শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঝুঁকিতে প্রবাসী অধ্যুষিত কুমিল্লা

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে গত তিন সপ্তাহে সাড়ে ১৫ হাজার প্রবাসী কুমিল্লায় এসেছেন। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদেশফেরত এসব নাগরিকদের বেশিরভাগই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সরকারি নির্দেশনা মানছে না।
সরকারের পরামর্শ উপেক্ষা করে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে বিদেশফেরত কুমিল্লার বেশিরভাগ প্রবাসী নিজের পরিবার-পরিজনসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছেন। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
কুমিল্লা জেলার মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ শতাংশ মানুষই বিদেশে থাকেন। বিশ্বব্যাপী নভেল করোনার থাবার সময়টিতে আতঙ্কিত প্রবাসীদের মধ্যে কুমিল্লায় গত তিন সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার লোক বাড়িতে এসেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৯১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সুযোগ হয়েছে। বাকিরা উন্মুক্ত হয়ে ঘুরাফেরা করছে, কেউ বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, কেউ পরিবার নিয়ে শহরে এসে কেনাকাটা করছে। এসব অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন থেকে কুমিল্লায় যারা ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তারপরও কুমিল্লার প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষজন করোনা আতঙ্কে রয়েছেন এবং প্রবাসীদের ঘিরে গোটা কুমিল্লায় করোনা সংক্রমণের ভয়ে থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপারব সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, মার্চ মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত ৭০টি দেশ থেকে ১৫ হাজার ৪৯৭ জন প্রবাসী কুমিল্লায় এসেছেন।
এরমধ্যে ইতালি, সিঙ্গাপুর, ইরান ও কানাডার প্রবাসী বেশি। এদেরকে একাধিক ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে। প্রতিটি থানার কর্মকর্তারা বিদেশফেরত নাগরিকদের তালিকা ও ঠিকানা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি নজরদারি করছেন। এলাকাভিত্তিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সর্বোপরি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবার আন্তরিকতা ও সচেতনতা থাকার বিষয়টি বেশি প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় কেউ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জামেরি হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আজিম উল আহসান এবং ডেপুটি সিলি সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের ফোকাল পয়েন্ট টিম গঠন করা হয়েছে।
এ টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রয়েছেন। এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৯১৭ জনের মধ্যে ১৪ দিন পার হওয়ায় কোন লক্ষণ না দেখায় ২৭ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে রিলিজ মিলেছে। আর সন্দেহভাজন ৯ জনের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানোর পর তাদের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান জানান, হাসপাতালে ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন