ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামির ইউনিয়নের কুরুয়া পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র মেরামত কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কাজে কত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও একটি সূত্রে জানা গেছে প্রায় ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এ পরিবার কল্যাণ মেরামত বরাদ্দ ও কাজের কোন তথ্য দিচ্ছে না। ঠিকাদার মুজিবুর রহমান কাজের সিডিউল বা ওয়ার্ক অডার চাইলে নানা অজুহাত দেখিয়ে সিডিউল দিচ্ছেন না।
জানা যায়, কুরুয়া পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি গত কয়েক বছর ধরে দরজা-জানালা ভাঙা, ছাদ চুয়ে পানি পড়ে রুমের মেঝ নষ্ট, বাথরুমে গন্ধ এবং কোয়াটারটি দীর্ঘদিন ঘরে পরিত্যক্ত থাকায় জনগণ সেবা পাচ্ছেন না। সরকারের যুগ্ম সচিব ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক মো. কুতুব উদ্দিন কয়েক দফা কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে মেরামতের জন্য সরকারের উর্ধতন মহলে প্রস্তাব প্রেরণ করেন। এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রটি মেরামতের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়।
কিছুদিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার ঠিকাদারকে নিয়ে দরজা-জানালা ছাদ, ফ্লোর, বাথরুমসহ সিউিউল মোতাবেক কাজ সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করে যান। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সেই নির্দেশনা মোতাবেক যেমন কাজ করছেন না তেমনি কৌশলে কাজের সিডিউল বা কোন তথ্য প্রদান করছেন না। কোন রকম জুড়াতালি দিয়ে ছাদে ঢালাই, টাইল্স একটু একটু করে প্লাস্টার করলেও অধিকাংশ দরজা জানালা মেরামত করছেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ময়নুল হক চৌধুরী জানান, কাজ একবার আমি দেখে আসছি। তবে ঠিকাদারের সাথে দেখা হয়নি। তাই কাজ সঠিক কী অঠিক হচ্ছে বলতে পারবো না। আমার বক্তব্য হচ্ছে, টেন্ডারে যেভাবে আছে সেভাবেই কাজ করতেই হবে।
বালাগঞ্জ ওসমানীনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হামিদা বেগম জানান, কাজের ঠিকাদার আমাকে কোন সিডিউল দেয়নি, কিকি কাজ করবে তাও জানায়নি। তাড়াহুড়া করে নিম্নমানের কাজ করছেন। ডিডি ম্যাডামকে বিষয়টি জানিয়েছি। পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা বীনাপানী নাথ জানান, ঠিকাদার ভাঙা কোন দরজা জানালা মেরামত করছেনা। যেন তেনভাবে কাজ করছে। কি কি কাজ করবে তাও জানাচ্ছে না। হাত দিয়ে ধাক্কা দিলে যে দরজা জানালা ঝরে পড়ছে সেটিও ঠিক করছে না। আমার অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন