বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করোনা অবরোধ থেকে মুক্তি সউদী মরুভূমিতে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২০, ৭:২৪ পিএম

গত সপ্তাহের শেষের দিকে করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় সউদী আরব আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়ার পর সেখানকার বাসিন্দারা বিনোদনের জন্য আবারও চিত্তাকর্ষক ‘এজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’সহ উন্মুক্ত খোলা মরুভূমির দিকে ঝুঁকছেন।

সউদী সরকার সম্প্রতি সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসাবে জনসাধারণের জন্য সিনেমা ও কনসার্টসহ বিভিন্ন ধরণের বিনোদনের উপরে থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে, তবে ভাইরাসের বিস্তারের কারণে কর্তৃপক্ষ আবারও এসব বিনোদন নিষিদ্ধ করতে পারে। এ কারণে বাসিন্দাদের মধ্যে রাজধানী রিয়াদের অদূরে মরুভূমিতে ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গাইডরা।

অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে অবকাশ যাপনের জন্য অনেকেই রাজধানী রিয়াদের উত্তর-পশ্চিমে ‘দ্য এজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ সাইটে ঘুরতে যাচ্ছেন। রিয়াদ থেকে সেখানে গাড়ি চালিয়ে যেতে দুই ঘন্টার মতো সময় লাগে। সেখানে ৩০০ মিটার উঁচু চূড়াগুলো থেকে বিস্তৃত মরুভূমি ও মরুদ্যানের দৃশ্য অবলোকন করা যায়।

সেখানে ঘুরতে যাওয়া পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা খালিদ আল-হারবি বলেন, ‘আমি ট্রেল হাইকিং উপভোগ করতে এসেছি কারণ সিনেমা এবং পাবলিক স্পেসের মতো অনেক জায়গা বন্ধ থাকায় আমরা কোথাও যেতে পারছি না।’

রিয়াদের বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিক সারাহ জানান, ‘ইদানিং শহর এলাকায় লোকজন কম বের হচ্ছে। তবে এখানে ঘুরতে আসার মতো খুব সুন্দর জায়গা রয়েছে। এখানে খোলা জায়গায় মুক্ত তাজা বাতাস উপভোগ করা যায়। এখানে প্রচুর লোক রয়েছে তবে প্রচুর জায়গাও রয়েছে।’

সউদী আরবে এখন অবধি ১০৩ জন করোনভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কারও মৃত্যু মারা যায়নি বলে জানা গেছে। দেশটি সম্প্রতি ‘ওমরাহ’ পালন স্থগিত করেছে এবং বেশিরভাগ রোগী পূর্বাঞ্চলীয় কাটিফ শহরে সনাক্ত হওয়ায় জায়গাটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ খেলাধুলা, বিনোদন এবং কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে, পরস্পরের সাথে করমর্দন নিষিদ্ধ করেছে এবং ৩ কোটি লোককে তাদের চলাচল সীমাবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

বাস এবং বিভিন্ন ট্রান্সেোর্ট সার্ভিস পরিবার এবং তরুণদের এক দিনের ট্র্যাকিংয়ে জন্য মরুভূমির ক্লিফগুলোতে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে জেবাল ফিরায়েন নামে পরিচিত এই জায়গাটি দিয়ে প্রাচীনকালে বাণিজ্য কাফেলাগুলো চলাফেরা করত। সেখানে নিয়মিত গান, নাচ, ফোয়ারার সাথে ক্যাম্পফায়ারে বারবিকিউয়ের আয়োজন করা হচ্ছে।

সেখানে উদ্ধারকর্মী হিসাবে কাজ করেন আবদুল রহমান, যিনি এলাকাটি নিজের হাতের তালুর মতোই চেনেন। তিনি জানান, করোনা নেতিবাচক, তবে ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে এই জায়গাটিতে লোকের সমাগম। সূত্র: রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন