শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইইউ’র সাথে সম্পর্ক নির্ধারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান

প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রিটেনের দ্রুত সম্পর্ক নির্ধারণের তাগিদ দিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। গত সোমবার ইউরোপীয় দেশগুলোর কুটনৈতিকদের সাথে এক বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ব্লক এবং বার্লিনের সাথে দেশটির কি সম্পর্ক হবে ব্রিটেনকে তা শিগগিরই নির্ধারণ করতে হবে। কেননা লন্ডন ও বার্লিন এই ব্লকের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। তাছাড়া ইইউভুক্ত বাকি ২৭টি দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপারও এর সাথে জড়িত। তাই লন্ডনকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
এর আগে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রস্থানে যুক্তরাজ্যকে সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মারকেল। ইইউর ছয় প্রতিষ্ঠাতা দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মারকেল ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে জার্মানির ঘনিষ্ঠ অংশীদার যুক্তরাজ্যের প্রস্থানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় তাদেরকে পুরো প্রক্রিয়ায় আরো সাবধানতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। মারকেল তার বিবৃতিতে বলেন, ইইউর ছয় প্রতিষ্ঠাতা দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ২৮ দেশের ব্লক থেকে ব্রিটেনের দ্রুত প্রস্থানের বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়।
তিনি আরও জানান, ব্রিটেন তাদের একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগী হিসেবে বিদ্যমান থাকবে এবং লিসবন চুক্তির ৫০ ধারায় ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। এদিকে, আল জাজিরার সাথে এক সাক্ষাতকারে মাল্টার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ ভেলিয়া জানান, যুক্তরাজ্য সম্পর্কে মারকেলের মূল্যায়নের সাথে তিনি একমত এবং ইইউ থেকে প্রস্থানে ঐক্যবদ্ধভাবে যুক্তরাজ্যকে সহযোগিতা করা উচিত।
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য ইইউতে ফিরে না গেলেও পারষ্পরিক সম্পর্ক ভালো থাকবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সাথে ভোট এবং যুক্তরাজ্যের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনার পর ক্যামেরন বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যের প্রস্থানের পর ইইউর বাকি সদস্যরা যুক্তরাজ্যের সাথে সম্ভাব্য সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
ক্যামেরন বলেন, ভবিষ্যতে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি আরও বলেছিলেন, অভিবাসনের বিষয়টি যুক্তরাজ্যের ভোটারদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় ছিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে একটি একক বাজারে প্রবেশ যুক্তরাজ্যের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হবে বলে তিনি মনে করেন।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেন, ইইউর অবশ্যই যুক্তরাজ্যের জনগণের ভোট ও ফলাফলের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত এবং তারা যদি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে এককভাবে বাণিজ্যে প্রবেশ করতে চায়, তবে তা তারা করতে পারে। কিন্তু জার্মান রাজনীতিবিদরা মনে করেন, যুক্তরাজ্য ইইউকে সঠিকভাবে মূল্যায়নে ব্যর্থ হয়েছে।
মিসেস মারকেল আরো বলেন, যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিটের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে ডিনার সভায় খুব নিবিড় ও গভীর আলোচনা করা হয়েছিলো। সেখান থেকে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের এই ফলাফলে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের ৫০ ধারার আইনগত বৈধতার বিষয়টি তুলে ধরেন। মারকেল গণভোটের বিষয়ে ক্যামেরনের পক্ষ হয়ে জানান, ক্যামেরন গণভোটে একটি ভিন্ন ফল আশা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবে জনগণের কাছ থেকে তা প্রতিফলিত হয়নি। বিবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন