বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নাব্যতা সঙ্কটে যেন খাল

আতিয়ার রহমান, নড়াইল থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম


সংস্কারে ৩শ’ কোটি টাকা অনুমোদন
মধুমতি নবগঙ্গা চিত্রা
কাজলা ও নালিয়া নদী

জেলার মধুমতি, নবগঙ্গা, চিত্রা, কাজলা ও নালিয়া নদীর বুকে ছোট-বড় ৫০-৬০টি চর জেগে উঠেছে। অনেক স্থানে নাব্যতা কমে যাওয়ায় নদীগুলো খালে পরিণত হয়েছে। এতে নদীকেন্দ্রিক অর্ধশতাধিক হাটবাজার বন্ধ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নদীর তীরবর্তী এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে নবগঙ্গা নদীর মাগুরা বাসস্ট্যান্ড পাশে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণের ফলে নড়াইলের কয়েকটি নদী নাব্যতা হারায়। বর্ষা মৌসুম না এলে নড়াইলের সঙ্গে মাগুরা, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, বরিশাল ও বাগেরহাট জেলার ১২টি নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে।
পানি কমে যাওয়ায় মধুমতি নদীপারের ভাটিয়াপাড়া, বগজুড়ি, কাতলাসুর, চরআড়িয়ারা, ধানাইড়, ইছাখালি, কালনা, মল্লিকপুর, ইতনা, বড়দিয়া, করফা, শুকতইল, যোগানিয়া, জয়নগর, তালা ও মানিকদহ; নবগঙ্গা নদীপারের নলদী, মিঠাপুর, লোহাগড়া, কালনা, কালিয়া, বারইপাড়া, নোয়াগ্রাম ও গাজীরহাট; চিত্রাপাড়ের রতডাঙ্গা, রূপগঞ্জ, মীরাপাড়া, গোবরা, শিঙ্গাশোলপুর, খড়রিয়া ও পেড়লী; কাজলা নদীপারের মুলিয়া, তুলারামপুর, গড়েরহাটসহ শতাধিক হাটবাজার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বড়দিয়া নৌবন্দরের জনৈক চিকিৎসক বলেন, মধুমতি ও নবগঙ্গা নদীর বুকে অসংখ্য চর জেগে ওঠায় বর্তমানে নড়াইলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর নৌযোগাযোগ বন্ধ হতে চলেছে। মধুমতি নদীর তীরবর্তী ৪০টি হাটবাজার বন্ধের পথে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুষ্টিয়ার গড়াই নদের সঙ্গে নড়াইলের মধুমতি, নবগঙ্গা, চিত্রা, কাজলা, নালিয়া নদীর সংযোগ রয়েছে। নড়াইলের সঙ্গে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, ফরিদপুর, মাগুরা ও খুলনার নৌপথে যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু মাগুরা (বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন) অংশে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণের ফলে এসব জেলা দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। নড়াইলের বড়দিয়া নৌবন্দরে আসার পথে অসংখ্য ছোট-বড় চর জেগে উঠেছে।
নদীগুলোর কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর বা বুকসমান পানি রয়েছে। আবার অনেক স্থানে ধু ধু বালুচর।
পাউবো নড়াইল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘মধুমতি-নবগঙ্গা নদী খনন, নদীর তীর সংরক্ষণ, খাল খনন, স্লুইসগেট নির্মাণ ও মেরামত এবং কালভার্ট নির্মাণে ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। এসব কাজের দরপত্রও আহবান করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে জনদুর্ভোগ বেশ কিছুটা লাঘব হবে’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন