গফরগাঁও পৌরসভাসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ছোট-বড় হাট বাজারে করোনায় আতংক দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার হতে শুক্রবার পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে পাগলা ঘোড়ার মত বেড়েই চলছে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা এ কমকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে ক্রেতারা জানান। ৩০ টাকা প্রতিকেজি দেশী পিয়াঁজ বিক্রি হয়েছে গত সোমবার থেকে বুধবার। অথচ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিন প্রতিকেজি দেশী পিয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৭০টাকা থেকে ৮০টাকা। তবে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গফরগাঁও নতুন বাজারের আড়তে পিয়াজ উধাও হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৯ নং ৫০ কেজি চিকন চাল বিক্রি হতো এক হাজার ছয়শত টাকা থেকে এক হাজার সাত শ’ টাকা। গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৪৯নং ৫০কেজি চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার একশত টাকা থেকে ২ হাজার ২ শত টাকা। চাল ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহনসহ নানান জটিলতার কারণে প্রতিনিয়তই দাম বেড়েই চলছে। নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ নেই। মো. আরিফুর রহমান নামে একজন ক্রেতা জানান, প্রশাসন ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতি উদ্যোগ নিলে কিছুটা সমাধান হতে পারে। এ ছাড়া মাছ, ডাল, দেশী মুরগী, পোল্টী মুরগী, দেশী গরুর গোশত, তৈল, আটাসহ সকল প্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম বেড়েই চলছে। কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রি মজুত করে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। করোনার আংতকে বিভিন্ন দোকানে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। মনে হচ্ছে যে, ঈদের বাজারের মতো ভিড়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন