ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শালিসে শহর ছাত্রলীগের সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার দিনগত রাত ১টায় শহরের মেড্ডা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বঘটিত ঝামেলা মিমাংসার জন্য মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকার মেডিনোভা হাসপাতালের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহসহ এলাকার লোকজন শালিসে বসে। শালিসের এক পর্যায়ে বর্তমান সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল শালিস সভাস্থল ত্যাগ করেন। এর পরপরই সভাপতির অনুসারীরা সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা কাটাকাটি ও অশোভন আচরন শুরু করে। তাৎক্ষনিক সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনকে জানালে সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন। তখন কথা কাটাকাটির এক পযায়ে মেড্ডা এলাকার শাহজাদা ও সজীব পিস্তল উচিয়ে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মিকাইল হোসেন হিমেলকে লক্ষ্য করে ২রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এসময় তাদের সাথে অন্যরা আরো ৩-৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ জানান, সজীব ও শাহজাদ এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রবাজ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ক্ষমতা দেখিয়ে এলাকায় নৈরাজ্য তৈরী করার চেষ্টা করছে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত শোভন জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ভাইয়ের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এসময় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি হিমেলসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে হঠাৎ সজীব ও শাহজাদা পিস্তল বের করে গুলি ছুড়তে থাকে। তারা শহরের অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাসী। তাদের সাথে জেলা ছাত্রলীগের কোন সম্পর্ক নেই। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, এটা বড় কোন বিষয় না। এটা সামান্য ভুল বুঝাবুঝি। মেড্ডা এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি আলমগীর মিয়া জানান, এলাকার ঝামেলা নিয়ে শালিস বিচার চলাকালীন এই গুলির ঘটনা ঘটে। আল্লাহর রহমত গুলি কারো গায়ে লাগেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম জানান, আমারা এই ব্যাপারে শুনেছি। কোন অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে ছাত্রলীগের দু’পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন