীরা জানান, কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন আবিস্কৃত ডিএনএ ভিত্তিক ‘মলিকুলার ক্ল্যাম্প’ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। এই প্রযুক্তিতে চীনের প্রকাশিত করোনভাইরাস ডিএনএ সিকোয়েন্স ব্যবহার করে এমন একটি প্রোটিন তৈরি করা হয়েছে প্রকৃত ভাইরাসের মতোই দেখতে। এই প্রোটিনটি ভ্যাকসিনের মূল উপাদান, যা মানুষকে সুরক্ষা দেয় এমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম। ইতিমধ্যে এই প্রতিষেধক ইবোলা এবং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ল্যাব পরীক্ষার প্রতিশ্রুত ফলাফল দেখিয়েছে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে প্রতিষেধকটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আনার উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যার জন্য ব্যয় হতে পারে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার। সূত্র : ডেইলি মেইল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Debabrata Chatterjee ১৫ মার্চ, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
যারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সন্মধে অবহিত নন,তাদের উদ্দেশ্যে বলি, এটা বিজ্ঞানসম্মত, জার্মানির মতো উন্নত দেশে এর প্রচলন সর্বাধিক, আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি যে সমস্ত রোগের চিকিৎসা এলোপ্যথিতে সারে না, তা হোমিওপ্যাথিতে সারানো সম্ভব, কিন্তু আমরা রোগীকে শেষ অবস্থায় নিয়ে যাই, যখন দেখি এলোপ্যথিতে কিছু হলো না দেখে, দ্বিতিয়ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় একটি রোগের অনেকগুলি ওষুধ হয়, এই ওষুধ নির্বাচন করা খুবই কঠিন, রোগীর মানসিক চরিত্র যদি ওষুধের চরিত্রের সাথে মিলে যায়, তা হলে যে কোনো রোগ সারাতে 100% সক্ষম, কিন্তু তার জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন ।
Total Reply(0)
অতীশ চন্দ্র মাহাত ১৫ মার্চ, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
ডাক্তার বাবুর মনে হয় বিজ্ঞান(Science) সম্বন্ধে আরও একটু পড়াশোনা করা উচিত। কেন না হোমিওপ্যাথিও যে একটা বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসাপদ্ধতি তা না জেনে উনার এই মন্তব্য করা উচিত হয়নি।
Total Reply(0)
Shyamsankar Garai ১৫ মার্চ, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
কুইনাইন ছাড়াই হোমিও ঔষধ ম্যালেরিয়া সারাতে পারে বলে WHO যখন মানতে রাজী হন না তখন করোনা নিয়ে হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রতিষেধক ব্যাবহারে মিডিয়াসহ এত লোকের মাথাব্যাথা কেন ?
Total Reply(0)
Bapi Baskey ১৫ মার্চ, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
বিশ্বাস এ মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর । হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এর তো কোনো সাইড এফেক্ট নেই তাই চিনির দানা বা চিনি গোলা জল ভেবে খেয়ে নিয়ে মন কে শক্ত করা হোক না , অসুবিধা তো নেই । মন যদি শক্ত হয়, শরীরে করোনার আসতেও ভয় হয় ।।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন