শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশে সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা

টনক নড়লো ইসির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, ও বাগেরহাট-৪ আসনে ভোট গ্রহণ সকাল ৯টায় শুরুর চার ঘন্টার পরে করোনাভাইরাসের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম ন‚রুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে ঘোষিত নির্বাচনগুলো স্থগিতের দাবি করে আসছিল বিএনপিরসহ বিভিন্ন মহল থেকে। তবে এরপরও আজ ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল নির্বাচন কমিশনে বৈঠক হয়। এরপর আগামী নির্বাচনগুলো স্থগিতের ঘোষণা আসে। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ ঘোষণা দেয়া র তথ্য জানান।

ইসিসচিব বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সহ সব নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। ইসি সচিব বলেন, ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, ও বাগেরহাট-৪ আসনে এমন পর্যায়ে ছিল যে শুধু ভোট গ্রহণ বাকি ছিল। এ কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করেও ভোট পেছানো হয়নি। সব কেন্দ্রে পর্যাপ্ত হ্যান্ড সেনিটাইজার ও টিস্যু এবং এগুলো ব্যবহারের নির্দেশনা ছিল।

তিনি বলেন, যে পর্যায় থেকে নির্বাচনগুলো স্থগিত হয়েছে, সেখান থেকেই শুরু হবে। নতুন কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। যেসব ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ হয়ে গেছে, তাদের আর প্রশিক্ষণ হবে না। তবে এর মধ্যে যদি কোনো প্রার্থী মারা যান, তাহলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইসি সচিব বলেন, কারও চাপে নির্বাচন স্থগিত করা হয়নি। যখন প্রয়োজন মনে হয়েছে, তখন ভোট স্থগিত করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। এ নির্বাচনে বৈধ ছয় প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ২ শতাধিক প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি। এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের প‚র্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যদিকে, গত ১৮ জানয়ারি বগুড়া-১ আসন আর যশোর-৬ আসনটি শূন্য হয়েছে ২১ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে বগুড়া-১ আসনে ১৬ এপ্রিল আর যশোহর-৬ আসনে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে।

সচিব আলমগীর বলেন, দৈব-দুর্বিপাক হলে নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা সংবিধান প্রধান নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে। এক্ষেত্রে নব্বই দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করা যায়। এক্ষেত্রে আমরা ১৮০ দিনের মতো সময় পাব। তবে আশা করি যথাসময়েই নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করতে পারব। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখন বলবে, আর ঝুঁকি নেই, তখনই আমরা নির্বাচন করব। এক্ষেত্রে যে পর্যায়ে এসে নির্বাচন স্থগিত করা হলো, সেই পর্যায় থেকেই আবার নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য নতুন করে মনোনয়নপত্র নেওয়া হবে না। যে প্রার্থীরা আছেন, তারাই থাকবেন। যেখানে প্রশিক্ষণ হয়েছে, সেখানে প্রশিক্ষণ হবে না। যেখানে প্রশিক্ষণ হয়নি, সেখানে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন