২০১৯ সালের হজে স্বদেশ ওভারসীজের (১৫৩১) ১০৪ জন হাজীর ১ কোটি ৩ লাখ টাকা লোপাট করে গা ঢাকা দিয়েছে বাগেরহাটের প্রতারক শামসুদ্দিন তোহা। প্রতারক মুনাজ্জেম শামসুদ্দিন তোহার বিরুদ্ধে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেক কোর্টে হজের টাকার চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন স্বদেশ ওভারসীজের স্বত্বাধিকারী খায়রুল ইসলাম ঠাকুর। আদালত প্রতারক তোহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
হাবের সাবেক মহাসচিব এম এ রশিদ শাহ সম্রাটের আশ্রয় প্রশ্রয়ে প্রতারক তোহা বিদেশ ভ্রমন (৭০১) ও মক্কা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের (০৯৫) ১০৪ জন হজযাত্রী ট্রান্সফার করে স্বদেশ ওভারসীজের মাধ্যমে গত বছর হজে পাঠায়। হজের মৌসুমে প্রতারণার শিকার হয়ে খারুল ইসলাম ঠাকুর এসব হজযাত্রীদের সউদী আরবে পাঠাতে বাধ্য হন।
হাবের সাবেক মহাসচিব সম্রাট প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাবের নাম বিক্রি করে মতিঝিলস্থ শাহ জালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে স্বদেশ ওভারসীজের ৪জন হজযাত্রীর নামে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকার ভূয়া স্বাক্ষর দিনে ঋণ এবং ২ জন হজযাত্রীর নামে জমাকৃত ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উঠায়। যে চার জন হজযাত্রীর নামে ঋণ উঠায় সে সব হজযাত্রীকে হজে না পাঠিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অন্য হজযাত্রীদের হজে পাঠানো হয়। এছাড়া এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনার সঠিক বিচার না করে বেআইনী
প্রভাব খাটানোর দরুণ যুগ্ম সচিব আমিন উল্লাহ নূরীর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। হাবের সাবেক মহাসচিব সম্রাট গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে বলেন, এসব অভিযোগ সবই মিথ্যা। তিনি কোনো জালিয়াতির সাথে জড়িত নন বলেও দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন