চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন এই মুহূর্তে বন্ধ করার দাবি করেছে বিএনপি। শুক্রবার বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে সাথে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীর চীফ এজেন্ট আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, নগরবাসী আতঙ্কিত। তাদের করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়ে নির্বাচন করা অর্থহীন। এসময় দলের নেতারা তার সাথে ছিলেন।
এর আগে মেহেদি বাগের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও একই দাবি জানান। তিনি বলেন, সারা বিশে^ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে বাঁচার জন্য মানুষকে এখন একজনের সাথে একজনের চার ফুট দূরত্বে থাকতে হচ্ছে। লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করা হচ্ছে। সরকার সারাদেশে সভা-সমাবেশ, বিয়ে, সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষ এখন বের হচ্ছে না আর সেখানে বাংলাদেশে এখন নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের এই রকম একটা সংকটে জাতিকে এভাবে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেওয়া একটা গর্হিত সিদ্ধান্ত। দেশের ১৭ কোটি গণবসতিপূর্ণ মানুষ বাস করে। একটা যদি দুর্যোগ হয় তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নিবে? তাই এই মুহুর্তে নির্বাচন বন্ধ করা দরকার।
ইসি সংবিধানের দোহাই দিয়ে মানুষকে এভাবে একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঠেলে দিচ্ছে। ভোটের দিন ইভিএম মেশিনে একটার পর একটা ফ্রিঙ্গারফ্রিন্ট দেওয়ার সময় কেউ যদি করোনা আক্রান্ত থাকে তাহলেতো সবাই সংক্রমিত হবে। এটার দায়দায়িত্ব কে নিবে?
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মো. খান, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সহ দপ্তর-সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন