বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগ বলতে ইসলামে কিছু নেই -ওলামা লীগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২০, ২:৪৬ পিএম

ছবি- ইকবাল হাসান নান্টু।


ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু আছে বলে বিশ্বাস করা হাদীস শরীফের খিলাফ। কারণ হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বলেন “সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই”। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার মালিক আল্লাহতায়ালা তাই করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন প্যানিক নয়। করোনা ভাইরাস কোন ছোঁয়াচে রোগ বা মহামারী নয় বরং করোনা ভাইরাস এক মহা গযব” বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নেতারা।

বক্তরা বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন প্যানিক তৈরী করবেন না। ধর্মব্যবসায়ীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কঠিন প্যানিক তৈরী করেছে। অথচ তারা এতদিন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের এবং পবিত্র মাজার শরীফ থেকে বিমুখ করার জন্য জোর গলায় প্রচার করত- সব কিছু দেয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচানোর মালিক যে মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা এখন আর তারা প্রচার করছেনা।

আজ রবিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে করোনা ভাইরাস নিয়ে মানববন্ধন করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামীক দল।

তারা বলেন,’করোনা ভাইরাসকে ব্যবহার করে একটা শ্রেনী দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করতে চাইছে। দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরীর পায়তারা করছে। রাষ্ট্রকে ব্যর্থ প্রমাণ করে সরকারকে পদত্যাগের পরিস্থিতি তৈরী করতে চাইছে। সর্বপোরি মসজিদ, মাহফিল বন্ধ করে সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের খেপিয়ে তুলতে চাইছে। রহমত শুন্য করে দেশ ও সরকারকে খোদায়ী গযবের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।

বক্তারা বলেন, যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছে, প্রদর্শনী করেছে এবং প্রায়ই করতো। প্রতিযোগিতার আয়োজনও করেছে এবং করতো। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মান মুবারক সম্পর্কেও নানা অশ্লীল ও অশালীন মন্তব্য প্রকাশ করেছে, বলেছে, লেখেছে। নাউযুবিল্লাহ! যারা মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণে বাধা দিয়েছে, মসজিদ-মাদরাসা ভেঙ্গেছে, নামাজ ও রোজায় বাধা দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের প্রতি করোনা ভাইরাস এক মহাগযব। তাই করোনা ভাইরাস নিয়ে প্যানিক নয়। “করোনা ভাইরাস মুসলমানদের জন্য কোন সমস্যা নয়। আলেম সমাজকে এসব কথা বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।

বক্তারা বলেন,’বাংলাদেশে করোনার অজুহাতে পবিত্র মসজিদসমূহে জামায়াত নিষিদ্ধ করা, মহাসম্মানিত আযান পরিবর্তন করা, পবিত্র মসজিদসমূহে যেতে নিরুৎসাহিত করলে ওলামালীগসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও হাক্কানী-রব্বানী আলেম সমাজ তা শক্তভাবে প্রতিহত করবে। ইনশাআল্লাহ!করোনাসহ সকল প্রকার আযাব-গযব থেকে বাঁচতে হলে বেশি বেশি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করতে হবে এবং সুন্নতী খাদ্য গ্রহণ করতে হবে”।

তারা আরও বলেন,’খোদায়ী রহমতের পথগুলো খোলা রাখা তথা মসজিদ, জুমুয়া, গণজমায়েতে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ এবং তওবা ও দোয়া করা গযবী করোনা ভাইরাস ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র ও নাগরিকের সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

করোনা ভাইরাসের অজুহাতে বেশি বেশি কেনা-কাটা, মজুদদারী, মুনাফাখোর, সিন্ডিকেট দৌরাত্ম, কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ রোধে সরকার এবং জনগণকে একসাথে জিহাদে নামতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (29)
Mahfuz ২২ মার্চ, ২০২০, ৭:৩২ পিএম says : 1
এটি তাদের জ্ঞানের/বুঝার অপূর্ণতা অথবা রাজনৈতিক কোন কূটকৌশল, যারা মানুষকে বাস্তবতা সম্বন্ধে অবহিত করতে চায় তাদের বিষয়ে জনগণকে সন্দিহান করে তুলার পায়তারা, এরাই ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনীতি করে- সরকারের অপকর্মে backup এরাই। এখানে যে হাদিসের reference দিয়ে ছোঁয়াচে রোগের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার দাবি জানানো হয়েছে, পূর্ণ সে হাদিস থেকে আমরা দেখি, যেকোনো রোগই প্রথমে কারোর মধ্যে হয়, তারপর এক থেকে অন্যে সংক্রামিত হয়- তবে প্রথমটি কারো কাছ থেকে নয়- স্বয়ং আল্লাহর ইচ্ছায় হয়। তাই যেকোনো পরিস্থিতির নিরাময়ের জন্য সর্বোপরি আস্থাটা আল্লাহর উপরই থাকতে হবে, কারণ আল্লাহর মর্জি ব্যতিত কিছুই হয়না। বিস্তারিতঃ 'সত্যকথন'- পর্ব নং ২০০। আর আযান এখন পরিবর্তনবকরা হচ্ছেনা- কেবল রাসুল সা. এর নির্দেশনা অনুযায়ীই যুগোপযোগী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। pls বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সত্যের বার্তা প্রচার করুন- আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন আল্লাহর আদেশসমূহ যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে। আল্লাহ আমাদেরকে জানার ও বুঝার তৌফিক দিন। আমিন।।
Total Reply(0)
মুজাহিদ ২২ মার্চ, ২০২০, ৯:২৫ পিএম says : 0
এভাবে বললে আমরা বিশ্বাস করবো না। করোনা রোগিকে জড়িয়ে ধরে বলতে হবে।:D
Total Reply(1)
জিঙ্কু ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৫:০২ এএম says : 2
পারফেক্ট !!
Mohammad Moazzem Hossain ২৩ মার্চ, ২০২০, ৩:৪৬ এএম says : 0
The group of People, those who are saying these word, they have good knowledge about religion. I have a question to them that those who are in Saudiarabia, what are their religion? Go there and give them your advise. Allah will give you a best reward.
Total Reply(0)
এক পথিক ২৩ মার্চ, ২০২০, ৭:১৩ এএম says : 0
আল্লাহর ওয়াস্তে মানুষকে বিব্ভ্রান্ত করবেন না। আপনাদের বিবৃতিতে বিব্ভ্রান্ত হয়ে যারা হক্কানী চিকিৎসকদের পরামর্শ উপেক্ষা করে দেশ ও জাতির জন্য বিপদ বয়ে আনবে,তাদের সেসব কার্যকলাপের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে আপনাদের হেনস্থা হতে হবে। মানুষকে সৎ উপদেশ দিন; যে যেখানেই থাকুন মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হউন আর তাঁর অনুগ্রহ কামনা করুন।
Total Reply(0)
নাজমুল হোসাইন ৩০ মার্চ, ২০২০, ৩:১৮ এএম says : 0
উনারা কেউ কেউ মাস্ক পরেছেন কেন?
Total Reply(0)
আতিক ৪ এপ্রিল, ২০২০, ৫:০৩ পিএম says : 0
আমি ওনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, ওনারা দেশ ও জাতির গৌরবের একটি সাহসী সংগঠন । করোনায় আক্রান্ত রোগীদের খেজমত করার দায়িত্ব পালন করতে ওনাদেরকে দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি । দেশের এই মর্মান্তিক ঘটনার সময়ে ওনারা দেশ জাতি ও সরকারের পাশে থেকে করোনার রুগিদের খেজমত ও মৃত্যু ব্যক্তিদের গোসল ও দাফন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি ।
Total Reply(0)
সাইদুই ৪ এপ্রিল, ২০২০, ৮:৫২ পিএম says : 0
যেই দল বা সংগঠন এই ধরনের কথা বলছেন তাদের একটা রুমে ১ ঘন্টার জন্য একজন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে সময় অতিবাহিত করতে বলা হুক,,তারপর তারা যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় তাহলে তাদের কথা মেনে নিবো।
Total Reply(0)
সাইদুল ৪ এপ্রিল, ২০২০, ৮:৫৩ পিএম says : 0
যেই দল বা সংগঠন এই ধরনের কথা বলছেন তাদের একটা রুমে ১ ঘন্টার জন্য একজন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে সময় অতিবাহিত করতে বলা হুক,,তারপর তারা যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় তাহলে তাদের কথা মেনে নিবো।
Total Reply(0)
Md. Majed Hossain ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১১:২০ পিএম says : 0
Please, do not politics about Public health too.
Total Reply(0)
ফরহাদ ওয়েসি ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:২৪ এএম says : 0
আল্লাহর রাসূলের কিছু হাদিস অনুসরণ করবেন আর কিছু করবেন না তাতো নয়? ইসলামে প্রবেশ করতে হলে পূরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করুন। হযরত ওমর রাদ্বিঃ থেকে আপনারা বেশি বুঝে ফেললেন??? তাহলে দুদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা করে দেখুন পিপিই ছাড়া! মোল্লা তোমার কল্লা চলে যাবে কবরে।
Total Reply(0)
নাম বললে চাকরিথাকবেনা ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
এদেরকে করোনা রোগীর সেবক(ইসলামের আনছার) হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। মুর্খের দল কোথাকার
Total Reply(0)
নাম বললে চাকরিথাকবেনা ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
এদেরকে করোনা রোগীর সেবক(ইসলামের আনছার) হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। মুর্খের দল কোথাকার
Total Reply(0)
শাহীন ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:১১ পিএম says : 0
যাক ভালো একটা খুশির খবর পাওয়া গেল। যেখানে জানাজা দেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ডাক্তার পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি। এ মুহূর্তে করুণা আক্রান্ত রোগীদের সেবা, জানাযা সহ দাফন-কাফনের সমস্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব উনাদেরকে দিলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Indian ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৩১ পিএম says : 0
Eey sob murkho kichu omanushder jonno sokol manob somaj bipode porche o porbe. Ayder... bolleo kichu bhul hobe naa.era sob bujheo manushke bhul pothe chalona korche. Era manusher name kolonko.porer jonme era poshu hoye jonamabe.
Total Reply(0)
Luke M Baroi ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫৮ পিএম says : 1
এদেরকে করোনা রোগীদের সেবা, জানাযা সহ দাফন-কাফনের সমস্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হোক।
Total Reply(1)
মুহম্মদ ওমর ফারুক ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১০ পিএম says : 0
“ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোনো রোগ নেই” এটা সম্মানিত শরীয়ত উনার কথা, শরীয়তের কথা বলার অধিকারও কি তারা কেড়ে নিতে চায়?
মুহম্মদ ওমর ফারুক ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০৯ পিএম says : 0
“ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোনো রোগ নেই” এটা সম্মানিত শরীয়ত উনার কথা, শরীয়তের কথা বলার অধিকারও কি তারা কেড়ে নিতে চায়?
Total Reply(0)
মুহম্মদ ওমর ফারুক ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১০ পিএম says : 0
“ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোনো রোগ নেই” এটা সম্মানিত শরীয়ত উনার কথা, শরীয়তের কথা বলার অধিকারও কি তারা কেড়ে নিতে চায়?
Total Reply(0)
মুহম্মদ ওমর ফারুক ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৭ পিএম says : 0
কাফির মুশরিকরা করোনাকে ছোঁয়াচে রোগ বলে প্রচার করছে আর তাদের এই প্রচারনায় মুসলমানরাও বিশ্বাস করছে। নাউযুবিল্লাহ! এমতাবস্থায় হক্কানী উলামায়ে কিরাম উনারা মুসলমানদের ঈমান আক্বীদা হিফাযতের লক্ষ্যে প্রচার করছেন যে, সম্মানিত ইসলামে ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নেই। ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। আর এটা হক্কানী উলামায়ে কিরাম উনাদের নিজস্ব বা মনগড়া কোন কথা নয়। বরং সম্মানিত শরীয়ত উনারই কথা। কেননা অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে এ বিষয়টি উল্লেখ আছে। যেমন- عَنْ حضرت أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا عَدْوَى وَلَا هَامَةَ وَلَا نَوْءَ وَلَا صفر অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই। তারকার (উদয় বা অস্ত যাওয়ার) দ্বারা ভাগ্য নির্ধারণ ও বৃষ্টি হওয়া বা না হওয়া ভিত্তিহীন এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে অশুভ বলতে কিছুই নেই।” (মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, মিশকাত শরীফ-৩৯১, তুহফাতুল আশরাফ ১০/২৩৪ ইত্যাদি)
Total Reply(0)
Nurul Azim ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৪:২৩ পিএম says : 0
ওলামা লীগের ভাইদের বলব আপনারা জন সম্মুখে কোন ফতোয়া দেওয়ার আগে ফতোয়ার নিয়ম কানুন ভাল ভাবে রিসার্স করোন। ছোঁয়াছে কোনকিছু কোন কিছু না থাকলে আপনারা মুখে মাস্ক পড়ছেন কেন? আল্লাহর ওয়াস্তে এই ক্রান্তিকালে জাতীকর বিভ্রান্ত করবেন না।
Total Reply(0)
তৌহিদুল ইসলাম ৭ এপ্রিল, ২০২০, ৩:৩৮ পিএম says : 0
হযরত ওমরের সময় যে মহামারী হয়েছিলো সেটাতো ছোঁয়াচে রোগ ই ছিলো। এবং রসুল(স:) এর সেই অমোগ বাণী(মহামারীর সময় তোমরা এক শহরের লোক আরেক এলাকা অতিক্রম করবেনা) মাথায় রেখেই সফর স্থগিত করেছিলে।।
Total Reply(0)
Obaidul Haque ৭ এপ্রিল, ২০২০, ৮:০৫ পিএম says : 0
কিছু পাবলিক হুদাই বেশি বোঝে! কেরে ভাই উনারাতো কুরআন ও সুন্নাহ দিয়েই আলোচনা করেছে! বেশি বুঝলে তাদের সাথে আলোচনা কর।
Total Reply(0)
A.S.bablu ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪৩ পিএম says : 0
ওদেরকে মাদ্রাসাই ভর্তি করানো দরকা।
Total Reply(0)
A.S.bablu ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৫৪ পিএম says : 0
ভাই ওলামালীগ এটি স্থায়ী কোন রোগ না। এটি হলো অস্থায়ী মহামারী(প্লেগ)।
Total Reply(0)
সিরাত সালিক ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:২৫ এএম says : 0
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমনিভাবে বলেছেন, “ছোয়াঁচে বলতে কোন রোগ নাই” তেমনিভাবে এই বিষয়টি উম্মতদেরকে তা’লিম দেয়ার জন্য, স্বয়ং তিনি সরাসরি আমল দ্বারাও প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইন, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারাও সরাসরি আমলের দ্বারা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নাই। কিন্তু পরবর্তী যামানায় কেহ কেহ “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নাই” একথা বলার পরেও ছোঁয়াচের সবব নির্ধারণ করে ইহতিয়াত বা সাবধাণতার কথা বলেছেন এবং সববের উপর ভিত্তি করে কেহ কেহ তাওয়াক্কুল পরিপন্থি যুক্তির দ্বারা পূর্ববর্তীগণ উনাদের সরাসরি আমল ও মতের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন। যা স্বাধারণ মানুষ উনাদের ছহীহ আক¦ীদার উপর ইস্তিক্বামাত থাকার সহায়ক হয় নাই বরং আঘাত দায়ক হয়েছে। যার কারণে তারা ঐ সববের উপর ভিত্তি করে পবিত্র ঈমান ও তাওয়াক্কুলের উপর ইস্তিক্বামাত থাকতে না পেরে, মৃত্যুভীতি ও সববের আশংকা উভয়কেই তাদের অন্তরে স্থান করে নিয়ে কুফরী ও শিরকী করছে। মূলতঃ ইহতিয়াত বা সাবধাণতা এবং ইস্তিহবাব বা মুস্তাহাব হলো ঐ ফাতওয়া, যার দ্বারা স্বাধারণ মানুষ সহ সকলের পবিত্র ঈমান ও আক্বীদা রক্ষা হয় এবং হক্কুল্লাহ, হক্কু রাসূলিল্লাহ এবং হক্কুল ইবাদ যথাযথ আদায় করে দুনিয়া ও পরকালে কামিয়াবী হাসিল করতে পারে। মূলতঃ মহামারীগ্রস্থ ব্যাক্তির সাথে অথবা মহামারী এলাকাতে অবস্থান করা এটা প্রত্যেকের ইখতিয়ারভুক্ত বিষয়। যে ব্যক্তি ধৈর্য্য ও তাওয়াক্কুলের সাথে তথায় অবস্থান করবে, উনার যেমন ফযীলত রয়েছে, তেমনি যিনি সেখানে ধৈর্য্য ও তাওয়াক্কুলের সাথে অবস্থান করতে পারবেন না, উনার জন্য সেখান থেকে দূরে সরে যাওয়াটাও জায়েয রয়েছে। কিন্তু সর্ব অবস্থাতেই ছোঁয়াচে আক্বীদা পোষন করা শিরকী ও কুফরী। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমনিভাবে বলেছেন, “ছোয়াঁচে বলতে কোন রোগ নাই” তেমনিভাবে এই বিষয়টি উম্মতদেরকে তা’লিম দেয়ার জন্য, স্বয়ং তিনি সরাসরি আমল দ্বারাও প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইন, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারাও সরাসরি আমলের দ্বারা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নাই। কিন্তু পরবর্তী যামানায় কেহ কেহ “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নাই” একথা বলার পরেও ছোঁয়াচের সবব নির্ধারণ করে ইহতিয়াত বা সাবধাণতার কথা বলেছেন এবং সববের উপর ভিত্তি করে কেহ কেহ তাওয়াক্কুল পরিপন্থি যুক্তির দ্বারা পূর্ববর্তীগণ উনাদের সরাসরি আমল ও মতের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন। যা স্বাধারণ মানুষ উনাদের ছহীহ আক¦ীদার উপর ইস্তিক্বামাত থাকার সহায়ক হয় নাই বরং আঘাত দায়ক হয়েছে। যার কারণে তারা ঐ সববের উপর ভিত্তি করে পবিত্র ঈমান ও তাওয়াক্কুলের উপর ইস্তিক্বামাত থাকতে না পেরে, মৃত্যুভীতি ও সববের আশংকা উভয়কেই তাদের অন্তরে স্থান করে নিয়ে কুফরী ও শিরকী করছে। মূলতঃ ইহতিয়াত বা সাবধাণতা এবং ইস্তিহবাব বা মুস্তাহাব হলো ঐ ফাতওয়া, যার দ্বারা স্বাধারণ মানুষ সহ সকলের পবিত্র ঈমান ও আক্বীদা রক্ষা হয় এবং হক্কুল্লাহ, হক্কু রাসূলিল্লাহ এবং হক্কুল ইবাদ যথাযথ আদায় করে দুনিয়া ও পরকালে কামিয়াবী হাসিল করতে পারে। মূলতঃ মহামারীগ্রস্থ ব্যাক্তির সাথে অথবা মহামারী এলাকাতে অবস্থান করা এটা প্রত্যেকের ইখতিয়ারভুক্ত বিষয়। যে ব্যক্তি ধৈর্য্য ও তাওয়াক্কুলের সাথে তথায় অবস্থান করবে, উনার যেমন ফযীলত রয়েছে, তেমনি যিনি সেখানে ধৈর্য্য ও তাওয়াক্কুলের সাথে অবস্থান করতে পারবেন না, উনার জন্য সেখান থেকে দূরে সরে যাওয়াটাও জায়েয রয়েছে। কিন্তু সর্ব অবস্থাতেই ছোঁয়াচে আক্বীদা পোষন করা শিরকী ও কুফরী।
Total Reply(0)
সিরাত সালিক ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:২৭ এএম says : 0
শরীয়তের কোন নির্দেশিত বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলা মুনাফিকদের স্বভাব
Total Reply(0)
সিরাত সালিক ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:১৩ পিএম says : 0
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নাই “ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা শিরক”- ২ মহামারীসহ যে কোন রোগই তা মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি এবং উনার পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রনাধীন। রোগের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নাই যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হুকূম ছাড়া অন্যের উপর আক্রমন করবে। এবং তিনি কোন রোগকে এমন কোন ক্ষমতাও দেন নাই যে, সে তার নিজস্ব ইচ্ছায় অন্যের উপর আক্রমন করতে পারবে। কারো কোন রোগ হওয়া বা না হওয়া তা পরিপূর্ণ রূপে মহান আল্লাহ পাক উনার ইখতিয়ারভুক্ত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমনিভাবে বলেছেন, “ছোয়াঁচে বলতে কোন রোগ নাই” তেমনিভাবে তিনি এই বিষয়টি উম্মতদেরকে তা’লিম দেয়ার জন্য, স্বয়ং তিনি সরাসরি আমল দ্বারাও প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, তাবেয়ীন,তাবে-তাবেয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারাও সরাসরি আমলের দ্বারা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নাই। তাই কোন রোগকে ছোয়াঁচে বা সংক্রামক মনে করা শিরক ও কুফরী। (ধারাবাহিক) হযরত ছাহাবায়ে কিরামগণ উনারা সরাসরি প্রমাণ করলেন যে, ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোনো রোগ নেই: মহামারী সংক্রামক রোগ নয়, তাই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহামারীতে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘর সংসার করা বা না করা দুইটাই ব্যাক্তির ইচ্ছাধীন করা হয়েছে, এ বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে- عَنْ حَضْرَتْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ حَضْرَتْ ثَعْلَبَةَ بْنِ يَزِيدَ السَّعْدِيِّ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ حَضْرَتْ عَلِيًّا عليه السلام يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا صَفَرَ وَلَا هَامَةَ وَلَا يُعْدِي صَحِيحًا سَقِيمٌ قَالَ فَقُلْتُ أَنْتَ سَمِعْتَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَايَ অর্থ: হযরত হাবীব ইবনে ছাবিত রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত তিনি হযরত ছা‘লাবা ইবনে ইয়াযীদ আস সা’দী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন আমি ইমামুল আউয়াল মিন আহলি বাইতি রাসূল্লিলাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু আলাইহিসসালাম উনাকে একথা বলতে শুনেছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছফর মাসে মন্দ কিছু নাই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষন নাই, অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ ব্যাক্তিকে সংক্রমন করতে পারেনা। অতপর আমি উনাকে বললাম আপনি কি একথা ইমামুল আউয়াল মিন আহলি বাইতি রাসূল্লিলাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু আলাইহিসসালাম উনার থেকে শুনেছেন? তখন তিনি বললেন হাঁ আমি তা আমার দু কানে শুনেছি এবং দু চক্ষে দেখেছি। (মুসনাদে আবূ ইয়া’লা ১/২৩৮, ইতহাফুল খিয়ারা, আল মাত্বলিবুল আলিয়া ১১/১৮১) قَالَ حَضْرَتْ عَلِىٌّ عليه السلام أَيُّمَا رَجُلٍ نَكَحَ وَبِهَا بَرَصٌ أَوْ جُنُونٌ أَوْ جُذَامٌ أَوْ قَرْنٌ فَزَوْجُهَا بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَمَسَّهَا إِنْ شَاءَ أَمْسَكَ وَإِنْ شَاءَ طَلَّقَ وَإِنْ مَسَّهَا فَلَهَا الْمَهْرُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا. অর্থ: ইমামুল আউয়াল মিন আহলি রসূল্লিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বিবাহ করলো এমন একজন মহিলাকে, যে ধ্ববল রোগীনী বা পাগলী বা কুষ্ঠ রোগীনী অথবা ক্বরন (একধরণের রোগ যা মহিলাদের গোপনাঙ্গে হয়ে থাকে) রোগীনী। উক্ত ব্যক্তি যদি উক্ত মহিলাকে স্পর্শ না করে থাকে, তাহলে তার জন্য ইখতিয়ার বা ইচ্ছাধীন রয়েছে যে, হয়তো সে তাকে স্ত্রী হিসেবে বহাল রাখবে অথবা তাকে তালাক দিয়ে দিবে। তবে যদি স্পর্শ করে থাকে তাহলে শরয়ী বৈধতার জন্য মহর প্রদান করতে হবে। (সুনানে কুবরা লিল বাইহাক্বী ৭/২১৫, সুনানে সাঈদ ইবনে মানছূর, ইতহাফুল খিয়ারাহ ৪র্থ খন্ড, আত তাহজীল ফী তাখরীজ, কাশফুল গুম্মাহ আন জামিয়িল উম্মাহ, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, আল মাজমূউ শরহিল মুহাযযাব ১৯/১৭-১, যাদুল মায়াদ, মুয়াত্তা ইমাম মালিক) এ বিষয়ে আরো বর্ণিত আছে- عَنْ حَضْرَتْ عَلِيٍّ عليه السلام فِي رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً بِهَا جُنُونٌ أَوْ جُذَامٌ أَوْ بَرَصٌ قَالَ إِذَا لَمْ يَدْخُلْ بِهَا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا وَإِنْ كَانَ دَخَلَ بِهَا فَهِيَ امْرَأَتُهُ إِنْ شَاءَ طَلَّقَ وَإِنْ شَاءَ أَمْسَكَ অর্থ: ইমামুল আউয়াল মিন আহলি রসূল্লিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বিবাহ করলো এমন একজন মহিলাকে যে ধবল রোগীণী বা পাগলী বা কুষ্ঠ রোগীণী। তিনি বলেন, যদি তারা নিরিবিলি অবস্থান না করে থাকে, তাহলে উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দাও। আর যদি নিরিবিলি অবস্থান করে থাকে, তাহলে সে তার স্ত্রীকে ইচ্ছা করলে তালাক দিতে পারবে অথবা তাকে স্ত্রী হিসেবে বহাল রাখতে পারবে। (মা’রেফাতুস সুনানি ওয়াল আছার লিল বাইহাক্বী ১০/১৮৯) হযরত ফারুক্বে আ,যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে- قَالَ حَضْرَتْ فَارُوْقٌ اَعْظَمٌ عليه السلام (عُمَرُ) إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ وَبِهَا جُنُونٌ أَوْ جُذَامٌ أَوْ بَرَصٌ أَوْ قَرْنٌ فَإِنْ كَانَ دَخَلَ بِهَا فَلَهَا الصَّدَاقُ بِمَسِّهِ إِيَّاهَا وَهُوَ لَهُ عَلَى الْوَلِىِّ অর্থ: হযরত ফারুক্বে আ,যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যখন কোন ব্যক্তি পাগল বা কুষ্ঠ রোগে বা ধবল রোগে অথবা ক্বরন রোগে (একধরণের রোগ যা মহিলাদের গোপনাঙ্গে হয়ে থাকে) আক্রান্ত মহিলাকে শাদী করবে। এমতাবস্থায় যদি তার সাথে নির্জনে অবস্থান করে থাকে, তাহলে তাকে মহর আদায় করতে হবে। আর সেই মহর উক্ত মহিলার অভিভাবককে প্রদান করতে হবে। (সুনানে কুবরা লিল বাইহাক্বী, সুনানে দারাকুত্বনী) أن وفد ثقيف أتوا أبا بكر الصديق فأتى بطعام فدعاهم فتنحى رجل فقال مالك‏؟‏ قال‏:‏ مجذوم‏ فدعاه وأكل معه وعن سلمان وابن عمر أنهما كانا يصنعان الطعام للمجذومين ويأكلان معهم وعن عكرمة أنه تنحى من مجذوم فقال له ابن عباس‏:‏ ياماض لعله خير منى ومنك‏.‏ অর্থ: একদা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিকট ছাক্বীফ গোত্র থেকে এক প্রতিনিধি দল আসলো। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি খাদ্য মুবারক নিয়ে এসে উনাদের সবাইকে ডাকলেন। তখন এক ব্যক্তি দূরে সরে গেলো। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আপনার কি হলো? তিনি বললেন, তিনি একজন কুষ্ঠরোগী। তিনি উনাকে ডাকলেন এবং উনার সাথে খাওয়া-দাওয়া করলেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং হযরত সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি অর্থাৎ উনারা উভয়ে কুষ্ঠরোগীদের জন্য খাদ্য তৈরী করতেন এবং কুষ্ঠরোগীদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করতেন। হযরত ইকরামা রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নিশ্চয়ই তিরি একজন কুষ্ঠরোগী দেখে উনার থেকে দূরে সরে দাড়ালেন, তা দেখে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বললেন হে মাজ হতে পারে এই ব্যক্তি আপনার থেকে উত্তম (শারহু ছহীহিল বুখারী লিইবনে বাত্ত্বাল ৯/৪১০)নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুষ্ঠ রোগীর সাথে খাওয়া-দাওয়া করে প্রমাণ করলেন, ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোনো রোগ নেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং কুষ্ঠ রোগীকে স্পর্শ করেছেন এবং একই পাত্র মুবারকে আহার মুবারক করিয়েছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- عَن حَضْرَتْ أبي هُرَيرة أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيه وَسَلَّم أكل مع مجذوم فقال إيمانا بالله وتوكلا عليه অর্থ: হযরত আবূ হুরাইরাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুষ্ঠ রোগীর সাথে খাবার গ্রহণ করেছেন। আর তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পবিত্র ঈমান ও তাওয়াক্কুল বা ভরসা করো। (মুসনাদে বাযযার ১৫/৩৮৪, তাহযীবুল আছার লিত্ব ত্ববারী, ফতহুল বারী ১০/১৫৯, মিরক্বাত শরীফ ৭/২৮৯৮, নাইলুল আওতার লিশ শাওকানী আল ইয়ামানী ৭/ ২২০, যখীরাতুল উক্ববাহ ৩২/২৬৮, নাখবুল আফকার ১৪/৯৩, আল বাহরুল মুহীত্ব ৩৬/৩৫৬) আরো বর্ণিত রয়েছে- عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ بِيَدِ مَجْذُومٍ فَوَضَعَهَا مَعَهُ فِي الْقَصْعَةِ وَقَالَ كُلْ ثِقَةً بِاللَّهِ وَتَوَكُّلًا عَلَيْهِ অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুষ্ঠ রোগীর হাত ধরে উনার সাথে একই পাত্রে আহার করার জন্য বসিয়েছেন এবং তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও ভরসা রেখে আহার করো। (আবূ দাউদ শরীফ, জামিউছ ছগীর ২/১৬৬, ফাইদ্বুল ক্বাদীর ৫/৫৩, মুস্তাদরাক লিল হাকিম ৪/১৫২, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ ৮/১২৯, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ২/৩৩৩, শুয়াবুল ঈমান ২/৪৮৯, শরহে মায়ানিল আছার ৪/৩০৯, শরহে সুন্নাহ লিল বাগাবী, সুনানে কুবরা লিল বাইহাক্বী ৭/২১৯)
Total Reply(0)
সিরাত সালিক ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:১৮ পিএম says : 0
করোনা মহামারী নয় বরং কাফির-মুশরিকদের উপর আপতিত একটি মহাগযব মহামারী বা বালা-মুছীবত তা মুসলমানদের উপরও এসে থাকে কিন্তু উক্ত রোগের ঔষধ থাকে যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফে রয়েছে : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءٌ অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: প্রত্যেক রোগের ঔষধ রয়েছে। (পবিত্র মুসলিম শরীফ, পবিত্র মুসনাদে আহমদ শরীফ) আর করোনা এমন একটি মহাগযব যার কোন ঔষধ নাই, বরং যার উক্ত করোনা ভাইরাস হবে তার মৃত্যু অর্থাৎ ধ্বংস অনিবার্য। পবিত্র হাদীছ শরীফে রয়েছে اِنَّ اللهَ لَيُمْلِي الظَّالِـمَ حَتّٰى إِذَا أَخَذَه لَـمْ يُفتِلْهُ অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই জালিমকে মহান আল্লাহ পাক তিনি দীর্ঘ অবকাশ দেন এমনকি যখন তিনি তাকে গযবে নিপতিত করেন সে কোনক্রমেই রেহাই পায়না। (পবিত্র বুখারী শরীফ, পবিত্র মুসলিম শরীফ) আর বর্তমান বিশ্বের কাফির মুশরিকরা পবিত্র ক্বুরআন শরীফ উনার অবমাননা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার ব্যঙ্গচিত্র ও উনার শান মানের খিলাফ বক্তব্য, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধীতা, মুসলমানদের উপর লাগাতার অত্যাচার নির্যাতন ইত্যাদি নানান জুলুম অত্যাচারের পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয় করোনা নামক মহাগযব। উল্লেখ্য যে, মহামারী বা যে কোন রোগের ক্ষেত্রে সুস্থ মানুষ থেকে সুস্থ মানুষকে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা পবিত্র ক্বুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কোথাও দেয়া হয় নাই। তাহলে একথা স্পষ্ট যে, একদিকে করোনা রোগটি যেমন কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়, তেমনি এটি বাংলাদেশের জন্য মহামারী রোগও নহে। কেননা মহামারী হলো এমন রোগ, তা যে স্থানে দেখা দেয়, ঐ এলাকায় ব্যাপকহারে লোক মারা যায়। আর বাংলাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে জ্বর সর্দি কাশিতে সারা বৎসরেই কিছু মানুষ প্রায় আক্রান্ত থাকে, বিশেষ করে ঋতুর পরিবর্তনের সময়ও এ ধরণের বিক্ষিপ্ত রোগ হয়ে থাকে। এতদসত্তে¡ও এ ধরণের বিক্ষিপ্ত রোগকে কেন্দ্র করে, করোনার অজুহাতে সুস্থ মানুষকে সুস্থ মানুষ থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে ইফার ফাতাওয়া ও সরকারী নির্দেশনা যেরূপ সম্পূর্নরূপে পবিত্র ক্বুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী, তেমনিভাবে করোনা নিয়ে তাদের ফাতাওয়া গুলিও বিভ্রান্তিকর, দলিল বিহীন, মানবতা বিরুধী, ফেৎনা জনক, শিরক ও কুফরী যুক্ত হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক ! কাজেই তাদের এই শিরক ও কুফরী পূর্ণ ফাতাওয়া অনুসরণ থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে এবং তাদেরকে প্রকাশ্যে খালিছ তওবা করে এই ফাতাওয়া প্রত্যাহার করতে হবে। । -মুহম্মদ মুফীদ্বুর রহমান। কুমিল্লা সদর দক্ষিন
Total Reply(0)
ছোঁয়াচে বলে যদি কোন রোগ থাকতো তাহলে সারা পৃথিবীতে কোন সুস্থ মানুষ খুজে পাওয়া যেত না।
Total Reply(0)
ছোঁয়াচে বলে যদি কোন রোগ থাকতো তাহলে সারা পৃথিবীতে কোন সুস্থ মানুষ খুজে পাওয়া যেত না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন