সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চাঞ্চল্যকর শিশু তুহিন হত্যা মামলায় শিশুটির বাবা মো. আব্দুল বাছির ও চাচা মো. নাছির উদ্দিনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ ওযাহিদুজ্জামান শিকদার। একই মামলায় শিশু তুহিনের অপর দুই চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির ও জমসেদ আলীকে বেখসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ১১ টায় এ রায় দেন বিজ্ঞ আদালত।
জানা যায়, জেলার দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামে গত ১৩ অক্টোবর দিনগত রাতে শিশু তুহিন তার বাবা কাছে ঘুমিয়ে ছিল। গভীর রাতে বাবা, চাচারা ও চাচাতো ভাই মিলে গ্রামের প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য বাবার কাছে ঘুমে থাকা শিশু তুহিনকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে লিঙ্গসহ বিভিন্ন অঙ্গ কেটে ও পেটে দুটি ছুরি ঢুকিয়ে গ্রামের মসজিদের পাশে গাছে ঝুঁলিয়ে রাখে। পরে তুহিনের মা মনিরা বেগম ঘুম থেকে উঠে দেখেন তুহিন ঘুমে নেই। তিনি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তুহিনকে খোঁজাখুঁজি করে গ্রামের মসজিদের পাশে একটি গাছে তুহিনের লাশ ঝুঁলানো অবস্থায় পায়। পরদিন ১৪ অক্টোবর সকালে খবর পেয়ে পুলিশ তুহিনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরসহ ৫ জনকে আটক করে। ওইদিনই শিশু তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামি করে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ গত ৩০ ডিসেম্বর ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। তুহিনের চাচাতো ভাই আসামি শাহরিয়ার আহমদ ওরফে শাহারুলের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তার বিচার সুনামগঞ্জ শিশু আদালতে বিচার হয়। গত ১০ মার্চ সুনামগঞ্জের শিশু আদালতের বিচারক আসামি শাহারুলকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন। অপরদিকে, ৪ আসামির মধ্যে তুহিনের বাবা মো. আব্দুল বাছির ও চাচা মো. নাছির উদ্দিনকে ফাঁসি এবং অপর দুই চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির ও জমসেদ আলীকে বেখসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন