করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো ইউরোপে প্রতিনিয়ত মুত্যুর রেকর্ড বাড়ছে। এরই মধ্যে আতঙ্কে যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম পেলেস ছেড়েছেন দেশটির রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ। দেশটিতে জরুরি স্বাস্থ্য সংকট দেখা দেয়ায় উইন্ডসোর ক্যাসেলের উদ্দেশ্যে ৯৩ বছরের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করেছেন বলে জানায় দ্যা সান।
প্রসাদসূত্র জানায় রানির স্বাস্থ্য ভালো আছে তবে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। প্রাসাদে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশের অনেক রাজনৈতিক নেতাদের আগমনে কর্মকর্তাদের মধ্যে করোনা আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
রাজপ্রাসাদটি দেশটির মধ্যভাগে অবস্থিত হওয়ায় এবং প্রাসাদে অনেক কর্মকর্তাদের অবস্থানের ফলে সেখানে করোনা ঝুঁকি বাড়তেছিল। সংকট চলাকালীন সময়ে রানির কোর্টও সাময়িকভাবে সরিয়ে দেয়া হবে।
করোনার প্রভাবে গতকাল সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে ৭০ বছরের বেশি বয়স্কদের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই আলাদা করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বয়স্কদের সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে বয়স্কদের আগামী চার মাস পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে সরকার। বর্তমান প্রজন্মের কাছে করোনা ভাইরাস সবচেয়ে বড় জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে সরকার ‘ইমার্জেন্সি বিল’ আনতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হ্যানকক।
তিনি আরো জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থার কথা মাথায় রেখে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) দফতরকে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক দ্রব্য প্রস্তুত করে না, এমন সংস্থাগুলোকেও সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছে প্রশাসন।
এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে মারা গেছেন আরো ১৪ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫। এছাড়া নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২৫১ জনের শরীরে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৫ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন