করোনাভাইরাস আতংকের মুহুর্তে অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জন্য পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ জ্যাকেট বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য তারা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন হাপাতালের সাথে যোগাযোগ করে জরুরী ভিত্তিতে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সেগুলো পাঠানোর ব্যবস্হা নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির এই উদ্যোগের নেতৃত্বে রয়েছেন হাসান সাইমুন ফারুক রবিন।
করোনা আতংকে সমগ্র বিশ্ব এখন আতংকিত। আমাদের আমাদের প্রায় প্রতিটি হাসপাতাল আজ রোগীদের চিকিৎসা দিতে আতংকিত। কারণ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার মত কোন প্রস্তুতিই নাই। ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তাররা যখন মাস্ক নেই বলে নোটিস টানিয়ে দেন, তখনই অনেকের মনের আতংক বহুগুন বেড়ে যায়।
এই কার্যক্রমের সাথে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে আছেন হাসান সাইমুন ফারুক রবিন, রুহুল আমিন, ফরহাদ আসমার, সুলতানা নদী, নাদিম পরদেশী, তারেক ইসলাম, আরিফ রহমান, হক নাদের প্রমুখ। ফোনে হাসান ফারুক সাইমুন রবিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সারা পৃথিবী আজ আক্রান্ত। আমরা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরাও ভাল নেই। আমরা প্রবাসীরা দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। তারপরও আমাদের মন সব সময় দেশের জন্য কাঁদে। যেহেতু আমরা একটি উন্নত দেশে বসবাস করছি, তাই এখানকার সরকার আমাদের যথাযথ সহযোগিতা করবেন। আমরা সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, আমাদের বাংলাদেশের হাসপাতাল গুলোতে ডাক্তার ও নার্সদের জন্য যথাযথ ব্যবস্হা না নেয়ার কারণে তারা চিকিৎসা প্রার্থীদের চিকিৎসা দিতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকেই চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাই দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের এই সামান্য উদ্যোগ। রবিন বলেন, আমরা কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নিইনি। সবাইকে বলেছি, নিজ নিজ উদ্যোগে পিপিই কিনে নিজস্ব মাধ্যমে দেশে পাঠাতে।এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাই না ডাক্তারদের জন্য পাঠানো কোনো পিপিই ব্যাংকের ম্যানেজার পড়ে থাকুক।
অষ্ট্রেলিয়া ছাড়াও আমাদের উদ্যোগের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা এগিয়ে আসছে এবং নিজস্ব উদ্যোগে পিপিই পাঠাচ্ছে। আমরা তাদেরকে তথ্যসেবা দিয়ে সহযোগিতা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন