করোনা সংক্রমণ রোধে পাকিস্তানের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তারা জানায়, ভাইরাসটি মোকাবেলার ক্ষেত্রে পাকিস্তান যেভাবে কাজ করছে তা সময়োচিত ও জাতীয়ভাবে সবচেয়ে ভালো। তাদের পদক্ষেপ সত্যিকার অর্থে প্রশংসার যোগ্য।
সম্প্রতি করাচির বিভিন্ন হাসপাতাল ও পরীক্ষাগার পরিদর্শন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি প্রধান ডা. পালিথা গুনারাথানা মাহিপালা। পরিদর্শনের পর গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পাকিস্তানে তা কোণঠাসা। সরকার যেভাবে কাজ করছে তাতে ভাইরাসটি আর না ছড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি।
পাকিস্তানের বিভিন্ন হাসপাতাল ও পরীক্ষাগার পরিদর্শনের পর করাচিতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি প্রধান ডা. পালিথা গুনারাথানা মাহিপালা বলেন, ‘যখন অন্য দেশগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তখন এই ভাইরাসকে কোণঠাসার ভেতরে রাখতে পারছে, যা সত্যিকার অর্থে প্রশংসার যোগ্য।
তিনি বলেন, ‘লোকজনের অন্তত ২০ সেকেন্ড করে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া উচিত। আর যখন হাত ধোয়ার সুযোগ থাকে না, তখন স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।’ হাঁচি- কাশির নিয়ম মানলে ভাইরাসের বিস্তার অনেকটা কমে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে লাহোরে এক করোনাভাইরাস রোগী মারা গেছেন বলে পাঞ্জাব স্বাস্থ্য অধিদফতরের সচিব কায়সার শরিফ জানিয়েছেন। সোমবার রাতে এই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮৯ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার লাহোরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক রোগী মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সচিব কায়সার শরিফ। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে ওই রোগীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ১৮৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন একজন।
মঙ্গলবার নতুন করে পাঁচজনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সিন্ধুপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সাইয়েদ মুরাদ আলীর তথ্য উপদেষ্টা মুরতাজা ওয়াহাব বলেন, শুক্কুর এলাকায় ২৩৪ তীর্থযাত্রীর শরীরে পরীক্ষা করলে ১১৯ জনের পজিটিভ এসেছে। বাকি রোগীরা সিন্ধুপ্রদেশের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন