শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

অবশেষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা : বেটার লেট দ্যান নেভার

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

পৃথিবী ব্যাপী করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নিয়ে যে ভয়াবহ উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের প্রশাসনের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, তাকে সেই উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠা তেমনভাবে স্পর্শ করতে পারেনি। তাই যদি না হবে তাহলে যেখানে বিদেশে বিমান ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে, অনেক দেশে অফিস আদালত বন্ধ করা হয়েছে, কোনো কোনো দেশে ব্যাংকও বন্ধ করা হয়েছে, আর স্কুল কলেজ তো প্রায় সব দেশেই বন্ধ হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ এত ঢিমেতেতালা গতিতে চলেছে কেন? গত ৫/৭ দিন থেকে শিক্ষক সমিতি অর্থাৎ বিশ^বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক এবং কলেজ শিক্ষকরা সমস্ত বিশ^বিদ্যালয় এবং কলেজ বন্ধ করার দাবি করে আসছিলেন। অন্যদিকে স্কুল এবং মাদ্রাসার সংখ্যা বিপুল হওয়ায় ঐ সব স্কুল এবং মাদ্রাসার শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার দাবি জানাতে পারেননি। কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলে দেখা গেছে যে, প্রতিটি শিক্ষক মনে করছেন য, স্কুল ও মাদ্রাসা খোলা রেখে এসব কোমলমতি শিশু-কিশোরদের করোনাভাইরাসের মতো ভয়াবহ ও মারাত্মক বিপজ্জনক হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন এবং উৎকন্ঠিত হয়েছিলেন স্কুলকলেজের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ। যখন তারা দেখেন যে, কর্তৃপক্ষ স্কুল খোলা রাখার ব্যাপারে একগুঁয়ে মনোভাব দেখাচ্ছেন, তখন তারা নিজেদের সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য নিজেরাই তাদেরকে স্কুল-কলেজে পাঠানো থেকে বিরত থাকেন। রোববার রাতের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা গেলো, বিশ^বিদ্যালয়ের অনেক ক্লাসে শুধু চেয়ার। কোনো ছাত্রছাত্রী নাই। একাধিক অধ্যাপক ফাঁকা ক্লাস ঘুরে নিজ নিজ চেম্বারে ফিরে যান। তারপরেও শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন যে স্কুল বন্ধের মতো পরিস্থিতি নাকি তখনো সৃষ্টি হয়নি। যেখানে ঢাকার বিমানবন্দর এবং আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে বিদেশগামী যাত্রীদের বিচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থা বিরাজ করছে সেখানে দিপু মনি আগ বাড়িয়ে বলেছেন যে, বিমানবন্দর গুলোতে অনেক ভালো প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। করোনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কান্ডকীর্তি দেখে মনে হয়েছে যে, সরকারের মন্ত্রণালয় সমূহ এবং মন্ত্রীদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলছেন যে, স্কুল-কলেজ ছুটি হবে কি না হবে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। এব্যাপারে তার কিছু বলার নাই। আর ঐ দিকে দিপু মনি বলছেন যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রীর কথাই যদি ঠিক হবে তাহলে পরের দিন অর্থাৎ সোমবার দিনের প্রথমার্ধেই কেন সিদ্ধান্ত হলো যে, মঙ্গলবার ১৭ মার্চ, থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে? কেমন করে মাত্র ১২ ঘণ্টা আগেও দিপু মনি বললেন যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি? তাই যদি হবে তাহলে মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই কি সেই পরিস্থিতি পাল্টে গেল? পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে শিক্ষামন্ত্রী কি বোঝাতে চেয়েছেন? বাংলাদেশে মাত্র ৫ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে, এই কারণে কি? সংখ্যাটি অত্যন্ত কম, সেই কারণে কি? এখন পর্যন্ত এক জনেরও মৃত্যু হয়নি, সেই কারণে কি? চীন, ইতালি এমনকি ফ্রান্সের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক- সেটির জন্যই কি তারা অপেক্ষা করছিলেন? তারপরেও বলবো, ইবঃঃবৎ ষধঃব ঃযধহ হবাবৎ.কারণ সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ করার পর কোচিং সেন্টারসমূহ এবং সকল সিনেমা হল বন্ধ করা ঘোষণা এসেছে।
এই লেখাটি শেষ করার আগে অন লাইনে দেখলাম, নতুন করে আরও ৩ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন শিশু। এই নিয়ে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ এ দাঁড়ালো। এখন পর্যন্ত এক জনেরও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু বৈশি^ক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। করোনা সম্পর্কে পরিসংখ্যান সহ বৈশি^ক তথ্য পাওয়া যায় যঃঃঢ়ং://িি.িড়িৎষফড়সবঃবৎং.রহভড়/পড়ৎড়হধারৎঁং/ ওয়েব সাইটটিতে। সোমবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা পর্যন্ত আমি এই ওয়েব সাইটটি ভিজিটি করেছি। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, বিশে^র ১৯৭টি দেশের মধ্যে ১৫৮টি দেশে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে। অবশিষ্ট মাত্র ৩৯টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ার বাকি রয়েছে। এই ১৫৮টি দেশে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৫২ জন বিশ^ব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে যখন এই লেখাটি পাঠকের কাছে যাবে তখন সংখ্যাটি আরো বেড়ে যাবে। কারণ যখন আমি ঐ ওয়েব সাইটে পরিসংখ্যানগুলো নিচ্ছিলাম তখনো দেখেছি যে, মুহূর্তে মুহূর্তে সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৫২৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার ৭৯০ জন।
দুই
সর্তক সংকেত হিসেবে বলবো যে, বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা শূন্য হওয়ায় আত্ম তুষ্টির কোনো অবকাশ নাই। কারণ আক্রান্ত এবং মৃতের পরিসংখ্যানে চীনের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। সর্বশেষ পরিসংখ্যান মোতাবেক চীনের জনসংখ্যা ১৩৮ কোটি ৬০ লক্ষ। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮০ হাজার ৮৬০ জন। মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২১৩ জন। ইতালির জনসংখ্যা ৬ কোটি ৪লক্ষ ৮৭ হাজার ৪০৮ জন। এর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭ জন। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮০৯ জন। ইউরোপের সবগুলো দেশই ধনী। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মতো ইতালি হয়তো ততোখানি ধনী নয়। তবে ব্যবধান খুব সামান্য। সেই দেশেও আক্রান্ত এবং মৃতের হার এত বিপুল। ইউরোপের অন্যতম ধনাঢ্য দেশ ফ্রান্স, জাতিসংঘের ভেটো পাওয়ারের অধিকারী ৫টি দেশের অন্যতম। ফ্রান্সের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৫২ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৭৭ জন। ফ্রান্সের মতো শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-অর্থনীতি ও সামরিক শক্তিতে উন্নত ও বলীয়ান দেশেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৪২৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১২৭ জন। স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান প্রভৃতি সব দেশের তথ্য ও পরিসংখ্যান আমাদের হাতে আছে। তবে পরিসংখ্যান দিয়ে পাঠকদের ভারাক্রান্ত করতে চাই না।
ঐ সব উন্নত দেশের তুলনায় ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল, ভূটান ও মালদ্বীপের অবস্থা অনেক ভালো। এসব দেশের মধ্যে ১৩৩ কোটি লোকের দেশ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ২ জন। পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২০ কোটির ওপর। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১ জন। আফগানিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ জন এবং মৃতের সংখ্যা শূণ্য। শ্রীলঙ্কায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ এবং মৃতের সংখ্যা শূণ্য। মালদ্বীপে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা শূণ্য। সবচেয়ে ভালো অবস্থা নেপাল ও ভূটানের। এই দুইটি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১ এবং এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সর্ব শক্তিমানের কি ক্যারিশমা যে, রাজা-উজির-নাজির থেকে শুরু করে রাস্তার সাধারণ মানুষ কাউকেই করোনা ছাড়ছে না। কথায় বলে, আল্লাহর মার, দুনিয়ার বার। তাই দেখুন, মহাশক্তিধর দেশ আমেরিকার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে করোনা মোকাবেলার জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। আবার ফিলিপাইনসের মতো কম শক্তিধর দেশে একই পরিস্থিতি মোকাবেলা বা নিয়ন্ত্রণের জন্য কারফিউ বা সান্ধ্য আইন পর্যন্ত জারি করা হয়েছে।
তিন
সবচেয়ে অবাক হয়েছি, ভারতের একশ্রেণীর সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে। তাদের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ যে এখনো কত অন্ধবিশ^াসে আচ্ছন্ন হয়ে আছে, তার নমুনা হিসাবে কয়েকটি খবর নিচে দেওয়া হচ্ছে।
এবার ভারতে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের পর সংবাদে স্থান করে নিল গোমূত্র ও গোবর। সারা শরীরে গোবর মাখতে শুরু করলেন কিছু সংখ্যক মানুষ। এতে নাকি করোনা থেকে মুক্তি মিলবে। গরুর মূত্র দিয়ে হাত-মুখ ধোওয়া, খাওয়া, গোসলের ধুম লেগে গেল ভারতের কিছু অঞ্চলে। সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের বিজ্ঞানসম্মত প্রচারণা কাজে লাগিয়ে বোতলজাত গোমূত্রের স্যানিটাইজার ও গোমূত্রের প্যাকেটজাত সাবান বাজারে নিয়ে এলো কিছু প্রতিষ্ঠান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী তা মানুষ লাইন ধরে কিনছে।
অ্যালকোহল করোনাভাইরাস মেরে ফেলে, এই গুজবে বাজার রমরমা। যারা মদ পান করতেন তারা পানের পরিমাণ বাড়িয়েছেন। অনেকে আবার সারা শরীরে তেলের মতো অ্যালকোহল মাখতে শুরু করেছেন। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। পিছিয়ে নেই রাজনীতিকরাও। ‘গো করোনা গো’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে ¯েøাগানে ¯েøাগানে করোনাভাইরাস তাড়ানোর ফর্মুলার আবিষ্কারক ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাশ অথাওয়ালা। গত ১১ মার্চ মুম্বাই গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে চীনা কনসল জেনারেলকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করোনা তাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর এই উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঐ ভিডিওতে দেখা যায় যে, একদল নারী ভজন গাওয়ার ভঙ্গিতে গাইছেন ‘করোনা ভাগ যা, ভারত মে তেরা কেয়া কাম? করোনা ভাগ যা’। বারানসিতে শিবলিঙ্গে মাস্ক পরানো নিয়ে হুলুস্থুল কান্ড ঘটেছে। শিবলিঙ্গ ছোঁয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
চার
বাংলাদেশ তথা সমগ্র পৃথিবীর ওপর থেকে করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ এর এই আজাব দূর হবে কবে, এসম্পর্কে কেউই সঠিক করে কিছু বলতে পারছেন না। তবে গণচীন থেকে এসম্পর্কে একটি মন্তব্য করা হয়েছে। ঐ মন্তব্যে বলা হয়েছে যে, বিশে^র অন্যান্য দেশ যদি এই ভাইরাসকে প্রতিহত করার জন্য সর্ব শক্তি নিয়োগ করে তাহলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। উল্লেখ্য, সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত করোনা কেসের দুই তৃতীয়াংশই ছিল চীনের হুবেই প্রদেশে। আবার হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ছিল অধিকাংশ করোনা কেস। বলতে গেলে সমগ্র হুবেই প্রদেশকেই কঠোর অবরোধ অবস্থায় (টহফবৎ ংঃৎরপঃ ষড়পশফড়হি) রেখেছিল চীন সরকার। উদ্দেশ্য ছিল, যাতে করে এই প্রাণঘাতী রোগ হুবেইয়ের বাইরে অন্যান্য প্রদেশে ছড়িয়ে না পড়ে। চীন সরকারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ঝং নান সান বলেন যে, যদি পৃথিবীর অন্যান্য দেশ চীনের মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে কয়েক মাসের মধ্যেই এই ভাইরাস শেষ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন যে, যদি বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার (ডযড়) পরামর্শ মোতাবেক পৃথিবীর সমস্ত দেশ এক হয়ে চীনের মতো কঠোর এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে আগামী জুনের মধ্যেই এই ভাইরাস প্রতিহত করা যাবে। ৮৩ বছর বয়স্ক চীনের এই বিশেষজ্ঞ ২০০৩ সালে ‘সার্স’ (ঝঅজঝ) ভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি আরও বলেন যে গরমকালে এই করোনা ভাইরাসের কার্যকরিতা অনেক কমে যায়। তিনি বলেন, আমি আশা করছি যে, বিশে^র অন্যান্য দেশ এব্যাপারে ইতিবাচক এবং কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করবে। তাহলে আগামী জুন মাসের মধ্যেই এই ভাইরাসের মহামারী দূর করা যাবে।
উল্লেখ্য, চীনের অভ্যন্তর থেকে করোনাভাইরাসের আক্রমণকে চীন সরকার মোকাবেলা করেছে। এখন নতুন কেসের সংখ্যা অনেক কম। নতুন যে কয়েকটি কেস সনাক্ত করা হচ্ছে তার অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমাদানী করা অর্থাৎ বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। কিন্তু তাই বলে আত্মতুষ্টিতে ভুগে হাল ছেড়ে না দিয়ে চীনের মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং সেটি অব্যাহত রাখলে আমাদের দেশ থেকেও জুন মাসের আগেই করোনা বিদায় হবে, ইনশাআল্লাহ।
journalist15@gmail.com

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন