মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চামড়া শিল্পে অশনি সঙ্কেত

করোনার প্রভাবে বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

গার্মেন্টসের মতোই করোনার প্রভাবে জোর ধাক্কা খাচ্ছে দেশের চামড়া খাত। একের পর এক বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ। ফলে পণ্যের স্তূপ বড় হচ্ছে ট্যানারি ও কারখানাগুলোতে। একই সাথে কমে গেছে উৎপাদনও। ব্যবসায়ীদের মতে, দীর্ঘদিনের রপ্তানি খরাকে আরো সঙ্কটে ফেলছে করোনা ইস্যু। যা থেকে উত্তরণের পথও খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। এমন অবস্থায় সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ চান সংশ্লিষ্টরা।
সাভারে সরিয়ে নেয়ার পর থেকেই নতুন সঙ্কট শুরু হয় চামড়া খাতে। বন্ধ হয়ে যায় বহু ট্যানারি। কমে আসে উৎপাদন। কিন্তু সেই আগুনে এবার নতুন করে ঘি ঢাললো করোনাভাইরাস ইস্যু।

দেশের ক্রাস্ট এবং ফিনিশড চামড়ার বড় গন্তব্য চীন। কিন্তু গত তিন মাস ধরে করোনার ছোঁবলে সবকিছু লন্ডভন্ড। দীর্ঘ তিনমাস ধরে সেদেশে রপ্তানি প্রায় শূন্য। ফলে অবিক্রিত পণ্যের বিশাল স্তূপ তৈরি হয়েছে ট্যানারিগুলোতে। শিল্পনগরীর সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান এপেক্স ট্যানারির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, ক্রেতারা পণ্য না নেয়ায় স্তূপ ছাড়িয়ে গেছে ৭৫ হাজার বর্গফুট।

চীন ছাপিয়ে করোনার উপকেন্দ্র হয় গেছে এখন ইতালি। যে দেশটির সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ শক্ত। বিশেষ করে রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়ের বড় যোগানদাতা ইউরোপের ওই দেশটি। সেই ইতালিতে চামড়া রফতানি বন্ধ। ইতালিতে দীর্ঘদিন ধরে চামড়াজাত পণ্যের ব্যবসা করা জয়নাল আবেদীনও এখন দারুণ দুশ্চিন্তায়। করোনার কারণে নেতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে তার ব্যবসায়।

পাটপণ্য রফতানি এখন তলানিতে। তৈরি পোশাক রফতানি হতো বিভিন্ন দেশে। পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য নিয়ে তাই দুশ্চিন্তা এখন প্রায় সব মহলে। কারণ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক কার্যক্রম প্রায় শাটডাউন হয়ে যাওয়ায় কমে গেছে চাহিদা। ফলে নেতিবাচক ধারায় থাকা রপ্তানির প্রবণতা এখন আরো নিচের দিকে। এই খাতের সংগঠনের সভাপতি তাই এই মুহূর্তে চান সমন্বিত উদ্যোগ। করোনার প্রভাবে দুশ্চিন্তা দেশীয় বাজারেও ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন