বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেনকে সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয় থেকে আকষ্মিকভাবেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক পদে বদলির আদেশ জারি করায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক পদে নতুন পদায়ন করা হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদকে। উভয়কেই আগামী ২০ মার্চের মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতেও বলা হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে শেবাচিম হাসপাতাল ও কলেজের চিকিৎসকদের সাথে পরিচালক ডা. বাকির হোসেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটছিল। চিকিৎসকরা পরিচালকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছিলেন। তবে ডা. বাকির হোসেন এসব অভিযোগের বিষয়ে ‘জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া হলে চিকিৎসকদের প্রিয়ভাজন হওয়া যায়না’ বলে মন্তব্য করেছেন। হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ডা. বাকির হোসেন শেবাচিম হাসপাতালে যোগদানের পর এখানে অনৈতিক উদ্দেশ্যে গঠিত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সিন্ডিকেটগুলো ভেঙ্গে দেন। দায়িত্বপালন করা নিয়ে তিনি চিকিৎসকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনার চেষ্টা করেন। তাতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও মেডিকেল অ্যাসোশিয়েসনের (বিএমএ) শেবাচিম শাখার কতিপয় সুবিধাবাদী নেতাদের সাথে ডা. বাকির হোসেনের মনস্তাত্তিক বিরোধ চলছিল।
এসবের জের ধরেই তাকে আকষ্মিক বদলির আদেশ দেয়া হয় বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে। রাজনৈতিক দর্শনে তিনি আপদমস্তক আওয়ামী লীগার। কিন্তু তিনি বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিকে জনহিতৈষী হাসপাতালে রূপান্তরের চেষ্টা করতে যেয়েই চিকিৎসক কর্মচারীসহ সকলের বিরাগভাজন হন বলে অনেকে মন্তব্য করেন। আকস্মিক বদলি আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে ডা. বাকির হোসেন বলেন, ‘এভাবে বদলি আমিও চাইনি। কেন করা হল তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন। তবে সরকারি আদেশ মানতেই হবে’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন