শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি ৬৩ নাগরিকের

করোনা প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ দেশবাসীকে জানান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন দেশের ৬৩ জন সিনিয়র নাগরিক। চিঠিতে তারা করোনাভাইরাস নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে শ্বেতপত্র এবং মহামারি মোকাবিলায় সমন্বিত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন। গতকাল রোববার ‘সচেতন নাগরিক’ ব্যানারে চিঠিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস অতি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে তা বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাপকাঠিতে করোনা সংক্রমণের যে চারটি স্তরের কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশ এর তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে। অর্থাৎ দেশের ভেতরেই এই রোগ কমিউনিটি সংক্রমণের পর্যায়ে ঢুকে পড়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। চতুর্থ স্তরটি হল, ব্যাপক সংক্রমণ এবং ব্যাপক মৃত্যু। চীন, ইরান, ইতালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি থেকে আমরা পরিষ্কার ধারণা করতে পারি যে, কীভাবে অতি দ্রæতজ্যামিতিক গতিতে এই মহামারি দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চিঠিতে বলা হয়, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে দুইমাস সময় পেলেও সরকার সমস্যার দিকে কোনো মনোযোগই দেয়নি। উপদ্রুতদেশগুলোথেকে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী প্রবাসী ভাই-বোনদের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণে কোয়ারেন্টাইন করার সরকারি ব্যর্থতা প্রমাণ করে যে সমন্বয়হীনতা ও প্রস্তুতির অভাব দেশকে কতবড় বিপদে ফেলতে পারে। ঘনজনবসতি, দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং সরকারের উদ্যোগহীনতায় বাংলাদেশ এখন প্রচন্ড ঝুঁকির মুখে। মহাবিপদ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেই, সমন্বয় নেই, আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণের পর্যাপ্ত উপকরণ ও ব্যবস্থাপনা দেশে নেই। নেই চিকিৎসকদের রক্ষা ব্যবস্থা, নেই যথেষ্ট মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ভেন্টিলেটার! পরীক্ষার ব্যবস্থা ছাড়া সরকার আক্রান্ত সংখ্যার যে তথ্য দিচ্ছে তা তাই বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছে না।

এই বৈশ্বিক ভয়ংকর মহামারির সময়ে দেশের হাসপাতাল, চিকিৎসালয় এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিরাজমান দুর্বলতা ও প্রস্তুতিহীনতা অনুধাবন করে দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। উদ্বেগের আরও কারণ হচ্ছে জাতির মহাবিপদের মুর্হূতে দুর্যোগ মোকাবিলার কোনো সমন্বিত উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো বাস্তবতা অস্বীকার করে ‘সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন’ বলে সরকারের মিথ্যা সাফল্যের বন্দনায় মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য যা আমাদের গভীরভাবে চিন্তিত,ক্ষুব্ধ ও হতাশ করে। বিভিন্ন ছাত্র যুব সংগঠনসহ স্বেচ্ছাসেবী ব্যক্তি ও সংগঠনের দায়িত্বশীল কাজই এখন পর্যন্ত আমাদের ভরসা। কিন্তু এসব উদ্যোগ সমন্বয়েরও কোনো আগ্রহ সরকারের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।

এতো বড় মাপের একটি মহামারি সামাল দেয়ার জন্য সঠিক ও সমন্বিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। আমরা চাই, সরকার আর কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পরিবেশবিদ এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞমন্ডলীর সমন্বয়ে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করবে। এই মহাপরিকল্পনা কার্যকর করবার জন্যে দেশের নাগরিকদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি নিয়ে একটি স্বাধীন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মাল্টি-ফাংশনাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করতে হবে, যারা নিয়মিতভাবে সরকারের কাজের তদারকি করবে, দিক নির্দেশনা প্রদান করবে এবং সকল নাগরিককে প্রকৃত তথ্য জানাবে। এর জন্য তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

উদ্বিগ্ন নাগরিক হিসেবে সরকারের প্রতি আমাদের আরও আশু দাবি হচ্ছে: ১। অবিলম্বে শ্বেতপত্রের মাধ্যমে করোনা মহামারি রোধের পরিকল্পনা ও তা কার্যকর প্রণালী জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। ঢাকাসহ প্রতিটি জেলা- উপজেলায় কতজন স্বাস্থ্যকর্মী আছেন এবং তাদের সুরক্ষার পর্যাপ্ত সরঞ্জাম কবে পর্যন্ত নিশ্চিত করা যাবে, প্রতিটি হাসপাতালে সর্বোচ্চ কতটি বেড প্রস্তুত করা যাবে, প্রতিটি হাসপাতালে কতটি ভেন্টিলেটর প্রস্তুত আছে, করোনা পরীক্ষার কতগুলো কিট আছে, প্রতিদিনের ব্যবহারের মানসম্মত গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদির মজুত কতদিনের মধ্যে নিশ্চিত করা যাবে, এই সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এই কাজে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাযথ বরাদ্দ দিতে হবে এবং নিয়মিত তা স্বচ্ছতার সঙ্গে জনগণকে জানাতে হবে।

২। অবিলম্বে দেশের সর্বত্র বিনামূল্যে টেস্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কিটসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ এবং তার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার যোগান নিশ্চিত রাখতে হবে। কিট তৈরীর কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে দ্রুতখালাস ও ট্যাক্স-মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩। দেশের সকল প্রবেশ পথ বিমান, নৌ, স্থলবন্দর, রেল স্টেশন, নৌঘাট সতর্ক নজরদারীর আওতায় নিতে হবে। অবিলম্বে করোনা সংক্রমণের সময় আক্রান্ত দেশগুলো থেকে ফিরে আসা আগত প্রবাসীদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য বা ইতিমধ্যে আক্রান্ত অঞ্চলের মানচিত্র তৈরি করতে হবে (ম্যাপিং)। গুরুত্ব অনুযায়ী অঞ্চলভিত্তিক জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের ভেতর কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পর্যটন গন্তব্যগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

৪। কোয়ারেন্টিনের জন্যে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে বড় হোটেল-মোটেল-রিসোর্টসহ উপযোগী ভবনগুলো অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্যে নির্দিষ্ট করতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম, খালি ভবনে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা সম্ভব। সিএমএইচ, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সমন্বিত পরিকল্পনায় যুক্ত করতে হবে।

৫। অতি দ্রুত ডাক্তার-নার্স চিকিৎসা কর্মীসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপদ পোশাক ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্যে দ্রুত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। দেশের গার্মেন্টস কারখানা ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই (পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট ) সরবরাহ করতে হবে।

৬। গণপরিবহন ও গণপরিসরগুলো এবং সংক্রমণের হটস্পট নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলখানার ঝুঁকিপ‚র্ণ জনচাপ দূর করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে, জনচাপ কমাতে বিনা বিচারে আটক, মেয়াদ উত্তীর্ণদের মুক্তি দিতে হবে। ছিন্নমূল ভাসমান মানুষদের জন্যে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় শিবির খুলে তাদেরকে সরিয়ে নিতে হবে। গাদাগাদি বাস করা বস্তিবাসীদের নিরাপত্তায় প্রতিটি বস্তিতে পরিচ্ছন্নতার উপকরণ সরবরাহ এবং করোনা মনিটর সেল/ ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে। রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রেও অনুরূপ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করবার জন্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭। করোনা সংক্রান্ত জরুরি কাজ ছাড়া পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের আপদকালীন সময়ে সবেতন ছুটি দিতে হবে। ছুটিকালীন শ্রমিকদের মজুরি যাতে ঠিকমতো পরিশোধ হয়, সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

৮। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুতদারী বন্ধ করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। নিম্ন আয়ের এবং রোজগার হারানো মানুষদের জন্যে রেশনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। অতি বিপন্ন মানুষ, যেমন, উদ্বাস্তু, দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, বস্তিবাসী, কারখানার শ্রমিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, ছোট ব্যবসায়ী, যাদের জীবিকা হুমকির মুখে, তাদের জন্যে বিশেষ ভাবে অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। এই সুযোগে ঋণখেলাপি, চোরাই টাকার মালিকদের কোনো বাড়তি সুবিধা দেয়া যাবে না।

৯। বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্যকর্মী, ধর্মীয় নেতাদের সাহায্যে পাড়ায় পাড়ায় স্থানীয় ক্লাব, সংগঠন ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করে তাদের প্রচার ও রোগ প্রতিরোধে কাজের সুযোগ দিতে হবে।

১০। ডেঙ্গু এবং চিকনগুনিয়া মোকাবেলায় সরকারের কী পরিকল্পনা তা প্রকাশ করতে হবে। বর্ষা আসার আগেই আমাদের ডেঙ্গু মৃত্যু রোধ করবার প্রস্তুতিও শেষ করতে হবে, যেটি একই কমিটি থেকে পরিচালিত হতে পারে। শুধু এই সময়ের করোনা ভাইরাস নয়, বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সম্পদ কেন্দ্রীভবনের ধারা, নদী-বন-বায়ু বিনাশ আমাদের এমনিতেই বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই দেশকে নিরাপদ বাসভ‚মি হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে প্রাণপ্রকৃতিবিনাশী ‘উন্নয়ন’ ধারা বদলাতে হবে, সর্বজনের (পাবলিক) চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। এসবের গুরুত্ব এই বৈশ্বিক মহামারিকালে আমরা আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করছি।

নাগরিকদের পক্ষে এসব দাবির পক্ষে একাত্মতা জানিয়েছেন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, আইনুন নাহার, সায়েমা খাতুন, সাঈদ ফেরদৌস, নাসরীন খন্দকার, মীর্জা তাসলিমা সুলতানা, মানস চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌম্য সরকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌভিক রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, রুশাদ ফরিদী, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, গীতি আরা নাসরীন, মানবাধিকারকর্মী শাহীন আনাম, ফাহমিদুল হক, রোবায়েত ফেরদৌস, আইনুল ইসলাম, জোবাইদা নাসরীন, তানজীমউদ্দিন খান, মোশাহিদা সুলতানা, কাজলী শেহরীন ইসলাম, রিদয়ানুল হক, কাজী মারুফুল ইসলাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাদাফ নূর ও মাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক লুৎফুন হোসেন, টিআইবির প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা, শিক্ষক ও লেখক আলী রীয়াজ, আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম, খুশী কবির, রেজাউর রহমান লেনিন, হামিদা হোসেন, পরিবেশ অধিকারকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিক্ষক ও লেখক বীণা ডি’কস্টা, শ্রমিক অধিকারকর্মী তাসলিমা আখতার, জনস্বার্থ আন্দোলন কর্মী মিজানুর রহমান, সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দীন খান, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, নৃত্যশিল্পী আনিসুল ইসিলাম হিরু, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী বীথি ঘোষ, শিল্পী অমল আকাশ, সাংস্কৃতিক কর্মী লুবনা মরিয়ম, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান, কবি ও সংগীতশিল্পী অরূপ রাহী, গবেষক মাহা মির্জা, লেখক ও গবেষক রেহনুমা আহমেদ, গবেষক নাজনীন শিফা, নৃবিজ্ঞানী ড. দীনা এম সিদ্দিকী, গবেষক মুক্তশ্রী চাকমা, লেখক আজফার হোসেন, নাট্যকর্মী নায়লা আজাদ, শিক্ষক অমিতা চক্রবর্তী, ক্ষুদে ব্যবসায়ী আরমান হোসেন, কৃষিবিদ লুৎফুর রহমান, নৃবিজ্ঞানী নুসরাত চৌধুরী, গবেষক রোজিনা বেগম, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষক শিল্পী বড়ুয়া, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিউতি সবুর, ইউল্যাবের শিক্ষক অবন্তী হারুন ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নোভা আহমেদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
Mir Sojol ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
সরকারের প্রস্তুতি মুখে মুখে, মাননিয় প্রধানমন্ত্রী বাস্তবে কিছুই হচ্ছেনা, আমরাকি আপনাদের কথা শুনবো আর তিলে তিলে মরে জাবো, এইকি অামার বাংলাদেশ
Total Reply(0)
Robin Rime ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
বাংলাদেশের ডাক্তারদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম নাই রোগীদেরকে তারা কিভাবে চিকিৎসা দেবে ? সরকারের গাঁজা খোর মন্ত্রীরা তিন মাস আগে থেকে বলতেছে আমরা করোনা ভাইরাসের জন্য প্রস্তুত। প্রস্তুতিটা কি নিয়েছে আমরা জাতি হিসেবে জানতে চাই
Total Reply(0)
Mizan Mizan ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
আমাদের দেশ তো সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক ছিল। বিশ্বের রোল মডেল ছিল। মধ্যম আয়ের দেশ, কিছুদিনের মধ্যেই কানাডায় রূপান্তরিত হবার কথা। কিন্তু এখন শুনি ডাক্তারের ড্রেস নাই, করোনা পরীক্ষার কীট নাই, সবাইকে পরীক্ষার সামর্থ্য নাই, কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নাই, ঢাকার বাইরে কোথায়ও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নাই.... নাই.... নাই....নাই। হঠাৎ করে এত গরীব হয়ে গেলাম কিভাবে?
Total Reply(0)
Md Rofikul Islam Mintu ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
সরকারিভাবে জনগণের ১ মাস জীবনযাত্রার ব্যয়ভার নির্বাহের ঘোষণা চাই। যেহেতু আমরা সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল ইউরোপ আমেরিকা থেকে এগিয়ে সুতরাং ঘোষণায় বিলম্ব কেন.
Total Reply(0)
Abdul Hakim ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
প্রথমত মুজিব বর্ষ পালনের লক্ষ্যে স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেয়ার পরিবর্তে ঘাড়ামি করা,তারপর কোন কিছুর পরোয়া না করে মুজিব বর্ষের অনুষ্টান পালন,শুধুমাত্র ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে ২১ তারিখে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত করা এবং একজন বিদেশ ফিরত একজন সাবেক মেয়রকে কোয়ারিন্টিন এ রাখার পরিবর্তে তাকে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে দেয়া এসকল কিছুই প্রমান করে সরকার কতটা উদাসীন। এখন রবী ঠাকুরের ভাষায় বলতে হয় "আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান।"
Total Reply(0)
Sojun Ahmed ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
আমাদের দেশ তো সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক ছিল। বিশ্বের রোল মডেল ছিল। মধ্যম আয়ের দেশ, কিছুদিনের মধ্যেই কানাডায় রূপান্তরিত হবার কথা। কিন্তু এখন শুনি ডাক্তারের ড্রেস নাই, করোনা পরীক্ষার কীট নাই, সবাইকে পরীক্ষার সামর্থ্য নাই, কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নাই, ঢাকার বাইরে কোথায়ও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নাই.... নাই.... নাই....নাই। হঠাৎ করে এত গরীব হয়ে গেলাম কিভ
Total Reply(0)
Md Amir Ali ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
সরকারের কালবিলম্ব না ঐ পথে হাটা উচিৎ। আর্মি ও অন্য দুটি স্টেডিয়াম সহ তুরাগ তীরে তাবলিগ মাঠও অনতিবিলম্বে অস্হায়ী হাসপাতাল ঘোসনা করে সেনাবাহিনীর নিকট দিয়ে দেওয়া হউক।
Total Reply(0)
MD Hasan ২৩ মার্চ, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
Dear prime minister, Don’t delay anymore, follow the lead from state of NY, CA. Unctuous people surrounding you hopefully would not misguide you.
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ২৩ মার্চ, ২০২০, ১০:১৩ এএম says : 0
করুনাভাইরাস হইতে রক্ষা পাইতে আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করিয়া কান্নাকাটি করা। ....সকল কাজের প্রথমে বিসমিল্লাহ বলা। আর তওবা বেশি বেশি করা। পাপ হইতে বাঁচিয়া থাকা। এবং মুক্তির এক মাত্র পথ আর মত ইসলাম মনে করা । ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Mohammed bakar ২৩ মার্চ, ২০২০, ১০:২৬ এএম says : 0
Don’t delay or ignore a single day . Bangladesh is a poor country and severely corrupted country. Coronavirus is a death threat for all . First thing 1.stop the spread 2. Save doctors , nurse and any other caregiver. 3 . Make temporary hospital for testing and treatment.3. Make people seriousand explaining how dangerous is this disease. Look at the most powerful countries in this world. They have everything but can’t escape.May Allah forbid us . Every person should doua , beg to Allah, ask for forgiveness of our sins and save us all from this pandemic.
Total Reply(0)
শফিকুল ইসলাম ২৩ মার্চ, ২০২০, ১:১০ পিএম says : 0
ভাল উদ্যোগ।
Total Reply(0)
MD. RUHUL ২৩ মার্চ, ২০২০, ৪:২৯ পিএম says : 0
বিশেষ ভাবে আওয়ামী নেতা-নেত্রীদের প্রতি আমার আহবান! কোরআন ও সহী হাদীস বুঝেবুঝে অধ্যয়ন করুন; তার উপর অটল বিস্বাস স্থাপন করুন এবং সেই আলোকে আপনার ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারীক জীবন; সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করুন (আর যা হবে শুধু রাসূল সাঃ এর আদর্শ মোতাবেক) - আর এ সব করতে হবে একমাত্র এবং শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য।এ কালে শান্তি আর পরকালে মুক্তির এর বিকল্প নেই।আসুন আমরা সকলে আল্লাহর সমীপে বার বার তৌবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং রাসূল সাঃ এর শিখানো পদ্ধতিতে আল্লাহর কাছে দয়া করি যেন আমরা করোনা থেকে নিরাপদে থাকতে পারি।
Total Reply(0)
Zoherul Hasan ২৩ মার্চ, ২০২০, ৭:১৪ পিএম says : 0
NGO দের সকল প্রকার কিস্তি জুন পযর্ন্ত বন্ধ করার ব্যবস্হা করতে হবে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন