জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মুরগির বাচ্চা হারানোকে কেন্দ্র করে চাচা ও ভাতিজার পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সরিষাবাড়ী পৌরসভার আরামনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উভয় পক্ষের পারিবারিক সূত্র জানায়, আরামনগর গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে শারিরীক প্রতিবন্ধী হারুন মিয়া ও তার চাচা আব্দুর রশিদ গত শনিবার বাজার কিছু মুরগির বাচ্চা কিনে আনেন লালন পালন করার জন্য। মুরগির বাচ্চাগুলো দুইজনেই বাড়িতে এনে ছেড়ে দিলে আব্দুর রশিদের দুইটা বাচ্চা হারিয়ে যায়। আব্দুর রশিদ হারানো মুরগির বাচ্চা তার ভাতিজা হারুন মিয়ার স্ত্রী নিয়েছে বলে দাবি করলে উভয়পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গতকাল দুপুরে হারুন মিয়ার নাতি রেদোয়ান (২) আব্দুর রশিদের উঠোনে গেলে তাকে চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়। এ সময় শিশুটির মা রুনা বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন রুনা বেগম (২৩), শিলা (২০), ফাতেমা (৪০), নুরজাহান (৬৫) রেদোয়ান (২)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুনা বেগম জানান, ‘আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। মুরগির বাচ্চা নিয়ে বাবার সাথে প্রতিবেশি দাদার ঝগড়া ছিল। আমার শিশুসন্তান ওদের উঠোনে খেলতে গেলে তারা মারধর করে, এসময় যারা ফিরাতে যায় তাদেরকেও মারা হয়।’ এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ছবি: সরিষাবাড়ীতে মুরগির বাচ্চা নিয়ে সংঘর্ষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন