স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মিত শৃঙ্খলা বাহিনীর মর্যাদায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে সন্দেহজনক যে কাউকে গ্রেফতারের অধিকার দিয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিল ২০১৬ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে এ বিলটি পাস করা হয়। এর আগে কন্ঠ ভোটে বিলটির উপর আনিত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। পরে সংসদীয় কমিটির স্থিরকৃত আকারে বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করেন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ দ্বারা ১৯৭৬ সালে দ্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ কার্যকারিতা হারায়। প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও জনগণের আইনানুগ অধিকার বহাল ও অক্ষুণœ রাখার স্বার্থে অধ্যাদেশের আবশ্যকতা ও প্রাসুঙ্গকতা পর্যালোচনা করে নতুন আইন প্রণিত হয়। আইনটি ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।
বিলে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মিত শৃঙ্খলা বাহিনীর মর্যাদায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হবে। বাহিনীর তত্ত্বাবধান সরকারের উপর ন্যস্ত থাকবেন। বাহিনীর প্রধান হবেন চিফ ইন্সপেক্টর। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহন ও অস্ত্রসহ দায়িত্ব পালন করতে পারবে। ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা পরোয়ানা ব্যতীত সন্দেহবশত বা রেলওয়ে সম্পদ চুরি বা ক্ষতিসাধনের অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে রেলওয়ের সীমানার মধ্যে আত্মগোপন করার প্রস্তুতি নেওয়ার সন্দেহে যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবেন। বাহিনীর সদস্যরা ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রমিক ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য বা সম্পর্ক রাখতে পারবেন না বা কোনো মিছিল বা সমাবেশে অংশ নিতে পারবেন না। বাহিনীর কোনো সদস্য-কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য কোনো সংবাদ, চিঠি বা দলিল প্রকাশে সহযোগিতা করবেন না।
এছাড়া বাহিনীর কোনো সদস্য অস্ত্র গোলাবারুদ, পোশাক পরিচ্ছদ ইচ্ছাকৃতভাবে বিনষ্ট করলে বা হস্তান্তর করলে ৫ বছরের কারাদ-ে দ-িত হবেন। বাহিনীর কোনো সদস্য অবাধ্য ও শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণ বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানোর দায়ে দোষী সাবস্ত্য হলে আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত, অপসরাণ বা বাধ্যতামূলক অপসারণ করতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন