মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইভিএমে জাল হয় না বলেই ভোট কম

সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটের হার কম হওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। সেজন্য ভোট পড়ার হার কমে যায়। উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে বিকেল ৩টা নাগাদ ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর গাইবান্ধা-৩ আসনে ৪০ শতাংশের উপরে এবং বাগেরহাট-৪ আসনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের আমলে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু ইভিএমে ভোট হলে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ ভোট পড়ে-এর কারণ জানতে চাইলে ইসি সচিব আলমগীর বলেন, এটা কমিশনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ইভিএমে ভোট দিলে যেহেতু জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নাই, সেজন্য ভোট কমে যায়।

ব্যালট পেপারে জাল ভোট ঠেকাতে পারছেন না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনাকে ধরতে হবে। জাল ভোট ধরে যদি কমিশনের কাছে অভিযোগ না করেন বা না ধরিয়ে দেন, জাল হয়েছে কি না, কীভাবে বুঝবো। কারণ, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তো সবাইকে চেনেন না।

আলমগীর বলেন, উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে বিকেল ৩টা নাগাদ ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর গাইবান্ধা-৩ আসনে ৪০ শতাংশের উপরে এবং বাগেরহাট-৪ আসনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। ইভিএমে এতো কম ভোট পড়ার কারণে নির্বাচন কমিশন বিব্রত কিনা- এ প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, আমরা বিব্রত নই। কেননা আমাদের সব আয়োজন ছিল। যদি বলেন, সেটা ছিল না তাহলে আমাদের বিব্রত হওয়ার বিষয়। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া ভোটারের দায়িত্ব।

কম ভোট পড়ায় ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হলো কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক বলতে কী বোঝানো হয়, জানি না। যারা প্রার্থী তারা যদি অংশগ্রহণ করেন, তাহলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন কি-না, সেটা তাদের বিষয়। ভোটারদের বাধ্য করা যাবে না। আইনেও নাই।। বিধানেও নাই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন