জার্মান নৌবাহিনী আগামী জুনে তাদের স্যাক্সনি-ক্লাস এয়ার ডিফেন্স ফ্রিগেট হামবুর্গ ভারত মহাসাগরে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। এটি কয়েকটি বন্দর সফর ও ফরাসী দ্বীপ রিইউনিয়নে নেভাল পোউও-তে অংশ নেবে। বড় আকারের সমাবেশকে পোউও বলা হয়।
মে মাসে হামবুর্গ তার যাত্রা শুরু করবে। তার আগে এটি নরওয়ে উপকূলে ইন্টারসেপ্টর টেস্ট ফায়ারিংয়ের অংশ নেবে। ভারত মহাসাগরে প্রায় পাঁচ মাস অবস্থান করবে হামবুর্গ। দীর্ঘ এই সফরকালে প্রশিক্ষণ মিশনের সূচিও তৈরি করা হয়েছে। জুনের শেষ দিকে এটি রিইউনিয়নে ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়ামে অংশ নেবে। এরপর বেশ কয়েকটি বন্দর সফর ও মহড়া শেষে পৌছাবে অস্ট্রেলিয়ায়।
এ বিষয়ে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশ থেকে অনেক দূরে নতুন জলসীমায় জার্মান প্রতিরক্ষা বাহিনীর নেতারা কেমন পারদর্শিতা দেখান তা যাচাইয়ের জন্য হামবুর্গকে মোতায়েন করা হচ্ছে। অনেকে মনে করেন হামবুর্গ মিশনে মাধ্যমে জার্মান সামরিকবাহিনীর তার ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্প্রসারিত করতে চাচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব কিয়েলের নেভাল অ্যানালিস্ট সেবাস্টিন ব্রান্স বলেন, এই মোতায়েন সঠিক পথেই একটি পদক্ষেপ। বেশ কয়েক বছর ধরে জার্মান নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল আন্দ্রেস ক্রাউস বলে আসছেন যে ভারত মহাসাগরে জার্মানির উপস্থিতির প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, কিছু দিন হলো ভারত মহাসাগরের পরিবেশে নৌবাহিনী কাজ করছে। তারা আরব উপসাগরে অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডমের ব্যানারে সন্ত্রাস-দমন অভিযানে মাইন অপসারণের কাজ করে। সোমালিয়া উপকূলের অদূরে আটলান্টায় ইইউ’র ব্যানারে জলদস্যুতা দমন অপারেশন পরিচালনা করে। তিনি আরও বলেন, ভারত মহাসাগর হলো একটি সংবেদনশীল ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক ক্ষেত্র। এই এলাকার মধ্য দিয়ে জার্মানির নৌযোগাযোগের পথ গিয়েছে। এখানে প্রভাব বিস্তারের জন্য পরাশক্তিগুলো প্রতিযোগিতা করছে।
গত ডিসেম্বরে ডিফেন্স নিউজের এক উপ-সম্পাদকীয়তে নৌবাহিনী প্রধান ক্রাউস তার দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ বলয়ের রূপরেখা ব্যাখ্যা করেন। তিনি লিখেন, এটা হলো উত্তর আটলান্টিক তথা উত্তর সাগর ও বাল্টিক সাগর থেকে শুরু করে ভূমধ্যসাগর হয়ে বিস্তীর্ণ ভারত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। সূত্র: ডিফেন্স নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন