বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অস্ট্রেলিয়ায় আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৪৬ পিএম

অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস সন্দেহে যাদের সেলফ আইসোলেশনে রাখা হয়েছে, বাড়িতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যাদের বাড়িতে পাওয়া যাবে না, তাদের শাস্তিস্বরূপ কারাদণ্ড প্রদান বা জরিমানা করা হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৬ হাজার ৫১৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ২৯৯ জনের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে তিনজন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডুটন। তিনি কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ডেইলি মেইল বলছে, করোনা সন্দেহে যাদের সেলফ আইসোলেশনে রাখা হয়েছে, বাড়িতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছে পুলিশ। কুইন্সল্যান্ড পুলিশ একাই ১ হাজার ৮৫০ জনের বাসায় গিয়ে চেক করেছে। তবে তাদের কাউকে জরিমানা করা হয়নি।
করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এই কড়াকড়ির অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানো সব বিদেশি নাগরিককে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। স্থানীয় সময় রোববার মধ্যরাত থেকে দেশটিতে পা রাখা সব আন্তর্জাতিক যাত্রীকে সেলফ আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, দেশে যেন করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে কারণেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাসা বাড়ি বা ভাড়া বাড়িতে-যেখানেই হোক না কেন, আইসোলেশনে থাকার সময় কোথাও (অফিস, স্কুল, চাইল্ডকেয়ার, বিশ্ববিদ্যালয় বা জনসমাগম হয় এমন জায়গা) যাওয়া যাবে না। এই নির্দেশ কেউ অমান্য করলে তাকে রাজ্যভেদে এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে গত মাসে ‘পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন পাস হয়েছে। এতে করোনাভাইরাস বিষয়ে দেশটির নির্দেশনা অমান্যকারীর ১৩ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রী) অ্যানাস্তাসিয়া পালাসচুক বলেছেন, ‘কেউ এই নোটিশ মানছে কি-না, তা নিশ্চিত হতে পুলিশ বিচ্ছিন্নভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিসের (কিউপিএস) একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০ জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে তাদের কারোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’ তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কুইন্সল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে কিউপিএস।
রাজ্যজুড়ে এক মাস জরুরি অবস্থা জারি করে নাগরিকদের গ্রেফতার, চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ ও উন্মুক্ত স্থানে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখার জন্য পুলিশ ক্ষমতা দিয়েছে ভিক্টোরিয়া রাজ্য।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন